• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    লাইভ রিপোর্ট- এবাদতের আউটেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ

    লাইভ রিপোর্ট- এবাদতের আউটেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ    

    হ্যামিল্টন টেস্ট
    বাংলাদেশ ২৩৪ ও ২য় ইনিংস ১০৩ ওভারে ৪২৯ (সৌম্য ১৪৯, মাহমুদউল্লাহ ১৪৬, তামিম ৭৪, বোল্ট ৫/১২৩) এবং  নিউজিল্যান্ড ৭১৫/৬ ডিক্লে. (উইলিয়ামসন ২০০*,ল্যাথাম ১৬১, রাভাল ১৩২; সৌম্য ২/৬৮, মিরাজ ২/২৪৬)
    ফলঃ নিউজিল্যান্ড ইনিংস ও ৫২ রানে জয়ী

     

     

    পরাজয়টা ছিল সময়ের ব্যাপার। তবে চতুর্থ দিনের লড়াইয়ের পর হ্যামিল্টন টেস্ট থেকে ইতিবাচক কিছু নিতে পারে বাংলাদেশ। মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্য সরকারের ক্যারিয়ার সেরা ইনিংসের পর একটা সময় ইনিংস পরাজয় এড়ানোর স্বপ্ন দেখছিল বাংলাদেশ। শেষ পর্যন্ত সেটা হয়নি, বাংলাদেশকেও আরেকটা ইনিংস পরাজয় মেনে নিতে হয়েছে। 


    এবাদতের আউটেই গুটিয়ে গেল বাংলাদেশ 

    মাহমুদউল্লাহর আউটের পর বাকিটা ছিল সময়ের ব্যাপার। শেষ জুটিটা চার বলের বেশি টিকল না। সাউদির ওই ভারেই উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিলেন শেষ ব্যাটসম্যান এবাদত হোসেন। রিভিউ নিয়েছিলেন, তবে সামান্য স্পাইক থাকায় শেষ পর্যন্ত আউটই হয়েছেন। ৪২৯ রানে অলআউট হয়েছে বাংলাদেশ, দ্বিতীয় ইনিংসে নিজেদের দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোর।


    লড়াইয়ের পর ফিরলেন মাহমুদউল্লাহ

    পালটা আক্রমণ করে, এক প্রান্ত আগলে রেখে চেষ্টা করেছিলেন মাহমুদউল্লাহ। টেস্টে নিজের সর্বোচ্চ স্কোর হয়ে গিয়েছিল আগেই চলে গিয়েছিলেন ১৫০র কাছাকাছি। তবে শেষ রক্ষা আর হলো না, সাউদির অফ স্টাম্পের বাইরের বলটা তাড়া করতে গিয়ে ক্যাচ দিলেন ডিপ পয়েন্টে। ১৪৬ রানের ইনিংসের শেষে প্রায় শেষ হয়ে গেল বাংলাদেশের ইনিংস বাঁচানোর আশাও।


     

    হ্যামিল্টন টেস্ট
    ৪র্থ দিন, চা বিরতি
    বাংলাদেশ ২৩৪ ও ২য় ইনিংস ৪২৪/৮ (সৌম্য ১৪৯, মাহমুদউল্লাহ ১৪১*, তামিম ৭৪, বোল্ট ৫/১১৯) এবং  নিউজিল্যান্ড ৭১৫/৬ ডিক্লে. (উইলিয়ামসন ২০০*,ল্যাথাম ১৬১, রাভাল ১৩২; সৌম্য ২/৬৮, মিরাজ ২/২৪৬)

    বাংলাদেশ ৫৭ রানে পিছিয়ে


    স্বপ্নের সকালের পর অবশেষে বাস্তবতায় ফিরেছে বাংলাদেশ। সৌম্য সরকারের ১৪৯ রানের ইনিংসটা শেষ হয়েছে মনযোগ হারিয়ে, এরপর লিটন দাস ও মেহেদী হাসান মিরাজ আউট হয়েছন সৌম্য-মাহমুদউল্লাহর কাছ থেকে শিক্ষা না নিয়েই। রাহীও বেশিক্ষণ থাকতে পারেননি, তবে বাকি সময়টা খালেদকে নিয়ে পার করে দিয়েছেন মাহমুদউল্লাহর। বাংলাদেশ অধিনায়ক অপরাজিত আছেন ১৪১ রানে, টেস্টে এটাই তাঁর সর্বোচ্চ স্কোর। 


