• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    মোস্তাফিজের টোটকাই কাজে লাগাতে চান এবাদত

    মোস্তাফিজের টোটকাই কাজে লাগাতে চান এবাদত    

    ঘরের মাঠে টেস্ট হলে তাদের হয়ে থাকতে হয় ব্রাত্য, বল করার সুযোগই মেলে কালেভদ্রে। তবে নিউজিল্যান্ডে এখন আলোটা তাঁদের ওপর। হ্যামিল্টন টেস্টের আগে লিঙ্কনের একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে সেভাবে বল করার অবশ্য সুযোগ হয়নি বাংলাদেশের চার পেসারের, দ্বিতীয় দিনে ১২ ওভারের পর বাকিটা ভেসে গেছে বৃষ্টিতে। তবে এবাদত হোসেন আশাবাদী, আগের বারের অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে এবার ভালো কিছু করতে পারবেন। সেজন্য সতীর্থ মোস্তাফিজুর রহমানের একটা পরামর্শ কাজে লাগানোর কথা ভাবছেন।

    বয়স বাকি সবার চেয়ে কম হতে পারে, তবে তিন পেস সতীর্থ আবু জায়েদ, খালেদ আহমেদ ও এবাদতের চেয়ে অভিজ্ঞতাটা বেশি মোস্তাফিজের। এবাদতের এখনো টেস্ট অভিষেক হয়নি, খালেদ খেলেছেন একটি, রাহী তিনটি টেস্টে কিছুটা এগিয়ে। ১২টি টেস্ট খেলেই মোস্তাফিজ দলের অভিজ্ঞতম পেসার! এবাদতের টেস্ট অভিষেক না হলেও রাহী-খালেদের চেয়ে আবার এখানে এগিয়ে থাকবেন এবাদত। দুই বছর আগে নিউজিল্যান্ড সফরে টেস্ট না খেললেও দলের সঙ্গে ছিলেন, অন্তত কন্ডিশনটা বাকিদের চেয়ে একটু হলেও ভালো বুঝতে পারবেন।

    আজ হ্যামিল্টনের টিম হোটেলে এবাদতও বললেন, আগের চেয়ে এখন একটু বেশি হলেও খাপ খাইয়ে নিতে পারবেন, ‘এর আগে ২০১৬ সালে যখন এসেছিলাম তখন উইকেট এবং কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়া আমার জন্য কঠিন ছিলো। এখন যে জিনিসটা ভালো হচ্ছে সেটি হলো কিছুদিন থেকে কোর্টনি ওয়ালশ, মারিও বা যারা ছিলো তাদের সাথে কাজ করেছি। ওয়ালশ আমাকে যেটি বলেছে সেটি হলো যে তুমি এর আগে এখানে এসেছিলে যেভাবে, এই দুই বছরে তোমার তার থেকে অনেক উন্নতি হয়েছে। ভালো লাগছে যে আমরা ছয় সাতদিন যে অনুশীলন করলাম ক্রাইস্টচার্চে সেখানে একটু উইন্ডি এবং ঠান্ডা ছিলো। এখানে আসলে কন্ডিশনের সাথে মানিয়ে নেয়া বেশ কঠিন। তবে শেষ পর্যন্ত ভালোই হয়েছে।’

    দুই বছর আগের এবাদত আর এই এবাদতের মধ্যে তফাত কী? সিলেটের এই পেসার সেজন্য কৃতিত্ব দিচ্ছেন হাই পারফরম্যান্স কোচ চম্পকা রমানায়েকেকে, ‘আসলে এই দুই বছরে আমি চম্পকা রামানায়েকের সাথে কাজ করেছি। বিশেষ করে আমার অ্যাকুরেসি নিয়ে, লাইন এবং লেন্থ নিয়ে কাজ হয়েছে। উনি আমাকে অ্যাপ্রিশিয়েট করেছিলো যে তোমার যে বোলিং অ্যাকশন তুমি লম্বা সময় ধরে বোলিং করতে পারো। তুমি যদি ভালো টেস্ট খেলোয়াড় হতে পারো সেটা আসলে অনেক ভালো হবে। ওনার কথার পরিপ্রেক্ষিতে আমি আসলে লাল বল নিয়ে স্বপ্ন দেখি।’  

    সমস্যা হচ্ছে, অনুশীলনে বল করলেও ম্যাচ কন্ডিশনে কেমন করবেন, সেটা নিয়ে কিছুটা সংশয়ই থেকে গেছে। একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচে মাত্র একটি ওভার করতে পেরেছেন এবাদত, তাতে অবশ্য ভালো একটি বলে উইকেট পেয়েছেন। টসেটে সুযোগ পেলে মোস্তাফিজের একটি পরামর্শ মাথায় রাখতে চান, ‘ মুস্তাফিজের কিন্তু ওয়ানডে, টেস্ট এবং টি টোয়েন্টিতে অনেক অভিজ্ঞতা আছে। আমি, খালেদ এবং রাহি তাঁকে জিজ্ঞেস করেছিলাম কী লেংথে বল করলে ভালো হবে। সে যেটি বললো যে উইকেটে নতুন বলের ব্যবহার আসলে অনেক গুরুত্বপূর্ণ। আর যত ধারাবাহিকভাবে বল করা যায়। মুস্তাফিজ আরেকটি বিষয় বললো যে আমরা ওভারে যে ছয়টি বল পাই সেখানে আমরা চারটি বল ধারাবাহিকভাবে করবো আর দুটি বল আমরা চেষ্টা করবো যেন উইকেট টেকিং হয়।’

    এই পরামর্শ কতটা মানতে পারেন, আর দিন দুয়েকের মধ্যেই জানা যাবে।