রুবেলের অভাবটা টের পাচ্ছেন খালেদ মাহমুদও
প্রথম দুই ওয়ানডেতে দাঁড়াতেই পারেনি বাংলাদেশ, আরেকটু নির্দিষ্ট করে বললে ব্যাটিং। বোলিং সেই তুলনায় অতোটা খারাপ হয়নি, তবে দল নির্বাচনে একটা প্রশ্ন আছেই। ফর্মে থাকা রুবেল হোসেনকে বাদ দিয়ে সাইফ উদ্দিনকে খেলয়ে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়ে সেই প্রশ্ন উঠছে জোরেশোরেই। সাবেক অধিনায়ক ও বিসিবির পরিচালক খালেদ মাহমুদ সুজনও আজ বললেন, রুবেলকে মিস করেছে দল।
নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তাদের মাঠে কোনো ফরম্যাটেই কখনো জয় পায়নি বাংলাদেশ। এই সফরের প্রথম দুই ম্যাচে জয় দূরে থাক, লড়াইও করতে পারেনি। দুই ম্যাচের চিত্রনাট্য মোটামুটি একই, টপ অর্ডারের ব্যর্থতার পর মোহাম্মদ মিঠুনের হাল ধরা , এরপর বাংলাদেশের মোটামুটি একটা স্কোর দাঁড় করানো। সাইফ উদ্দিন প্রথম ম্যাচে ব্যাট হাতে অবদান রাখায় পরের ম্যাচে জায়গা করে নিয়েছিলেন। তবে মূল কাজ যেটি, সেই বোলিংয়ে দুই ম্যাচেই তেমন কিছু করতে পারেননি। খালেদ মাহমুদ এখানে রুবেলের অভাবটা টের পাচ্ছেন, ‘আমার মনে হয় নিউজিল্যান্ডের ব্যাটসম্যানরা বেশি ভালো খেলছে। ওদের যারা বল করছে তাদের সবাই ১৪০ এ বল করছে। আমাদের কিন্তু ওই জোরে করার বোলারটা নেই। আমরা রুবেলের পেসটা মিস করছি। হয়তো আমাদের যদি একটা জোরের বোলার থাকত, সেকেন্ড হাফে উইকেট অনেক ইজি হয়ে যায় ব্যাটিংয়ের জন্য, ফ্ল্যাট হয়ে যায়। আমার মনে হয় লেন্থটা নিয়ে একটু কাজ করলে ভালো। তবে আমি একদম হতাশ না। নিউজিল্যান্ড কন্ডিশন সবসময় কঠিন যে কোনো উপমহাদেশের দলের জন্য। আমি মনে করি ছেলেরা ভালো ট্র্যাকেই আছে। আমি মনে করি সাকিব ফিরে আসলে টিমের ব্যাল্যান্সটা ঠিক হয়ে যাবে।’
সাকিব না থাকায় দলের ভারসাম্য যে কিছুটা হলেও নষ্ট হয়ে গেছে, সেটি মানলেন খালেদ মাহমুদ, ‘আমার মনে হয় সাকিব না থাকাতে যা হয়, দলের ব্যাল্যান্স করতে একটু কঠিন হয়। আমাদের তো ওই মানের অলরাউন্ডার সত্যি কথা কমই। তারপরও আমি যদি একটা কম ব্যাটসম্যান নিয়ে খেলবেন সেটাও একটা ঝুঁকি হয়। তারপরও আমি একটা বোলারের শর্ট দেখি। দেখা যাক ম্যানেজমেন্ট যেটা ভালো করে সেটাই করবে। দেখা যাক লাস্ট ওয়ানডেতে যেহেতু সিরিজ আমরা হেরে গেছি, আমাদের কিছু হারানোর নেই। আমরা আমাদের যতটুকু ভালো ক্রিকেট খেলতে পারি সেটা সবচেয়ে বড় জিনিস।’