    রাহীর আউটে বোল্টের পাঁচ 

    আবু জায়েদ রাহী মাহমুদউল্লাহকে ভালোই সঙ্গ দিচ্ছিলেন রাহী। দুজনের জুটিতে রান উঠল ৩৩, এর মধ্যে রাহীর অবদান যদিও ৩। তবে খুব বেশিক্ষণ অধিনায়কের ভরসার প্রতিদান দিতে পারলেন না, ৩ রান করে বোল্টের বলে বোল্ড হয়ে গেলেন। বোল্ট পেলেন তাঁর পঞ্চম উইকেট। ৪১৩ রানে বাংলাদশ হারাল পঞ্চম উইকেট। 

     


    ওহ লিটন, ওহ মিরাজ 

    সৌম্য আর মাহমুদউল্লাহকে এতক্ষণ ব্যাটিং করতে দেখেও শিক্ষা হলো না লিটন দাস আর মেহেদী হাসান মিরাজের। মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরির পর আব্র হুড়মুড় করে ভেঙে পড়ল বাংলাদেশের লোয়ার অর্ডার। বোল্টের বলটা খেলবেন না ছাড়বেন ঠিক করতে গিয়ে কোনোটাই হলো না লিটনের, বল ব্যাটের কানায় লেগে ভেঙে দিল স্টাম্প। লিটন ফিরলেন ১১ বলে ১ রান করে। মিরাজ ওয়াগনারের প্রথম শর্ট বলেই পুল করতে গেলেন, এবং জিট রাভাল ফাইন লেগে নিলেন সহজ ক্যাচ। আউট হলেন ১ রানে, ৩৮০ রানে সপ্তম উইকেট হারাল বাংলাদেশ।


    মাহমুদউল্লাহর সেঞ্চুরি

    সাউদিকে চার মেরে পৌঁছলেন ৯৯ রানে, এরপর পুল করতে গিয়ে ঠিকঠাক টামিং হলো না। ভাগ্য ভালো, সেটাও চার হলো, মাহমুদউল্লাহ সেঞ্চুরি পেলেন ১৮৩ বলে। এই নিউজিল্যান্ডে তিনটি সেঞ্চুরি তাঁর, তিনটিই এই সেডন পার্কের হ্যামিল্টনে। ২০১০ সালের পর থেকে টেস্টে সেঞ্চুরি পাননি প্রায় আট বছর, জিম্বাবুয়ে সিরিজে সেই গেরো খোলার পর প্রথম বাংলাদেশি হিসেবে পেলেন তানা তিন সিরিজে সেঞ্চুরি।

     


    ‘ড্যাডি’ হলো না সৌম্যর 

    আগের ওভারে সাউদিকে তিন চারে গিয়েছিলেন ১৪৯ রান পর্যন্ত। তবে দেড়শ ছোঁয়া হলো না তার, ট্রেন্ট বোল্টের ইনসুইংয়ে আড়াআড়ি খেলতে গিয়ে মিস করে হয়েছেন বোল্ড। দারুণ এক ইনিংসের শেষ হয়েছে আলগা এক শটে। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটি ২৩৫ রানের, পঞ্চম উইকেটে যা বাংলাদেশের তৃতীয় সর্বোচ্চ। দ্বিতীয় নতুন বলে সফল হলো নিউজিল্যান্ড।

    পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের সর্বোচ্চ জুটি 
    মুশফিক-সাকিব, ৩৫৯, বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, ওয়েলিংটন, ২০১৭
    আশরাফুল-মুশফিক, ২৬৭, বিপক্ষ শ্রীলঙ্কা, গল, ২০১৩
    সৌম্য-মাহমুদউল্লাহ, ২৩৫, বিপক্ষ নিউজিল্যান্ড, হ্যামিল্টন, ২০১৯ 


    লাঞ্চের পরও একই মুড

    লাঞ্চের পর প্রথম ওভারে ডি গ্র্যান্ডহোমকে দুই চার মেরেছেন মাহমুদউল্লাহর, পরের ওভারে আরেকটি চার দিয়ে সৌম্যর সঙ্গে জুটি ছাড়িয়েছে ২০০ রান। নতুন বলের অপেক্ষাটা পরিস্কার নিউজিল্যান্ডের, বোলিংয়ে এসেছেন কেন উইলিয়ামসন। তাকেও চার মেরে অভিনন্দন জানিয়েছেন মাহমুদউল্লাহ, যেটি দিয়ে তিনি গেছেন আশিতে। এক ইনিংস আগেই সেঞ্চুরি পেয়েছিলেন তিনি, আসছে দ্বিতীয়টি? 


