• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    শেষ বলে শফিউলের চারে অবিশ্বাস্য জয় মোহামেডানের

    শেষ বলে শফিউলের চারে অবিশ্বাস্য জয় মোহামেডানের    

    প্রাইম দোলেশ্বর-মোহামেডান, মিরপুর
    প্রাইম দোলেশ্বর স্পোর্টিং ক্লাব ২৪৮/৮, ৫০ ওভার 
    মোহামেডান স্পোর্টিং ক্লাব ২৫১/৯, ৫০ ওভার 
    মোহামেডান ১ উইকেটে জয়ী 


    বিপক্ষ গাজী গ্রুপ। লক্ষ্য- ১৮৩। ফল- ২৮ বল বাকি থাকতে ৩ উইকেটে জয়ী। 
    বিপক্ষ খেলাঘর। লক্ষ্য- ২২৬ ফল- ৪ বল বাকি থাকতে ৪ উইকেটে জয়ী। 
    বিপক্ষ প্রাইম দোলেশ্বর। লক্ষ্য- ২৪৯। ফল- ১ বল বাকি থাকতে ১ উইকেটে জয়ী। 

    লক্ষ্য যতো বাড়ছে, ততো রোমাঞ্চ বাড়ছে যেন মোহামেডানের রানতাড়ায়। এবার শেষ বলে চার মেরে তাদেরকে জিতিয়েছেন শফিউল ইসলাম। শেষ ওভারে প্রয়োজন ছিল ৩ রান, তবে প্রথম পাঁচ বলে এসেছিল মাত্র ১ রান। আরাফাত সানির শেষ বলে শফিউলের চার নিশ্চিত করেছে মোহামেডানের ১ উইকেটের অবিশ্বাস্য জয়। 

    ২৪৯ রানের লক্ষ্যে মোহামডান পথ হারিয়েছিল, ১২৫ রানেই তারা হারিয়েছিল ৭ উইকেট। ৮ম উইকেটে সোহাগ গাজি ও আলাউদ্দিন বাবু মিলে যোগ করেছেন ৭৭ রান। এরপর বাবু ফিরেছেন ৪৩ বলে ৩৮ রান করে, জয় থেকে তখনও ৪৭ রান দূরে মোহামেডান। শফিউলকে সঙ্গে করে ৯ম উইকেটে সোহাগ তুললেন ৪৩ রান, যেখানে প্রথমজনের অবদান মাত্র ৬ রান। ৪৯তম ওভারের প্রথম বলে ফরহাদ রেজাকে ছয় মারার পরের বলেই সোহাগ আউট হলে ম্যাচের পট বদলায় আরেকবার। ৪০ বলে ফিফটি করেছিলেন সোহাগ, আউট হয়েছেন ৫১ বলে তিন চার ও ছয় ছয়ে ৭০ রান। 

    রেজার সে ওভারে এসেছে আর মাত্র ১ রান। এরপর শেষ ওভারে আরাফাত সানির দ্বিতীয় বলে সিঙ্গেল নিয়েছিলেন সাকলাইন সজিব। এরপর তিন বল ডট দিয়েছিলেন শফিউল। এরপর তো শেষ বলের ওই রোমাঞ্চ। 

    অথচ রেজাদের তোপে মোহামেডান ইনিংসের প্রথমভাগে উইকেট হারিয়েছে বেশ নিয়মিত বিরতিতে, শুধু ৫ম উইকেটে ইরফান শুক্কুর ও নাদিফ চৌধুরির জুটিতে উঠেছিল ৫৬ রান। ১২৫ রানেই তারা হারিয়েছিল ৬ষ্ঠ ও ৭ম উইকেট। 

    মিরপুরে টসে হেরে ব্যাটিংয়ে নেমে শুরুটা বাজে হয়েছিল দোলেশ্বরেরও, শেষদিকে গিয়ে পথে ফিরেছে তারা। ২৫ রানে ২ উইকেটের পর তারা একসময় পরিণত হয়েছিল ৪ উইকেটে ৬৫ রানে। ৫ম উইকেটে মার্শাল আইয়ুব ও তাইবুর রহমান যোগ করেছেন ১১৭ রান। ৭৬ বলে ৬৮ রান করে আইয়ুব ফিরলেও তাইবুর অপরাজিত ছিলেন ৮৩ বলে ৭২ রানে। 

    ৬ষ্ঠ উইকেটে পাকিস্তানী সাদ নাসিমকে নিয়ে তাইবুরের জুটি ছিল ৩৯ রানের। শেষদিকে মাহমুদুলের ৭ বলে ১৬ রানের ক্যামিওতে ২৪৮ পর্যন্ত গিয়েছিল দোলেশ্বর। তিনটি করে উইকেট নিয়েছিলেন শফিউল ও বাবু। 

     

     

    পরে জয়ের দিকে অনেকখানি এগিয়ে যাওয়ার পরও যে ওই শফিউল ও বাবুদের ব্যাটেও থমকে যাবে দোলেশ্বর, সেটা কে জানতো!