বেসিন রিজার্ভে বাউন্সারেই তামিমদের ঘায়েল করতে চান বোল্ট
বেসিন রিজার্ভে সর্বশেষ টেস্টের স্মৃতিটা খুব সুখের নয় নিউজিল্যান্ডের। গত ডিসেম্বরে শ্রীলংকার বিপক্ষে প্রথম ইনিংসে দুর্দান্ত বোলিং ও ব্যাটিংয়ের পরেও শেষ পর্যন্ত ম্যাচটি জিততে পারেনি কিউইরা। চতুর্থ দিনে তো লংকানদের একটি উইকেটও ফেলতে পারেননি দলের বোলাররা! বাংলাদেশের বিপক্ষে সিরিজের দ্বিতীয় টেস্ট হবে এই ওয়েলিংটনেই। কিউই পেসার ট্রেন্ট বোল্টের আশা, শ্রীলংকার মতো বাংলাদেশের বিপক্ষে উইকেটের জন্য মাথা কুটে মরতে হবে না তাদের।
গত বছরের শেষে শ্রীলংকার নিউজিল্যান্ড সফরের প্রথম টেস্ট ছিল ওয়েলিংটনে। প্রথম ইনিংসে ২৮২ রানে অলআউট হয় লংকানরা। নিজেদের প্রথম ইনিংসে নিউজিল্যান্ড করে ৫৭৮ রান। ২৯৬ রানে পিছিয়ে থেকে ব্যাটিংয়ে নেমে ১৩ রানেই তিন উইকেট হারিয়ে ইনিংস পরাজয় চোখ রাঙ্গাচ্ছিল লংকানদের। এরপর কুশল মেন্ডিস ও অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউসের জোড়া সেঞ্চুরিতে ম্যাচ ড্র করে শ্রীলংকা। সেই ম্যাচের চতুর্থ দিনে কোন উইকেটই পাননি বোল্টরা।
বাংলাদেশের বিপক্ষে ওই দিনের পুনরাবৃত্তি ঘটতে দিতে চান না বোল্ট, ‘কন্ডিশন ডিসেম্বরের মতোই থাকবে। আশা করি আমাদের সেবারের মতো পুরো একদিন উইকেটশূন্য থাকতে হবে না! উইকেট বের করে আনার উপায় খুঁজতে হবে সবাইকেই। ইতিবাচক মনোভাব নিয়ে মাঠে নামতে হবে। এই ভেন্যুর পিচ বোঝার জন্য এখানে যথেষ্ট ম্যাচ খেলেছি আমরা। পিচ ব্যাটিং সহায়ক হবে, যত সময় যাবে ততোই ব্যাটসম্যানদের সুবিধা হবে। এখানে ব্যাটসম্যানরা অনেক রেকর্ড করেছে। তাও আশা করছি আমাদের বোলাররা ভালো করবে।’
দুই বছর আগে বেসিন রিজার্ভেই সাকিব-মুশফিকের ৩৫৯ রানের রেকর্ড জুটিতে ৫৯৫ রানের বিশাল স্কোর দাড় করিয়েছিল বাংলাদেশ। তবে নেইল ওয়াগনারের বোলিং তোপে শেষ পর্যন্ত জয় হয়েছে কিউইদেরই। সেবার দুর্দান্ত কিছু বাউন্সারে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের কুপোকাত করেছিলেন তিনি। বোল্ট এবারো বাউন্সারেই ঘায়েল করতে চান তামিমদের, ‘আমার মনে হয় বাংলাদেশও জানে যে আমরা বাউন্সার দেবো। যখন পিচে খুব বেশিকিছু থাকে না বোলারদের জন্য, যখন একদমই সুইং হয় না, তখন এটা দারুণ কাজে দেয়। ওয়াগনার এটা ভালো করতে পারে। বহু ম্যাচেই সে এমনটা করে সাফল্য পেয়েছে। এবারো আশা করি সেটার ব্যতিক্রম হবে না।’
প্রথম টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসের মতো এবারো বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা ভালো প্রতিরোধ গড়ে তুলবে, ধারণা বোল্ট, ‘টেস্ট ক্রিকেট কখনোই সহজ হয় না। আগের টেস্টের দ্বিতীয় ইনিংসে প্রতিটা উইকেটের জন্য আমাদের পরিশ্রম করতে হয়েছে। এবারো এমনটা হতে পারে। এটাই টেস্ট ক্রিকেটর সৌন্দর্য্য। এই চ্যালেঞ্জটা আমরা সবাই নিতে ভালোবাসি।’
শেষ পর্যন্ত বেসিন রিজার্ভে বাংলাদেশি ব্যাটসম্যানরা কতটুক প্রতিরোধ গড়তে পারে, সেটা জানা যাবে আগামী পরশুই।