• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    বাতাসকে খুশি করে বাঁচতে চাইছেন রাহী

    বাতাসকে খুশি করে বাঁচতে চাইছেন রাহী    

    প্রতিবার নিউজিল্যান্ডে এলেই এই সমস্যা হয়। ওয়ানডেতে তাও সামাল দেওয়া যায়, বিশেষ করে টেস্টে বাংলাদেশের সমস্যাটা প্রকট হয়ে ওঠে। নিউজিল্যান্ডের দমকা বাতাসের সাথে কীভাবে মানিয়ে নিতে হবে, সেটাই যে বুঝতে পারেন না বেশির ভাগ বোলার, বিশেষ করে পেসাররা। আজ লিঙ্কনে দুই দিনের ম্যাচের আগে অনুশীলনে আবু জায়েদ রাহীও বললেন, বাতাসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই এখানে বড় চ্যালেঞ্জ।

     

     

    ২০১৭ সালের সফরেও ওয়েলিংটন আর ক্রাইস্টচার্চে বাতাসের সঙ্গে ঠিকমতো খাপ খাইয়ে নিতে পারেননি পেসাররা। ওয়েলিংটনের এক দিনে তো বাতাসের চোটে স্টাম্প থেকে বেলই পড়ে গিয়েছিল সাত আটবার।  সেই সফরে রাহী ছিলেন না, আছেন এবার। নিউজিল্যান্ডে চলে এসেছেন এবার আগেভাগেই, আগামীকাল থেকে শুরু দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেও নিজেদের ঝালাই করে নিতে পারবেন। তবে আপাতত বাতাসের সঙ্গে মানিয়ে নেওয়াটাই ভাবাচ্ছে তাঁকে, ‘আমাদের এখানে সবচেয়ে বড় ব্যাপার হচ্ছে বাতাস। নিউজিল্যান্ডে বাতাসটা অনেক ভারি। দুই দিনের ম্যাচে আমরা এটা নিয়েই কাজ করছি, যেন পেস বোলাররা জায়গায় বল করতে পারি। দেখুন, আজকেও বল করতে অনেক কষ্ট হয়েছে, বাতাসের জন্য এদিক ওদিক চলে যাচ্ছিল। দুই দিনের ম্যাচে আমরা এই জায়গাটা ঠিক করতে চাই। ’

    বাতাসের মতো নিউজিল্যান্ডের আবহাওয়া কম খেয়ালি নয়। এই বৃষ্টি তো এই রোদ, এই গরম তো এই শীত।  তবে আবহাওয়া বা অন্য কিছুর সঙ্গে মোটামুটি মানিয়ে পেরেছেন বলেই দাবি রাহীর, ‘আমরা তো এখানে এবার ১২ দিন আগেই চলে এসেছি, আমার মনে হয় না আমাদের খাপ খাইয়ে নিতে সমস্যা হবে। আমার কাছে মনে হচ্ছে আবহাওয়ার সাথে আমরা অভ্যস্ত হয়ে গেছি। ’

    ওয়ানডেতে একদমই সময়টা ভালো যায়নি বাংলাদেশের, তিন ম্যাচেই হতে হয়েছে বিধ্বস্ত। এবার বাংলাদেশের চ্যালেঞ্জ আরও বড়, প্রথমবারের মতো খেলবে তিন টেস্ট। নিউজিল্যান্ডে কখনো টেস্ট জেতা দূরে থাক, খেলে ড্রও করতে পারেনি বাংলাদেশ। রাহী তবুও জয়কেই পাখির চোখ করছেন, ‘আমাদের প্রধান লক্ষ্য ২০ উইকেট, কারণ টেস্ট জিততে হলে আমাদের ২০ উইকেট নিতে হবে। আর্লি ব্রেথ্রুটা খুব গুরুত্বপূর্ন আমাদের জন্য। ’

    ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে হ্যামিল্টনে শুরু হবে প্রথম টেস্ট।