এবার ফেলুকয়ায়োর কাছে ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাইলেন সরফরাজ
‘বর্ণবাদি’ মন্তব্যের পর এবার ব্যক্তিগতভাবে দক্ষিণ আফ্রিকান অলরাউন্ডার অ্যান্ডাইল ফেলুকয়ায়োর কাছে ক্ষমা চেয়েছেন পাকিস্তান অধিনায়ক সফররাজ আহমেদ। নিজের টুইটারে ফেলুকয়ায়োর সঙ্গে করমর্দনের ছবি প্রকাশ করে তিনি লিখেছেন, “আজ সকালে আমি অ্যান্ডাইল ফেলুকয়ায়োর কাছে ক্ষমা চেয়েছি, এবং সে আমাকে ক্ষমা করে দেওয়ার মতো সদয় ছিল। আশা করি দক্ষিণ আফ্রিকার মানুষও আমাকে ক্ষমা করে দেবে।”
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ফেলুকয়ায়োকে করা মন্তব্যের পর সমালোচনার মুখে পড়েছিলেন সরফরাজ। এরপর টুইটারে সাধারণ ক্ষমা চেয়েছিলেন তিনি। এরপরই ব্যক্তিগতভাবে ক্ষমা চাইলেন তিনি। এর আগে দক্ষিণ আফ্রিকান অধিনায়ক ফাফ ডু প্লেসি বলেছিলেন, “যেহেতু সে ক্ষমা চেয়েছে, আমরা তাকে ক্ষমা করে দিয়েছি। এখন এটা নিয়ে কী হবে, সেটা আইসিসির ব্যাপার।”
নিজের টুইটার অ্যাকাউন্টে এ ছবি প্রকাশ করেছেন সরফরাজ
ডারবানে সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ইনিংসের ৩৭তম ওভারের মাঝামাঝিতে ব্যাটিং করছিলেন ফেলুকয়ায়ো, শাহিন আফ্রিদির বলে সিঙ্গেল নিয়ে নন-স্ট্রাইকিং প্রান্তে যাচ্ছিলেন তিনি। সে সময় সরফরাজ তাকে উদ্দেশ্য করে উর্দুতে যা বলেছিলেন সেটার অনুবাদ করলে দাঁড়ায়, “ওই কালা (কৃষ্ণবর্ণ মানুষের ব্যঙ্গাত্মক রুপ), তোর মা আজ কই বসেছে? আজ তাকে কী প্রার্থনা করতে বলেছিস?”
সরফরাজ এরপর নিজের ওই মন্তব্যের জন্য টুইটারে দুঃখ প্রকাশ করেছেন, ‘স্টাম্প মাইকে যেসব কথা ধরা পড়েছে, সেটায় যদি কেউ আঘাত পেয়ে থাকেন, তাহলে আমি ক্ষমা চাইছি। কাউকে উদ্দেশ্য করে আমি ওটা বলিনি, কাউকে কষ্ট দিতে চাইনি। যা বলেছি সেটা আসলে বুঝাতে চাইনি। আমি সবসময়ই প্রতিপক্ষের ক্রিকেটারদের সম্মান করেছি, ভবিষ্যতেও করে যাবো।’
আইসিসি ব্যাপারটিকে বিবেচনায় এনেছে। আইনি ব্যাপার বলে আইনি প্রতিনিধিও সংশ্লিষ্ট থাকবেন এখানে। ম্যাচ রেফারির কাছ থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর আইসিসি এ ব্যাপারে কী পদক্ষেপ নেবে, সেটা অবশ্য নিশ্চিত নয়।