ডানেডিনেও তাড়া করছে পুরনো 'অভিশাপ'
এমনিতেই নিউজিল্যান্ড জায়গাটা বাংলাদেশের জন্য পয়া নয় একদমই। কিউইদের কখনো তো কোনো ম্যাচ হারাতেই পারেনি, তার ওপর নিউজিল্যান্ডে এলেই যেন অভিশাপের মতো তাড়া করে ফেরে চোট। সেই ২০০১ সালে মাশরাফি বিন মুর্তজার চোট দিয়ে শুরু, গত ২০১৭ সফরেও যেমন চোটের জন্য ছিটকে পড়েছিলেন মুশফিকসহ একের পর এক ক্রিকেটার। এবার প্রথম ম্যাচে কিছু হলো না, কিন্তু দ্বিতীয় ম্যাচে এসে আবার স্বমূর্তিতে সেই আততায়ী চোট। যেটির জন্য দুই ম্যাচে ফিফটি করা মোহাম্মদ মিঠুন দর্শক হয়ে যাচ্ছেন কাল। চোট পেয়েছেন মুশফিকুর রহিমও। তবে বাংলাদেশ আশাবাদী, তিনি খেলতে পারবেন।
দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং করার সময়ই হ্যামস্ট্রিংয়ে চোট পেয়েছিলেন মিঠুন। আউট হওয়ার ওপর সেই চোট ভূমিকা রাখতে পারে, দেখে তা মনেও হয়েছিল। মুশফিকের বযথাটা পাঁজরে, দ্বিতীয় ওয়ানডেতে ব্যাটিং করার সময়ই যা টের পেয়েছিলেন। তবে ডানেডিন থেকে বাংলাদেশ দলের ম্যানেজার খালেদ মাসুদ পাইলট জানাচ্ছেন, মুশফিকের চোট গুরুতর কিছু নয়। এখন পর্যন্ত বড় কিছু পাওয়া যায়নি। সবকিছু ঠিক থাকলে কাল তাঁর নামারই কথা। মাশরাফি সংবাদ সম্মেলনে বলেছেন, টেস্ট দলের মুমিনুল হককে ব্যাকআপ হিসেবে নিয়ে আসা হচ্ছে। তবে তিনি যে একাদশে থাকছেনই, এরকম কোনো গ্যারান্টি দেননি।
ডানেডিনের ইউনিভার্সিটি ওভালে প্রথম আন্তর্জাতিক ওয়ানডেতেই স্বাগতিকদের প্রতিপক্ষ ছিল বাংলাদেশ। নয় বছর আগের ওই ম্যাচে বাংলাদেশ ১৮৩ রান করে হেরেছিল বড় ব্যবধানে। এই মাঠের প্রথম টেস্টেও নিউজিল্যান্ডের প্রতিপক্ষ বাংলাদেশ, সেই ২০১০ সালে। ইতিহাস বলছে, এখানে দারুণ ব্যাটিং উইকেটই থাকার কথা। মাশরাফি বিন মুর্তজাও সেরকমই আশা করছেন, ‘আমি যদ্দুর জানি, এই উইকেট ব্যাট করার জন্য খুব ভালো। এখানে আমরা টেস্টেও খেলছি, ভালো ব্যট করেছি। এখানে যদ্দুর জানি, নিউজিল্যান্ড ইংল্যান্ডের সঙ্গে খেলেছে। ৩৪০ তাড়া করে জিতেছেও। আমরা খুব ভালো একটা ব্যাটিং উইকেট আশা করছি। আশা করি, এখানে আমরা ভালো করতে পারব।’
মাশরাফি গত বছরের যে ম্যাচের কথা বলছেন, সেখানে ইংল্যান্ডের ৩৩৫ তাড়া করে রস টেলরের দুর্দান্ত ১৮১ রানের ইনিংসে জিতে গিয়েছিল নিউজিল্যান্ড। এই মাঠে স্বাগতিকেরা এখন পর্যন্ত কোনো ম্যাচেই অবশ্য হারেনি।
এই সিরিজ বাংলাদেশের যেমন যাচ্ছে, বিশ্বকাপের আগে কি প্রস্তুতি আদর্শ হলো? মাশরাফি বললেন, এই দল থেকে খুব বেশি পরিবর্তনের সুযোগ নেই, ‘বিশ্বকাপের দল ঘোষণার আগে হয়তো এটা শেষ ওয়ানডে খেলব আমরা। তবে খুব বেশি পরিবর্তনের কিছু নেই। এখন দলে যারা আছে সবাই অভিজ্ঞ। এখানে আমরা হয়তো খুব ভালো করতে পারিনি। কালকের ম্যাচটা জিতলে কিছুটা হয়তো আত্মবিশ্বাস ফিরে পাব।’
টেস্ট সিরিজের আগে সেই আত্মবিশ্বাস ফিরে পাওয়া যে বাংলাদেশের জন্য খুবই দরকার!