• অস্ট্রেলিয়া-ভারত সিরিজ
  • " />

     

    রোহিতের সেঞ্চুরিও জেতাতে পারল না ভারতকে

    রোহিতের সেঞ্চুরিও জেতাতে পারল না ভারতকে    

    স্কোর 

    অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ২৮৮/৫ ( হ্যান্ডসকম্ব ৭৩, খাওয়াজা ৫৯, মার্শ ৫৪; যাদব ২/৫৪, ভুবনেশ্বর ২/৬৬)

    ভারত  ৫০ ওভারে ২৫৪/৯ (রোহিত ১৩৩, ধোনি ৫১; রিচার্ডসন ৪/২৬, বেরেনডর্ফ ২/৩৯)

    অস্ট্রেলিয়া ৩৪ রানে জয়ী

    ৪ রানেই নেই তিন উইকেট। ২৮৯ রান তাড়া করতে নেমে এর চেয়ে খারাপ শুরু আর হতে পারত না ভারতের। সেই অবস্থা থেকে মহেন্দ্র সিং ধোনিকে নিয়ে প্রতিরোধ গড়ে তুলেছিলেন রোহিত শর্মা। দুর্দান্ত এক সেঞ্চুরি করে শেষ পর্যন্ত লড়েছেন রোহিত। তবে তাঁর সেঞ্চুরিটা বৃথাই গেলো। সিডনিতে  সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে ভারতকে ৩৪ রানে হারিয়েছে অস্ট্রেলিয়া।

    মাত্র ৪ রানেই প্যাভিলিয়নে ফেরেন টপ অর্ডারের তিন ব্যাটসম্যান। প্রথম ওভারেই রানের খাতা খোলার আগে জেসন বেরেনডর্ফের বলে এলবিডব্লিউ হন শিখর ধাওয়ান। ৩ রান করে ফিরেছেন বিরাট কোহলি, জাই রিচার্ডসনের বলে শর্ট স্কয়ার লেগে মার্কাস স্টোনিসের হাতে ক্যাচ দেন ভারতীয় অধিনায়ক। রানের খাতা না খুলে ফেরেন আমবাতি রাইডুও। তাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন রিচার্ডসন।

    ধুঁকতে থাকা ভারতকে পথ দেখান রোহিত শর্মা ও মহেন্দ্র সিং ধোনি। রোহিত স্বভাবসুলভ আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ব্যাট করলেন ধোনি ছিলেন অনেকটাই রক্ষণাত্মক মুডে। ওয়ানডেতে নিজের দশ হাজার পূর্ণ করার দিনে ধোনি করেছেন হাফ সেঞ্চুরিও। ফিফটি পূর্ণ করার পরপরই আউট হন ধোনি। ৯৬ বলে ৫১ রান করা ধোনি বেরেনডর্ফের বলে এলবিডব্লিউ হলে ভাঙ্গে ১৩৭ রানের জুটি। তবে রিভিউ থাকলে বেঁচে যেতে পারতেন ধোনি, বল লেগসাইডের বাইরে পড়েছিল।

    ধোনি ফিরলেও লড়াইটা একাই চালিয়ে গিয়েছেন রোহিত। চোখ ধাঁধানো সব শট খেলে তুলে নিয়েছেন ক্যারিয়ারের ২২ তম ওয়ানডে সেঞ্চুরি। ধোনির পর রোহিতকে সঙ্গ দিতে পারেননি দিনেশ কার্তিক কিংবা রবীন্দ্র জাদেজার কেউই। ১০ চার ও ছয় ছয়ে সাজান রোহিতের ১৩৩ রানের ইনিংস থামে ৪৬ তম ওভারে। স্টোয়নিসের বলে উড়িয়ে মারতে গিয়ে মিড উইকেটে গ্লেন ম্যাক্সওয়েলের হাতে ক্যাচ দিতয়ে ফেরেন তিনি। সিডনিতে ভারতের হয়ে ওয়ানডেতে এক ইনিংসে সবচেয়ে বেশি রান এখন রোহিতের। রোহিতের ফেরার পর ভুবনেশ্বরের ২৯ রানের ইনিংস শুধু হারের ব্যবধানই কমিয়েছে।

    টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটা একদমই ভালো হয়নি। ৬ রান করে ভুবনেশ্বর কুমারের বলে বোল্ড হন অধিনায়ক অ্যারন ফিঞ্চ। অ্যালেক্স ক্যারি স্বভাবসুলভ মারমুখী ব্যাটিং করে বেশিক্ষণ টিকতে পারেননি, ৩১ বলে ২৪ রান করে কুলদিপ যাদবের বলে স্লিপে দাঁড়ান রোহিতকে ক্যাচ দেন।

    দুই ওপেনার দ্রুত ফিরলে দলের হাল ধরেন উসমান খাওয়াজা ও শন মার্শ। তৃতীয় উইকেটে দুইজন যোগ করেন ৯২ রান। দুজনেই করেছেন হাফ সেঞ্চুরি। এই জুটি আরও বেশি মাথাব্যথার কারণ হয়ে ওঠার আগেই খাওয়াজাকে এলবিডব্লিউয়ের ফাঁদে ফেলেন রবীন্দ্র জাদেজা। আউট হওয়ার আগে খাওয়াজা করেন ৫৯ রান। খাওয়াজা ফেরার পর বেশিক্ষণ ক্রিজে থাকতে পারেননি মার্শও। যাদবের বলে মারতে গিয়ে লং অনে মোহাম্মদ শামির হাতে তালুবন্দি হন তিনি, ফেরার সময় করেছেন ৫৪ রান।

    অস্ট্রেলিয়ার ইনিংস ২৫০ পেরিয়েছে পিটার হ্যান্ডসকম্ব ও মার্কাস স্টোয়নিসের কল্যাণে। টেস্টে ‘ফ্লপ’ হ্যান্ডসকম্ব আজ দুর্দান্ত ব্যাটিং করে ভারতীয় বোলারদের হতাশ করেছেন। খাওয়াজা ও মার্শের মতো তিনিও পেয়েছেন হাফ সেঞ্চুরি। ছয় চার ও দুই ছয়ে ৬১ বলে হ্যান্ডসকম্ব করেন ৭৩ রান। সেঞ্চুরি থেকে ২৭ রান দূরে থাকতে ভুবনেশ্বরের বলে ফেরেন তিনি। ইনিংসের শেষের দিকে ভুবনেশ্বরকে মারতে গিয়ে কভারে শিখর ধাওয়ানের হাতে ধরা পড়েন তিনি। হ্যান্ডসকম্ব ফিরলেও শেষ পর্যন্ত অপরাজিত ছিলেন স্টোয়নিস। দুই চার ও দুই ছয়ে ৪৩ বলে ৪৭ রান করেন তিনি। হ্যান্ডসকম্ব-স্টোয়নিসের ঝড়ো ব্যাটিংয়েও ৩০০ পেরোতে পারেনি অস্ট্রেলিয়া। শেষ পর্যন্ত জয়ের জন্য যথেষ্ট ছিল এটাই।