• ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    ধীরগতির ইনিংসে আবার সমালোচনার মুখে ধোনি

    ধীরগতির ইনিংসে আবার সমালোচনার মুখে ধোনি    

    অস্ট্রেলিয়া সফরের ওয়ানডে সিরিজে সব সমালোচনার জবাব ব্যাট হাতেই দিয়েছিলেন তিনি। ঘরের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষেই মহেন্দ্র সিং ধোনির বিরুদ্ধে উঠল সেই পুরনো অভিযোগ। প্রথম টি-টোয়েন্টিতে ধীরগতির ব্যাটিংয়ের জন্য আবার কথা শুনতে হচ্ছে ধোনিকে। তবে ধোনি পাশে পাচ্ছেন অস্ট্রেলিয়ার জয়ের নায়ক গ্লেন ম্যাক্সওয়েলকে। ম্যাক্সওয়েল বলছেন, ওই মুহূর্তে ধীরগতির ইনিংস খেলে বুদ্ধিমানের কাজই করেছেন ধোনি।

    ধোনি যখন ক্রিজে নামেন, ১০ ওভার শেষ ভারতের রান তখন তিন উইকেটে ৮০। এরপর ২০ রানের ব্যবধানে আরো চার উইকেট হারিয়ে ধুঁকছিল ভারত। একপ্রান্ত আগলে রেখে ধোনিই কিছুটা রান করছিলেন। তবে সেই রান এসেছে শম্বুক গতিতে। স্বভাববিরুদ্ধ এক ইনিংসে শেষ পর্যন্ত ধোনি অপরাজিত ছিলেন ২৯ রানে, খেলেছেন ৩৭ বল, মেরেছেন মাত্র একটি ছয়। এই ইনিংসে তার স্ট্রাইক রেট ছিল ৭৮.৩৭, টি-টোয়েন্টিতে কমপক্ষে ৩৫ বল খেলা ভারতীয় ব্যাটসম্যানদের মাঝে এটা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন।

    শেষ দশ ওভারে ভারত তুলেছে মাত্র ৪৬ রান। শেষ পাঁচ ওভারে কেন হাত খুলে খেললেন না ধোনি, এটা নিয়েই প্রশ্ন উঠেছে। ম্যাক্সওয়েল অবশ্য বলছেন, ওই সময় ধোনি যা করেছেন সেটাই করা উচিত ছিল, ‘ধোনির মন্থর ব্যাটিংয়ে আমি কোন সমস্যা দেখছি না। পিচ যেমন ছিল, সেটায় চার-ছয় মারা খুবই কষ্টকর ছিল। ধোনি কেমন ব্যাটসম্যান এটা আমরা সবাই জানি। পিচ কঠিন হলেও সে রান বের করে নেয়। আমাদের বোলারদের কৃতিত্ব দিতেই হবে, তাঁরা ধোনিকে হাত খুলে খেলার সুযোগ দেয়নি।’

    ব্যাট করতে নেমে ভারতের সংগ্রহ ছিল ৭ উইকেটে ১২৬ রান। এই লক্ষ্য তাড়া করতে নেমে শেষ বল পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে অস্ট্রেলিয়াকে। ধোনির জন্য লড়াই করার পুঁজি পেয়েছে ভারত, মানছেন জাসপ্রীত বুমরাহ, ‘আমাদের আরও ১৫-২০ রান করা দরকার ছিল। ধোনির কারণেই আমরা মোটামুটি একটা লড়াই করার পুঁজি পেয়েছি। তিনি চাইছিলেন একটু থিতু হয়ে শেষের দিকে হাত খুলবেন। শেষ পর্যন্ত সেটা আর হয়নি।’

    ধোনিকে এসব সমালোচনার জবাব হয়ত আবারো ব্যাট হাতেই দিতে হবে!