• ভারত-অস্ট্রেলিয়া সিরিজ
  • " />

     

    এবার কাণ্ড কেদার-ধোনিতে

    এবার কাণ্ড কেদার-ধোনিতে    

    অস্ট্রেলিয়া ৫০ ওভারে ২৩৬/৭ (খাওয়াজা ৫০, ম্যাক্সওয়েল ৪০, ক্যারি ৩৬*; শামি ২/৪৪, কুলদীপ ২/৪৬)

    ভারত ৪৮.২ ওভারে ২৪০/৪ (কেদার ৮১*, ধোনি ৫৯*, কোহলি ৪৪; কোল্টার নাইল ২/৪৬, জাম্পা ২/৪৯)

    ফল: ভারত ৬ উইকেটে জয়ী


    শিখর ধাওয়ান কিছুই করতে পারেননি। বিরাট কোহলিও আজ প্রমাণ করলেন, তিনি অতিমানব নন, মানুষ। রোহিত শর্মা ধুঁকতে ধুঁকতে ফিরলেন প্রস্তুর যুগের ইনিংস খেলে। তবে মহেন্দ্র সিং ধোনি ঠিক করলেন, গত কিছুদিনের অন্যায্য সব সমালোচনার জবাব দেবেন। সঙ্গী হিসেবে পেলেন কেদার যাদবকে। দুজন মিলে অস্ট্রেলিয়ার ছুঁড়ে দেওয়া ২৩৭ রানের লক্ষ্য টপকে গেলেন। ৬ উইকেটের জয়ে টি-টোয়েন্টির হতাশা পেছনে ফেলে ওয়ানডে সিরিজ শুরু করল ভারত।

     

     

    হায়দরাবাদের মন্থর উইকেটে লক্ষ্যটা সহজ ছিল না মোটেই। শুরুটাও হয়েছিল দুঃস্বপ্নের মতো, দ্বিতীয় ওভারে কোনো রান না করেই করেই ফিরে যান ধাওয়ান। রোহিত আর কোহলি একটু সময় নিচ্ছিলেন। দুজনের জুটিটা যখন জমে উঠছিল, কোহলিও জাম্পার এক ওভারে পর পর দুই চারে চল্লিশের ঘরে চলে এলেন, তখনই জাম্পার পাল্টা আঘাত। শুরুতে আম্পায়ার এলবিডব্লুর সিদ্ধান্ত দেননি, রিভিউ নিয়েই তা বদলাতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া। ৪৫ বলে ৪৪ রানে ফিরে গেছেন কোহলি।

    রোহিতও অবশ্য রান করতে পারছিলেন না একদমই, শেষ পর্যন্ত ৬৬ বলে ৩৭ রান করে কোল্টার নাইলের বলেই আউট হলেন। আম্বাতি রাইড়ুও টিকলেন না বেশিক্ষণ, জাম্পার বলেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন ১৯ বলে ১৩ রান করে। ৯৯ রানে নেই ৪ উইকেট, ক্রিজে ধোনি আর কেদার।

    শুরুতে দুজনেই ছিলেন বেশ সতর্ক, একটু নড়বড়েও। অস্ট্রেলিয়াও দুর্দান্ত বোলিং আর ফিল্ডিংয়ে দম ফেলার সুযোগ দিচ্ছিল না। ওভারপ্রতি রানও চলে যাচ্ছিল ছয়ের ঘরে। এর পর প্রতি ওভারে এক দুইটি চার মেরে রান রেটটা কমাতে শুরু করলেন। এর মধ্যে ধোনির ক্যাচ একটুর জন্য নিতে পারেননি স্টয়নিস। ৬৭ বলে ফিফটি করলেন যাদব, খানিক পরেই দুজনের জুটিতে এলো শত রান। ধোনিও ৬৮ বলে ফিফটি পেলেন, ম্যাচটা সহজ হয়ে গেছে এর মধ্যেই। কোল্টার নাইলকে ছয় মারলেন কেদার, শেষ দুই ওভারে ভারতের দরকার হলো ৫। ১০ বল হাতে রেখেই সেটা করে ফেলে ভারত।

    তার আগে অস্ট্রেলিয়ার শুরুটাও হয়েছে ভারতের মতোই, স্কোরবোর্ডে কোনো রান ওঠার আগেই ফিরে গেলেন অ্যারন ফিঞ্চ। রোহিত-কোহলির মতোই খাওয়াজা আর স্টয়নিসের ব্যাটে অস্ট্রেলিয়ার ঘুরে দাঁড়ানোর শুরু এরপর। ৩৭ রানে আউট হলেন স্টয়নিস, কেদারই এনে দিলেন ব্রেক থ্রু। ঠিক ফিফটি করে কুলদীপের বলে আউট খাওয়াজা, হ্যান্ডসকম্বও ১৯ রান করে সেই কুলদীপের বলেই আউট। তবে ম্যাক্সওয়েল দুর্দান্ত ফর্মটা টেনে নিয়ে আসছিলেন এই ম্যাচেও, অস্ট্রেলিয়ার বড় কিছুর আশাও টিকে ছিল। সেটা ধাক্কা খায় ৪০ রানে ম্যাক্সওয়েল শামির বলে বোল্ড হয়ে গেলে। ১৭৩ রানে ষষ্ঠ উইকেট হারানোর পর অস্ট্রেলিয়ার তখন ২৩০ নিয়েই টানাটানি। শেষ পর্যন্ত সেটি ২৩৬ পর্যন্ত গেল অ্যালেক্স ক্যারি ও নাথান কোল্টার নাইলের জন্য। ৩৭ বলে ৩৬ রানে অপরাজিত ছিলেন ক্যারি, কোল্টার-নাইল করেছেন ২৮ বলে ২৭। কিন্তু দিন শেষে জয়ের জন্য যথেষ্ট হলো না তা।