    হ্যামিল্টন টেস্ট
    ৪র্থ দিন, লাঞ্চ 
    বাংলাদেশ ২৩৪ ও ২য় ইনিংস ৩১০/৪ (সৌম্য ১২৩*, মাহমুদউল্লাহ ৬৫*, তামিম ৭৪, বোল্ট ২/৮৪) এবং  নিউজিল্যান্ড ৭১৫/৬ ডিক্লে. (উইলিয়ামসন ২০০*,ল্যাথাম ১৬১, রাভাল ১৩২; সৌম্য ২/৬৮, মিরাজ ২/২৪৬)

    বাংলাদেশ ১৭১ রানে পিছিয়ে


    সৌম্য সরকারের প্রথম সেঞ্চুরি, মাহমুদউল্লাহর ফিফটির সঙ্গে অসাধারণ হিটিংয়ে হ্যামিল্টনে সেরা সেশনটা কাটিয়েছে বাংলাদেশ। শেষের ভাগে একটু ধীরলয়ে চললেও সব মিলিয়ে সেশনটা বাংলাদেশের জন্য গেছে র‍্যাপিড-ফায়ার গতিতে। ২৯ ওভারে উঠেছে ১৩৬ রান, ৪.৬৯ হারে। মোট ২১টি বাউন্ডারি এসেছে, যার মধ্যে ৫টি ছয়। নিউজিল্যান্ডের জন্য সেশনটি হতাশার, দ্বিতীয় নতুন বলের বাকি ৮ ওভার।


    (তুলনামূলক) ধীরলয়ে চলা 

    শেষ ১০ ওভারে রান উঠেছে ৩.১০ হারে। শেষ ৮ ওভারে বাউন্ডারি একটি। লাঞ্চের আগে একটু ধীরগতির হয়ে গেছেন সৌম্য সরকার ও মাহমুদউল্লাহ। দুজনের জুটি ছাড়িয়ে গেছে ১৬০। লাঞ্চ পর্যন্ত এ গতিই বজায় রাখবেন দুজন? 


    পঞ্চমে দ্বিতীয় 

    সৌম্য-মাহমুদউল্লাহর এ জুটি ছাড়িয়ে গেছে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে পঞ্চম উইকেটে বাংলাদেশের দ্বিতীয় সেরা জুটিকে, মুশফিকুর রহিম ও মেহরাব হোসেন জুনিয়র ২০০৮ সালে করেছিলেন ১৪৪ রান। এখন এ দুজনের সামনে সাকিব আল হাসান ও মুশফিকুর রহিমের ৩৫৯ রানের জুটি, শেষ নিউজিল্যান্ড সফরে ওয়েলিংটন টেস্টে যেটি গড়েছিলেন দুজন। 

     

    ওয়াগনারদের হতাশা!


    সৌম্যর প্রথম

    টিম সাউদির বলে সিঙ্গেল নিয়ে ক্যারিয়ারের প্রথম সেঞ্চুরি পূর্ণ করেছেন সৌম্য সরকার, মাত্র ৯৪ বলে। বাংলাদেশের হয়ে দ্রুততম সেঞ্চুরিতে তামিম ইকবালের রেকর্ডে ভাগ বসালেন তিনি। মাহমুদউল্লাহর সঙ্গে তার জুটি বড় হচ্ছে, চতুর্থ দিন সকালে উড়ন্ত সূচনা করেছে বাংলাদেশ। 
     

     


     ফ্লাই সৌম্য? 

    ট্রেন্ট বোল্টের শর্ট বলে হুক করে ছয় মেরে ফিফটি পূর্ণ করেছেন সৌম্য সরকার, ৬০ বলে। প্রায় দুই বছর পর ফিফটি পেলেন তিনি। সকাল থেকে শর্ট বল সামলানোর ইঙ্গিত দিয়েছেন সৌম্য ও মাহমুদউল্লাহ দুজনই। এর আগে দুজনের জুটি ছাড়িয়েছে ফিফটি। 


    হ্যামিল্টন টেস্ট
    ৩য় দিন, স্টাম্পস 
    বাংলাদেশ ২৩৪ ও ২য় ইনিংস ১৭৪/৪* (তামিম ৭৪, সৌম্য ৩৯*, বোল্ট ২/৫৩) এবং  নিউজিল্যান্ড ৭১৫/৬ ডিক্লে. (উইলিয়ামসন ২০০*,ল্যাথাম ১৬১, রাভাল ১৩২; সৌম্য ২/৬৮, মিরাজ ২/২৪৬)