'বাতাস সামলানোর' জন্য হ্যামিল্টনে নেই মোস্তাফিজ!
হ্যামিল্টন টেস্টে বাংলাদেশের একাদশ জানার পরেই জোরেশোরে উঠেছিল প্রশ্নটা। দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশ কোচ স্টিভ রোডস সংবাদ সম্মেলনে আসার পর সেটি আবার উঠল। মোস্তাফিজুর রহমানকে কি বাদ দেওয়া হয়েছে না বিশ্রাম দেওয়া হয়েছে? রোডস অবশ্য জোর দিয়েই বললেন, ওয়েলিংটন টেস্টে ফিট রাখার জন্যই এই টেস্টে ‘বিশ্রাম’ দেওয়া হয়েছে মোস্তাফিজকে।
আবু জায়েদ রাহী, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেন- বাংলাদেশের তিন পেসার মিলে টেস্ট খেলেছেন মাত্র চারটি। সেই অনভিজ্ঞতার ছাপ আজ সারাদিনে বোঝা গেছে ভালোমতোই, তিন জন মিলে নিতে পারেননি একটি উইকেটও। ১২ টেস্টের অভিজ্ঞতা নিয়ে মোস্তাফিজকে দর্শক হয়ে দেখতে হয়েছে সতীর্থ পেসারদের মাথা খুঁটে মরা। রোডস বলছেন, টানা খেলার ধকল থেকে রেহাই দিতেই মোস্তাফিজকে এই টেস্টে একাদশের বাইরে রাখা হয়েছে, ‘পর পর দুই টেস্টে বল করা ওর জন্য বেশ কঠিন কাজ। ওর কাছ থেকে শারীরিক ও মানসিকভাবে সেরাটা আদায় করার জন্য ওকে এই বিশ্রামটা দিতেই হতো। এখান থেকেই আপনারা বুঝতে পারছেন পরের টেস্টে ও খেলতে যাচ্ছে।’
বিশেষ করে ওয়েলিংটনে মোস্তাফিজকে নিয়ে যে আলাদা পরিকল্পনা আছে, সেটা রোডস পরিষ্কার করলেন, ‘ওয়েলিংটনে ওকে আমরা বেশি করে খেলাতে চেয়েছি কারণ ওখানে বাতাসটা অনেক বেশি থাকবে। বাতাসে সে আমাদের সেরা বোলার। ওখানে ওর অনেক খাটুনি যাবে, এজন্য আমরা ওকে তরতাজা অবস্থায় চেয়েছি। ’ কিন্তু ওয়েলিংটনের পর কি ক্রাইস্টচার্চে আবার বসিয়ে রাখা হবে মোস্তাফিজকে? টানা খেলাই যখন হবে, তাহলে ওয়ানডে সিরিজে তাঁকে বিশ্রাম দেওয়া হলো কেন? এসব প্রশ্ন অবশ্য মেলেনি রোডসের কাছে।
কিন্তু প্রথম দিন শেষ বেলায় আর দ্বিতীয় দিন পেসাররা যেভাবে বল করেছে তাতে তাদের অভিজ্ঞতার অভাবটা কি আরও বেশি টের পাওয়া যাচ্ছে না? রোডস অবশ্য পেসারদের, বিশেষ করে অভিষিক্ত এবাদতকে কাঠগড়ায় দাঁড় করাতে চাচ্ছেন না। শুধু বলছেন, শারীরিক ও মানসিকভাবে আরও বেশি পোক্ত হতে হবে তাদের, ‘এবাদতের মতো কাউকে সমালোচনা করাটা একটু বেশিই কঠিন। সে দারুণ উৎসাহ দেখিয়েছে, এখন একটু বেশি অভিজ্ঞতা দরকার তাদের। কালকের জন্য তাদের দ্রুত সেরে উঠতে হবে। এসব জায়গায় উন্নতির বেশ কিছু সুযোগ আছে। লম্বা সময় ধরে লাইন ও লেংথ ধরে রাখারও ব্যাপার আছে। উইকেটের জায়গামতো একটা বড় সময় আপনাকে বল করে যেতে পারে। খালেদ, এবাদত, রাহীর জন্য এখানে শেখার অনেক কিছু আছে।’