ডার্বির অনুশীলনে 'গুপ্তচর' পাঠিয়েছিলেন বিয়েলসা!
একদিন পরেই চ্যাম্পিয়নশিপের অন্যতম বড় প্রতিপক্ষের বিপক্ষে ম্যাচ। ম্যাচের কৌশল নির্ধারণের জন্য প্রতিপক্ষের কৌশল আগেভাগে জানলে কেমন হয়? যা ভাবা সেই কাজ। লিডস ইউনাইটেডের কোচ মার্সেলো বিয়েলসা প্রতিপক্ষ ডার্বি কাউন্টির কৌশল জানতেই বেছে নিলেন অভিনব এক উপায়। ম্যাচের আগে লিডসের মাঠে একজন 'গুপ্তচর’ পাঠিয়ে দিয়েছিলেন তিনি! সেই গোয়েন্দা ডার্বির কর্মকর্তাদের হাতে ধরা পড়ায় রীতিমত শোরগোল পড়ে গেছে ইংলিশ ফুটবলে। কাল ডার্বির বিপক্ষে জয়ের পর বিয়েলসা স্বীকার করলেন, তিনিই পাঠিয়েছিলেন সেই গুপ্তচর !
গত বৃহস্পতিবার লিডসের বিপক্ষে ম্যাচকে সামনে রেখে নিজেদের মাঠে অনুশীলনে ব্যস্ত ছিল ডার্বি। হুট করেই ফুটবলার ও কোচ ফ্র্যাঙ্ক ল্যাম্পার্ডসহ অন্য কর্মকর্তাদের নজরে আসে, একজন সন্দেহজনক ব্যক্তি ঘোরাফেরা করছে অনুশীলন মাঠের আশেপাশে। এরপর প্রায় বিশ মিনিট অনুশীলন বন্ধ রেখে ওই ব্যক্তিকে পুলিশের হাতে তুলে দেওয়া হয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে এই খবর ছড়িয়ে পড়লে সমালোচনা ঝড় ওঠে। তবে তখনও ওই ব্যাপারে লিডসের পক্ষ থেকে কিছু বলা হয়নি।
কাল ডার্বিকে ২-০ গোলে হারানোর পর বিয়েলসা নিজেই স্বীকার করেছেন ডার্বির মাঠে গুপ্তচর পাঠানোর কথা, ‘ওই সন্দেহজনক ব্যক্তিটি লিডসেরই ছিল, এটার জন্য আমিই দায়ী। এটা নীতিগতভাবে ঠিক না ভুল, বৈধ না অবৈধ, সেটা একদমই বিবেচ্য বিষয় নয়। ডার্বি ও ল্যাম্পার্ড ভেবেছে তাদের সাথে অন্যায় হয়েছে, তাদের সাথে আমি সঠিক আচরণটা করিনি। ল্যাম্পার্ডের সাথে আমার কথা হয়েছিল, আমি তার সাথে ভিন্নমত পোষণ করলেও দিনশেষে তারা যা ভাববে ওটাই গুরুত্বপূর্ণ।’
আর্জেন্টিনার কোচ থাকার সময়ও নাকি প্রতিপক্ষের অনুশীলনে গুপ্তচর পাঠাতেন বিয়েলসা, ‘আমি ডার্বির অনুমতি না নিয়েই ওই ব্যক্তিকে পাঠিয়েছিলাম, তাই দায়টা সম্পূর্ণ আমার। আমি তো বিশ্বকাপেও আর্জেন্টিনার কোচ থাকার সময় এমনটা করেছি! এটা আসলে অবৈধ না। আমরা এটা অনেক সময়েই করি, সবার সামনে স্বীকারও করি। কিন্তু কিছু মানুষের কাছে এটা অবৈধ।’
এদিকে কালকের হারের পর ডার্বি কোচ ল্যাম্পার্ড বলছেন, গুপ্তচর পাঠিয়ে কৌশল জানার চেয়ে কোচিং না করানোি তার কাছে শ্রেয়, ‘এটাকে আমি চুরি বলব না, তবে এটা নৈতিকভাবেও ঠিক না। আমি ১৫ ঘণ্টা ধরে লিডসের ভিডিও ফুটেজ দেখে কৌশল নির্ধারণ করেছি, ভালো ম্যানেজাররা এটাই করে। আমিও কোচ বিয়েলসার একজন ভক্ত। কিন্তু প্রতিপক্ষের মাঠে গুপ্তচর পাঠানোর চেয়ে ওই ম্যাচ হেরে যাওয়াই ভালো। আর এরকম করার চেয়ে কোচিং না করানোি ভালো।’
বিয়েলসা তো গুপ্তচর পাঠানোর কথা স্বীকার করেছেন। এখন ব্যাপারটা ইংলিশ ফুটবল অ্যাসোসিয়েশন কীভাবে নেয়, সেটাই সবার প্রশ্ন।