সংখ্যায় সংখ্যায় অস্ট্রেলিয়ার 'ভারত-জয়'
সিরিজ শুরুর আগে কেউ যদি এমন ফলাফলের ভবিষ্যৎবাণী করতেন, তাকে নিয়ে কিছুটা হাসাহাসিই হতো হয়ত! শেষ দুই বছরে যে অস্ট্রেলিয়া দল ওয়ানডে সিরিজই জেতেনি, তাঁরাই কিনা ভারতকে নিজেদের মাটিতে হারিয়ে দেবে? প্রথম দুই ম্যাচে হারের পর সিরিজ তো বটেই, অস্ট্রেলিয়ার সামনে চোখ রাঙ্গাচ্ছিল হোয়াইটওয়াশও। সেখান থেকেই শুরু অস্ট্রেলিয়ার অবিশ্বাস্য ফিরে আসার গল্পের। শেষ তিন ম্যাচ জিতে ৩-২ ব্যবধানে সিরিজ জিতল অ্যারন ফিঞ্চের দল।
২
দুই বছর পর ওয়ানডে সিরিজ জিতল অস্ট্রেলিয়া। শেষবার তাঁরা ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল ২০১৭ সালে পাকিস্তানের বিপক্ষে।
৫
কমপক্ষে পাঁচ ম্যাচের সিরিজে ২-০ তে পিছিয়ে থাকার পর সেই দলের সিরিজ জয়ের ঘটনা ঘটল এই পঞ্চমবার। ২০০৩-০৪ মৌসুমে পাকিস্তান ও ২০১৫-১৬ তে ইংল্যান্ডের বিপক্ষে এটা করেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। ২০০৪-০৫ এ জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরেও পরে ৩-২ এ সিরিজ জিতেছিল বাংলাদেশ। ২০০৪-০৫ মৌসুমে ভারতের বিপক্ষে ছয় ম্যাচের সিরিজের প্রথম দুই ম্যাচ হেরেও শেষ পর্যন্ত সিরিজ নিজেদের করে নিয়েছিল পাকিস্তান।
৬
ভারতের বিপক্ষে এই সিরিজের আগে টানা ছয়টি ওয়ানডে সিরিজ হেরেছে অস্ট্রেলিয়া। অজিরা সর্বশেষে অ্যাওয়ে সিরিজ জিতেছিল ২০১৬ সালে শ্রীলংকার বিপক্ষে।
১৪
এই সিরিজে অস্ট্রেলিয়ান পেসার প্যাট কামিন্স নিয়েছেন ১৪ উইকেট। দ্বিপাক্ষিক সিরিজে এটাই অস্ট্রেলিয়ার হয়ে সেরা। মিচেল জনসন ও ক্লিন্ট ম্যাককেও সমান সংখ্যক উইকেট পেয়েছিলেন যথাক্রমে ভারত ও পাকিস্তানের বিপক্ষে সিরিজে।
৩৮৩
উসমান খাওয়াজা পাঁচ ম্যাচের সিরিজে করেছেন ৩৮৩ রান। কমপক্ষে পাঁচ ম্যাচের দ্বিপাক্ষিক সিরিজে ভারতের বিপক্ষে এটাই প্রতিপক্ষ ব্যাটসম্যানের সর্বোচ্চ রান। এই সিরিজের আগে কোনো ওয়ানডে সেঞ্চুরি ছিল না খাওয়াজার, এই পাঁচ ম্যাচেই করলেন দুটি সেঞ্চুরি।
২০০৯
প্রথম দুই ম্যাচ জেতার পর শেষ তিন ম্যাচ হেরে সিরিজ খুইয়েছে বিরাট কোহলির দল। ২০০৯ সালের পর এই প্রথম ঘরের মাঠে টানা তিন ওয়ানডে হারের স্বাদ পেতে হলও তাদের। ২০০৯ সালেই শেষবার ভারতের মাটিতে ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল অস্ট্রেলিয়া। ২০১৬ সালে শেষবার টানা তিন ওয়ানডেতে হেরেছিল ভারত, সেটা ছিল অস্ট্রেলিয়ায়।