• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    হ্যামিল্টন-চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত সাকিব-মুশফিকহীন বাংলাদেশ

    হ্যামিল্টন-চ্যালেঞ্জের জন্য প্রস্তুত সাকিব-মুশফিকহীন বাংলাদেশ    

     কাল থেকে শুরু হ্যামিল্টন টেস্টে যে অভিজ্ঞতা হবে, সেটি আগে কখনো হয়নি বাংলাদেশের। হলফ করে বলা যায়, বাংলাদেশ সেটি চায়ওনি। সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের টেস্ট অভিষেকের পর বাংলাদেশের সব টেস্টেই দুজনের অন্তত একজন ছিলেন। কিন্তু হ্যামিল্টনে থাকছেন না দুজনের কেউই। সাকিব চোটের জন্য ছিটকে পড়েছিলেন আগেই, মুশফিকের না থাকাটাও নিশ্চিত হয়ে গেছে এর মধ্যে। বাংলাদেশ পেস আক্রমণের সঙ্গে ব্যাটিংটাও তাই হয়ে যাচ্ছে অনেকটা অনভিজ্ঞ।

    ঢাকায় আজ সারাদিন যতই বৃষ্টি ঝরুক, হ্যামিল্টনের আকাশ অন্তত ম্যাচের আগের দিনও হেসেছে। টেস্টের পাঁচ দিনে তার ব্যতিক্রম হওয়ারও সম্ভাবনা কম। তবে ঢাকার মতো বাংলাদেশ দলের আকাশেও কিছুটা মেঘ থাকছেই। সাকিব-মুশফিক নেই, অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে মিডল অর্ডারের দায়িত্ব নিতে হবে মিঠুন-লিটন-সৌম্যদের। লিটন ও মিঠুন নিউজিল্যান্ডে আগে কখনো টেস্ট খেলেননি, সৌম্য খেলেছেন মাত্র একটি। তিনি টেস্ট নিয়ে মিডল অর্ডারে মাহমুদউল্লাহর অভিজ্ঞতাই তাই সবচেয়ে বেশি।

    ম্যাচের আগের দিন কিউরেটরের বদান্যতায় দেখা যাওয়া সবুজ উইকেট জানাচ্ছে, নিউজিল্যান্ডের পেসাররাও সুইং আর গতির গোলাবারুদ নিয়ে প্রস্তুত। আর এখানে বাংলাদেশের পেস বোলিং একেবারেই অন্য মেরুতে। ১২টি টেস্ট খেলে দলের সবচেয়ে অভিজ্ঞ পেসার মোস্তাফিজুর রহমান। খালেদ খেলেছেন একটি, রাহী চারটি। আর এবাদত হোসেনের তো অভিষেকই হয়নি। নিউজিল্যান্ডে যে কেউ টেস্ট খেলেননি, সেটাও বলার অপেক্ষা রাখেনা।

    মাহমুদউল্লাহ চাইলে একটা জায়গা থেকে প্রেরণা নিতে পারেন। গত কিছু দিনে প্রতিপক্ষের মাঠ থেকে সিরিজ জিতে আসার যে দারুণ কিছু কীর্তি আছে। ইংল্যান্ডের শ্রীলঙ্কা জয় থেকে শুরু করে ভারতের অস্ট্রেলিয়া জয়ের পর শ্রীলঙ্কার দক্ষিণ আফ্রিকা জয়টা তো ক্রিকেট পুরাণেরই অংশ। বাংলাদেশের জন্য ড্রটাই অবশ্য জয়ের সমান, নিউজিল্যান্ডে সাত টেস্ট খেলে যে প্রতিবারই হেরেছে। মাহমুদউল্লাহ অবশ্য দাবি করলেন,  এবার সব দিক দিয়েই প্রস্তুত তারা।

    ‘বাইরে কেমন করছি আমাদের কাছে সবসময় চ্যালেঞ্জ। বিদেশে টেস্ট জিততে পারব কি পারব কি না সেটা নিয়ে একটা সংশয় থাকেই। তবে একজন অধিনায়ক আর খেলোয়াড় হিসেবে বলতে পারি আমাদের মধ্যে ওই জিনিসগুলো কাজ করছে না। গত কিছু দিনের যে উদাহরণ বললেন আমাদের মোটিভেশন নেওয়ার মতো অনেক কিছু আছে। এসব কন্ডিশনে আমরা জানি কী করতে হবে, ওদের অ্যাটাক সম্পর্কে আমাদের ধারণা আছি। এখন এই ব্যাপারটা কীভাবে অ্যাপ্লাই করতে পারি, সেটাই দেখার বিষয়। আমরা জানি, কন্ডিশন কঠিন হবে, হয়তো সুইং হবে। তবে এটা জেনেও আমরা নিজেদের মানসিকভাবে প্রস্তুত করেছি। এখন দেখার বিষয় আমরা কীভাবে পারফর্ম করি।’

    সাকিব-মুশফিককে হারানো যে বড় একটা ধাক্কা, সেটি স্বীকার করলেন। তবে অন্যদের জন্য এটা সুযোগ হিসেবেই দেখছেন, ‘সাকিব-মুশফিক আমাদের খুবই গুরুত্বপূর্ণ, দুজন না থাকায় আমাদের তো একটা শুন্যতা আছেই। তবে একই সঙ্গে এটাও ঠিক, অন্যদের জন্য সুযোগ, যেন দুহাত ভরে সেটি তারা কাজে লাগাতে পারে।’

    আলাদা করে চোখ থাকবে কাল বাংলাদেশের পেসারদের ওপরও। তিন জন অন্তত নামছেন নিশ্চিত। মাহমুদউল্লাহ বললেন, পেসারদের নিয়ে তিনি বেশ রোমাঞ্চিত, ‘খালেদ ভালো করছে। রাহী আমাদের প্রিমিয়াম ফাস্ট বোলার, গত কিছু দিনে ও ভালো করছে। এবাদতের পেস আছে। আর মোস্তাফিজ সম্পর্কে আমরা সবাই জানি, ও কী করতে পারে। সবকিছু মিলে আমি খুবই রোমাঞ্চিত। এখন আসল কাজটা মাঠেই করতে হবে।’