এগুলেন তামিম-সৌম্য, মাহমুদউল্লাহর ক্যারিয়ার সেরা র্যাঙ্কিং
দ্বিতীয় ইনিংসে ঘুরে দাঁড়ালেও হ্যামিল্টন টেস্ট শেষ পর্যন্ত ইনিংস ব্যবধানেই হেরেছে বাংলাদেশ। তবে র্যাঙ্কিংয়ের হিসেবে লাভ হয়েছে তামিম ইকবাল, মাহমুদউল্লাহ ও সৌম্য সরকারের। তিন জনই টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ে বেশ কিছুটা এগিয়েছেন।
সর্বশেষ দেশের মাটিতে দুই সিরিজে টেস্টে নামতে পারেননি তামিম, তার আগে ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরটাও ভালো যায়নি। ৩৬ নম্বরে নেমে গিয়েছিলেন। হ্যামিল্টনে প্রথম ইনিংসে সেঞ্চুরির পর দ্বিতীয় ইনিংসে ৭৪ রানে ১১ ধাপ এগিয়ে এসেছেন ২৫ নম্বরে। সাকিব আল হাসানকে টপকে টেস্টে বাংলাদেশের সবার ওপরে এখন তামিমই। তবে বাঁহাতি এই ওপেনারের এই র্যাঙ্কিং ক্যারিয়ার সেরা নয়। বছর দেড়েক আগে দেশের মাটিতে অস্ট্রেলিয়ের বিপক্ষে সিরিজ শেষে ১৪ নম্বরে উঠে এসেছিলেন।
তবে মাহমুদউল্লাহর জন্য ক্যারিয়ার সেরা অবশ্যই। মাস তিনেক আগেও র্যাঙ্কিংয়ে ৭৩ নম্বরে ছিলেন। জিম্বাবুয়ে, ওয়েস্ট ইন্ডিজের পর হ্যামিল্টনে সেঞ্চুরিতে উঠে এলেন ক্যারিয়ার সেরা ৪০ নম্বরে। ১ ওভার বল করে ১ উইকেট নিয়ে বোলিংয়েও তিন ধাপ এগিয়েছেন, উঠে এসেছেন ৬৩ নম্বরে। সৌম্য সরকারও পেয়েছেন টেস্টে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি, এক লাফে ২৫ ধাপ এগিয়ে তাই উঠে এসেছেন ৬৭ নম্বরে।
তবে এবারের র্যাঙ্কিংয়ে সবচেয়ে বড় লাভ হয়েছে কেন উইলিয়ামসনের। হ্যামিল্টনে ডাবল সেঞ্চুরির পর শীর্ষে থাকা বিরাট কোহলির সঙ্গে ব্যবধানটা ঘুঁচিয়েছেন আরও। ৮৯৭ পয়েন্ট নিয়ে কোহলির চেয়ে মাত্র ৭ পয়েন্ট পেছনে কিউই অধিনায়ক, টপকে যাওয়ার সুযোগ আছে পরের টেস্টে। সেটা হলে ২০১৫ সালের পর আবারও টেস্ট র্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষে উঠবেন উইলিয়ামসন। হ্যামিল্টনে সেঞ্চুরির পর ক্যারিয়ার সেরা ১১ নম্বরে উঠে এসেছেন টম ল্যাথাম, আর অভিষেক সেঞ্চুরির পর জিট রাভাল উঠে এসেছেন ৩৩ নম্বরে।
বোলারদের মধ্যে নিউজিল্যান্ডের হয়ে শীর্ষ দশে আছেন ট্রেন্ট বোল্ট ও টিম সাউদি। দুই ইনিংস মিলে ৭ উইকেট নিয়ে তিন ধাপ এগিয়ে ১১ নম্বরে উঠে এসেছেন পেসার নিল ওয়াগনার।