• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    ধারাবাহিকতার অভাবকেই দায়ী করলেন ওয়ালশ

    ধারাবাহিকতার অভাবকেই দায়ী করলেন ওয়ালশ    

    প্রথম ইনিংসের ব্যর্থতাটাই আলোচনায় আসছে বেশি, তবে হ্যামিল্টন টেস্ট শেষে বোলিংটাই বড় একটা মাথাব্যথা হওয়ার কথা বাংলাদেশ দলের। বিশেষ করে তিন পেসার যেভাবে ধুঁকেছেন, তাতে পেস বোলিং নিয়ে বড় একটা প্রশ্নচিহ্ন উঠছেই। সেটার জবাবটা যিনি সবচেয়ে ভালো দিতে পারতেন, বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ ধারাবাহিকতার অভাবটাই দায়ী করলেন সেজন্য।

    হ্যামিল্টন টেস্টের আগে বাংলাদেশের তিন পেসার আবু জায়েদ রাহী, খালেদ আহমেদ ও এবাদত হোসেনের মিলিত অভিজ্ঞতা ছিল পাঁচ টেস্ট। আর তিন জন মিলে ৮৭ ওভার বল করে উইকেট নিয়েছেন মাত্র একটি। হ্যামিল্টনের উইকেটে পেসারদের জন্য খুব বেশি কিছু ছিল না, কিন্তু সেই নূন্যতম সুবিধাও কাজে লাগাতে পারেননি তারা।

    এবার যে তিন জন পেসার খেলেছেন, নিউজিল্যান্ডে আগে কখনো টেস্ট খেলেননি তারা। আর আগের সফরের তিন পেসার তাসকিন আহমেদ, শুভাশীষ রায় ও কামরুল ইসলাম রাব্বি এবার দলেই নেই। এর মধ্যে তাসকিন ছিটকে পড়েছেন চোটের জন্য, বাকি দুজন অনেক থেকেই নেই জাতীয় দলের রাডারে। ওয়ালশ সেজন্য ধারাবাহিকতার অভাবকেই দায়ী করলে, ‘আপনাকে আগে তো কাউকে পর পর দুই ম্যাচ খেলার সুযোগ করে দিতে হবে। একটা ম্যাচ খেলার পর আবার বসে থাকবেন, এরপর আরেকটা ম্যাচ খেলবেন- এভাবে হলে আপনার নিজের খেলার উন্নতি করাও কঠিন। এক বা দুইটি টেস্ট ম্যাচ কখনোই যথেষ্ট নয়। দেশের মাটিতে ব্যাপারটা আলাদা, সেখানে স্পিন সহায়ক উইকেট থাকে। কিন্তু দেশের বাইরে দেখুন, এবারের বোলিং আক্রমণ একদমই নতুন। ধারাবাহিকতাই তো নেই। আমাদের তিন বা চার জনের ওপর খেয়াল রাখতে হবে যাদেরকে আপনি বিদেশের জন্য লম্বা সময়ের ঘোড়া করতে পারেন। তাদের সময় দিতে হবে আপনার।’

    ওয়ালশ অবশ্য কৃতিত্ব দিলেন কিউই ব্যাটিংকেও, ‘আমাদের বোলিং অনভিজ্ঞ। আমাদের দেখতে হবে ওরা কী করতে পেরেছে, আমরা কী পারিনি। নিউজিল্যান্ড নিজেদের মাঠে খেলেছে, কন্ডিশন ভালোমতো জানে, আমার মনে হয় ওরা খুব ভালো করেছে। আমাদের বোলাররা একটু অধৈর্যও ছিল। তবে কখনো আমরা প্রতিপক্ষকে ঠিক সম্মানও দিই না। এটা এমন একটা উইকেট, সেট হয়ে গেলে যেখানে বোলারদের আউট করা খুব কঠিন। আশা করব, এখান থেকে আমাদের বোলাররা অনেক কিছু শিখবে।’

    একটা পরিবর্তন অবশ্য আসবেই ওয়েলিংটনে, ‘বিশ্রাম’ শেষে আবার ফেরার কথা মোস্তাফিজুর রহমানের। সেক্ষেত্রে খুব সম্ভবত খালেদ বা এবাদতের মধ্যে কাউকে সরে যেতে হবে। ওয়ালশ অবশ্য সেরকম কোনো ইঙ্গিত দেননি। দলের সবাই যখন খারাপ করেন, একজনকে বলির পাঁঠা বানানো তো কঠিনই!