• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    প্রথম দিনে বাংলাদেশের ৪১১, সবাই ছুঁলেন দুই অঙ্ক

    প্রথম দিনে বাংলাদেশের ৪১১, সবাই ছুঁলেন দুই অঙ্ক    

    স্কোর

    প্রথম দিন শেষে

    বাংলাদেশ ৯৬.১ ওভারে ৪১১/ ৬ (তামিম ৪৫, সাদমান ৬৭, মুমিনুল ২০, লিটন ৬২, সৌম্য ৪১, মাহমুদউল্লাহ ৫৯, মিরাজ ৫১, তাইজুল ১৪, নাঈম ১২, রাহী ২৩; কোবার্ন ২/৯২)


    ওয়ানডে সিরিজটা ভালো যায়নি একদমই, তিন ম্যাচে লড়াইও করতে পারেনি বাংলাদেশ। ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু টেস্ট সিরিজের আগে দুই দিনের প্রস্তুতি ম্যাচে আত্মবিশ্বাস ঝালাই করে নেওয়াটা খুব করেই দরকার ছিল বাংলাদেশের। সেই কাজটা ভালোমতোই হয়েছে, নিউজিল্যান্ড একাদশের বিপক্ষে লিঙ্কনে প্রস্তুতি ম্যাচের প্রথম দিনে রান পেয়েছেন কমবেশি সবাই।

     

     

    স্কোরকার্ডটা একটু অন্যরকমই বলতে হবে। বাংলাদেশের শীর্ষ সাত ব্যাটসম্যানের মধ্যে সবাই অন্তত ২০ রান করেছেন। এমন নয়, প্রতিপক্ষ দলের সবাই অচেনা। নিউজিল্যান্ডের সীমিত ওভারের নিয়মিত অ্যাডাম মিলনে ছিলেন, যদিও বল করেছেন শুধু চার ওভার। তার আগে তামিম ইকবালের সঙ্গে শুরুটা করেছিলেন সাদমান ইসলাম, দুজনের জুটিতে ৫০ আসে ৮৮ বলে। ১০০র জন্য অপেক্ষা করতে হয় ১৭৭ বল, এর মধ্যে তামিমের অবদান ৩৪, সাদমানের ৬২। ১১৩ রানে প্রথম উইকেট হারায় বাংলাদেশ, কোবার্নের বলে ৪৫ রানে আউট হয়ে যান তামিম।

    সাদমানও এরপর টেকেননি বেশিক্ষণ, ১২০ রানে সিয়ার্সের বলটা পুল করতে গিয়ে ক্যাচ তুলে দেন। সাদমানের রান তখন ৬৭। মুমিনুল হক ২০ রান তুললেন দ্রুত, কিন্তু নাটালের বল কাট করতে গিয়ে আউট হলেন ওই বিশেই। ১৫১ রানে বাংলাদেশ হারাল তৃতীয় উইকেট।

    এরপর শুরু বাংলাদেশের ‘রিটায়ার্ড আউটের’ পালা। লিটন দাস আর সৌম্য সরকার ভালোই খেলছিলেন, ওয়ানডে সিরিজে ব্যর্থতার পর দুজনেরই টেস্টের আগে একটু ব্যাটিং অনুশীলনের দরকার ছিল। চতুর্থ উইকেটে দুজনের জুটিতে ৫০ এলো ৯০ বলে। চারটি চারে ৭৯ বলে ৫০ করলেন লিটন, ৬২ রান করার পর অবসরে গেলেন। সৌম্য তখন ফিফটি পাননি, দুজনের জুটিতে রান উঠেছে ৯৪। তবে ৪১ রান করে অবসরে গেলেন সৌম্যও। চা বিরতির সময় বাংলাদেশের স্কোর তাই ৩ উইকেটে ২৪৫ রান।

     এরপর মাহমুদউল্লাহ আর মেহেদী হাসান মিরাজ রান তুলতে শুরু করলেন দ্রুত। দুজনের জুটিতে ৫০ রান এলো মাত্র ৬১ বল আর ২৯ মিনিটে। ৭৬.৪ ওভারে বাংলাদেশ করল ৩০০। মাহমুদউল্লাহ ঠিক ৫০ বলে ৫০ রান করলেন, দুজনের পঞ্চম উইকেট জুটিতে ১০০ রানও এলো ১১৩ বলে। তাতে মাহমুদউল্লাহর অবদান ৫৮ আর মিরাহের ৩৫।

    ৩৫০ পূর্ণ হওয়ার পর পরেই মাহমুদউল্লাহ অবসরে গেলেন ৫৯ রানে। মিরাজ ফিফটি পেলেন ৬৫ বলে, ৫১ রান করার পর অবসরে গেলেন তিনিও। তাইজুল ১৬ বলে ১৪ রান করে ল্যাক্রোসের বলে আউট হলেন, নাঈম হাসান ১২ রান করে এলবিডব্লু হলেন কোবার্নের বলে। আবু জায়েদের ২৬ বলে ২৩ রানের ইনিংসটা আউট হলো ভুলার বলে, এর মধ্যে বাংলাদেশ অবশ্য ৪০০ পার করে ফেলেছে। শেষ পর্যন্ত ৯৬.১ ওভারে ৪১১ রান তুলে থেমেছে বাংলাদেশের ইনিংস। দিনের খেলাও শেষ হয়ে গেছে সেই সঙ্গে।