তামিমের জন্য এমন ক্যাচ তো নতুন নয়!
বাংলাদেশের হয়ে আপনার দেখা সেরা ক্যাচের একটা তালিকা করতে বলা হলে কোনটা কোনটা রাখবেন? রাত জেগে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে তৃতীয় ওয়ানডের শুরুর দিকটা না দেখলে একটা ক্যাচ বোধ হয় মিস করে ফেলবেন। মার্টিন গাপটিলকে যেভাবে তামিম ইকবাল ফিরিয়ে দিলেন, সেটা ম্যাচের পরিস্থিতির বিচারে তো বটেই, এমনিতেও দারুণ। অবশ্য এমন ক্যাচ নেওয়ার অভ্যাস আগেও আছে তামিমের, বাংলাদেশের সেরা ক্যাচের অনেকগুলোই যে তাঁর নেওয়া।
১২তম ওভারের চতুর্থ বলে সাইফ উদ্দিনের বলটা খুব ভালো টাইমিং করতে পারেননি গাপটিল। কিন্তু ডানেডিনের ছোট মাঠে ছয় হয়ে যাচ্ছিলই। তামিম বলটা ধরলেন, তাল সামলাতে না পেরে পড়ে যাচ্ছিলেন। কিন্তু তাঁর আগেই শুন্যে ছুঁড়ে দিয়েছিলেন বল, এরপর মাথা ঠাণ্ডা রেখে সীমানার ভেতর ঢুকে আবার ধরলেন বলটা। গাপটিলকে ফেরাতে এরকম স্পেশাল কিছুই দরকার ছিল তামিমের।
তামিমের সেরা ক্যাচের তালিয়াক করতে বললে শুরুর দিকে আসবে শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ২০০৭ সালে নেওয়া সেই ক্যাচের কথা। উপুল চন্দনা ভালোই মেরেছিলেন, তামিমের মাথার ওপর দিয়েই তা চলে যাচ্ছিল সীমানার দিকে। কিন্তু অবিশ্বাস্য এক লাফে পেছনের দিকে এক হাতে ধরলেন ক্যাচ, ধারাভাষ্যকারও বিস্ময়ে বিমূঢ়।
এরপর ২০১৪ টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে এক ম্যাচেই দুর্দান্ত দুইটি ক্যাচ নিয়েছিলেন তামিম। প্রথমটি আজকের গাপটিলের ক্যাচের স্মৃতিই মনে করিয়ে দেয়। আল আমিনের বলে ক্রিস গেইলের শটটা গাপটিলের মতোই পড়ে যেতে যেতে ভারসাম্য রেখে ওপরের দিকে ছুঁড়ে পরে ধরে ফেললেন তামিম। ওই ম্যাচেরই শেষ ওভারে তার চেয়েও বোধ হয় দারুণ আরেকটি ক্যাচ নিয়েছিলেন। জিয়াউর রহমানের বলে ডোয়াইন ব্রাভোর ক্যাচ শর্ট থার্ডম্যানে প্রায় চিলের মতো উড়ে গিয়ে এক হাতে ধরে ফেলেন তামিম।
সর্বশেষ ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে গত ডিসেম্বরেই আরেকটি মনে রাখার মতো ক্যাচ নিয়েছিলেন তামিম। ড্যারেন ব্রাভো মাশরাফির বলটা মারতে চেয়েছিলেন এক্সট্রা কাভার দিয়ে। কিন্তু ঠিকমতো টাইমিং হয়নি। লং অফ থেকে অনেকটা দৌড়ে প্রায় চিলের মতো উড়ে গিয়ে ক্যাচটা নিলেন তামিম। সর্বশেষ বিপিএল ফাইনালেই তো ১৪১ রানের ইনিংসের পর দারুণ দুইটি ক্যাচ নিয়েছিলেন।