• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    'হাস্যকর শোনালেও আমরা এর চেয়ে ভালো করতে পারি'

    'হাস্যকর শোনালেও আমরা এর চেয়ে ভালো করতে পারি'    

    হ্যামিল্টনের পর ওয়েলিংটন, আবারও সেই একই ব্যর্থতার আবর্তে ঘুরপাক বাংলাদেশ। বৃষ্টি এসেও ইনিংস পরাজয়ের অনিবার্যতা এড়াতে পারল না, আড়াই দিনের আগেই শেষ হয়ে গেল ম্যাচ। ওয়েলিংটনে ক্রমশ ব্যর্থতার পরও বাংলাদেশ অধিনায়ক মাহমুদউল্লাহ রিয়াদ বলছেন, বাংলাদেশ এর চেয়ে ভালো করতে পারে।  

    কথাগুলো অনেকটা ভাঙা টেপ রেকর্ডারের মতোই শোনাতে পারে। নিউজিল্যান্ডে একেকটা ম্যাচ যাচ্ছে, আর একই কথা বলতে হচ্ছে ঘুরেফিরে। টেস্টে ব্যাটিং মানে একই চিত্রনাট্য- সেই ওয়াগনারের শর্ট বলে খাবি খাওয়া। সেই একই কথাই আবার বলতে হলো মাহমুদউল্লাহ, ‘প্রথম ইনিংসে তামিম ও সাদমান আমাদের একটা ভালো শুরু এনে দিয়েছিল। ওয়াগনার বাউন্সার দিয়ে যাচ্ছিল, তারপরও ওকে আমরা ভালোই সামলাচ্ছিলাম। কিন্তু এর পরেই আমরা খেই হারিয়ে বসি।’

    মাহমুদউল্লাহ বলছেন, এই প্রতিজ্ঞাটা লম্বা সময় ধরে দেখাতে হবে, ‘আমাদের লম্বা সময় ধরে প্রতিজ্ঞাটা দেখাতে হবে। আমাদের অনেক ব্যাটসম্যানরা আধাখেচড়া শট খেলছে, পুরোপুরি মনযোগ ধরে রাখতে পারছে না। একবার ভাবছে শট খেলবে, একবার ভাবছে খেলবে না। নিজের ওপর আস্থা রাখতে হবে। আপনি যদি আক্রমণ করতে চান তাহলে বাউন্সার কীভাবে সামলাতে হবে সেটাও জানতে হবে।’

    মাহমুদউল্লাহ জানেন, ক্রাইস্টচার্চে আরও কঠিন পরীক্ষা অপেক্ষা করছে বাংলাদেশের জন্য, ‘ক্রাইস্টচার্চের উইকেট আরও বেশি দ্রুতগতির হতে পারে। আমাদের ব্যাটসম্যানদের আরও বেশি দায়িত্ব নিতে হবে, বিশেষ করে দলে যখন তিন বোলারই নতুন। আমার মনে হয় ব্যাটসম্যানদেরই বেশি দায় নেওয়া উচিত। আড়াই দিনের মধ্যে আমরা দুই বার অলআউট হয়েছি।’

    কিন্তু বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের আসলেই কি শর্ট বল সামলানোর ক্ষমতা আছে? মাহমুদউল্লাহ সতীর্থদের হয়েই কথা বললেন, ‘আমরা আগে জানতাম ওয়াগনার একটা ফ্যাক্টর হবে। পেসারদের জন্য পিচে অবশ্যই কিছু ছিল, তবে আমরা কাজে লাগাতে পারিনি। আমার মনে হয় শর্ট বল সামলানোর মতো ট্যাকটিক্যাল ক্ষমতা আমাদের ব্যাটসম্যানদের আছে। ওয়াগনার এবার শর্ট বলটা আরেকটু সামনে ফেলেছে। হ্যামিল্টনে সেটা খেলা বা ছেড়ে দেওয়া একটু সহজ ছিল। এখানে সে পিচ থেকে একটু বেশি সাহায্য পেয়েছে। তবে কৃতিত্ব ওকে দিতেই হবে।’

    সেই ২০০১ সালে নিউজিল্যান্ড সফরে প্রথম বার যে দুর্দশা, এবার তারও ব্যতিক্রম নেই। মাহমুদউল্লাহ মনে করছেন, দল হিসেবে বাংলাদেশ এবার যা খেলছে, তার চেয়ে ভালো করার সামর্থ্য তাদের আছে, ‘১৭ বছর আগের চেয়ে এখন আমাদের ক্রিকেটারদের স্কিলের অনেক উন্নতি হয়েছে। তবে মানসিকভাবে আমাদের আরেকটু শক্ত হওয়া লাগবে। নইলে অপশন নেই। প্রথম টেস্টের আগেও আমি বলেছিলাম আমাদের ইতিবাচক থাকতে হবে। আমরা যদি প্রথম থেকেই মনে করি সুইং হবে, সুইং হবে, আউট হয়ে যেতে পারে, তাহলে ম্যাচের আগেই আপনি হেরে যেতে পারেন। আপনি ইতিবাচক থাকলে বেটার করার সুযোগ থাকবে। এটাই আমার বার্তা থাকবে। হয়তো শুনতে হাস্যকর লাগবে,  আমি আশাবাদী আমাদের এর চেয়ে ভালো করার সামর্থ্য আছে। হ্যামিল্টন বা ওয়েলিংটনে যেরকম খেলেছি, আমরা এর চেয়ে ভালো দল বলেই মনে করি। এখন পারফরম্যান্সে সেটা আমাদের অনূদিত করতে হবে।’

     

     

    ক্রাইস্টচার্চেও নিজের কথাটা একটু হলেও কাজে পরিণত করার শেষ সুযোগ মাহমুদউল্লাহর।