• বাংলাদেশের নিউজিল্যান্ড সফর
  • " />

     

    'ট্রমা' কাটাতে আসতে পারেন মনোবিদ, সৌম্যরা দ্রুতই ফিরতে চান মাঠে

    'ট্রমা' কাটাতে আসতে পারেন মনোবিদ, সৌম্যরা দ্রুতই ফিরতে চান মাঠে    

    ক্রিকেটারদের জন্য এর আগেও এসেছেন মনোবিদ। হয়তো সামনেই আসবেন আবারও। তবে এবার শুধু মাঠের খেলা নয়, মনোবিদ সাহায্য করতে পারেন ক্রিকেটারদের মৃত্যুমুখ থেকে ফিরে আসার দুস্মৃতি ভোলাতে। ক্রাইস্টচার্চে মসজিদে ভয়ঙ্কর সন্ত্রাসী হামলা থেকে বেঁচে ফেরা ক্রিকেটাররা সে স্মৃতি কাটিয়ে উঠতেও শরণাপণ্ণ হতে পারেন মনোবিদের, জানিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান। 

    “এ রকম কিছু চিন্তা করছি। আমরা ওদের পর্যবেক্ষণে রেখেছি। তবে এ জন্যই যে মনোবিদ আসবে, তা নয়। আমরা ঠিক করেছি যে, সব মিলিয়ে, বিশ্বকাপ আছে সামনে.. তার আগে একজন মনোবিদ এসে যদি ওদের সাথে সময় কাটায় তা দলের জন্যই ভালো। তখন যদি মনে হয় কারো বিশেষ কোনো সাহায্য দরকার, তাহলে অবশ্যই তা নেয়া হবে”, বলেছেন নাজমুল। 

    এর আগে ক্রাইস্টচার্চ থেকে দেশে ফেরার পর বিমানবন্দরে বিসিবি প্রেসিডেন্ট বলেছিলেন, আপাতত কয়েকদিন নিতান্তই পরিবারের সঙ্গে সময় কাটাতে পরামর্শ দিয়েছেন তিনি ক্রিকেটারদের, ক্রিকেটের কথা ভুলে। আজ ক্রিকেটাররা এসেছিলেন মিরপুরে, বিসিবির প্রধান কার্যালয়ে অনুষ্ঠিত দোয়া অনুষ্ঠানে অংশ নিতে। 

    নাজমুল বলছেন, ক্রিকেটারদের ঠিকমতো ফেরা উপলক্ষ্যেই এ অনুষ্ঠান, “না না.. ওই সব বিষয় নিয়ে খেলোয়াড়দের সাথে আরো কোনো কথা হয়নি। ওরা ঠিক মতো এলো, এ জন্য শুকরিয়ার জন্য একটা দোয়া মাহফিল করা হলো। এ ছাড়া ক্রাইস্টচার্চে কতো মুসলমান মারা গেলো, ওখানে বাংলাদেশিও ছিলো পাঁচজন, তাদের রুহের মাগফিরাত কামনা করা হলো। আমরা দোয়া করেছি। এটাই মূল উদ্দেশ্য ছিলো।”

    “এ ছাড়া ওদের মানসিক অবস্থা বোঝারও ব্যাপার ছিলো। আসলে এর চেয়ে ভয়াবহ মানসিক অবস্থা তো আর হতে পারে না। তবে আমার বিশ্বাস ওরা দ্রুত মানসিক অবস্থা দ্রুত উন্নতি করতে পারবে।” 

    অবশ্য এ দুস্মৃতি কাটিয়ে ওঠার জন্য ক্রিকেটে ফেরাকেই উপায় হিসেবে দেখছেন কয়েকজন। ক্রিকবাজ জানিয়েছে, আবাহনীর হয়ে সৌম্য সরকার খেলতে যাচ্ছেন প্রিমিয়ার লিগের পরের ম্যাচই, ১৯ মার্চ। ক্রাইস্টচার্চের সেই ভয়াল দুপুরের ঘটনা একা থাকলেই তাড়া করে ফিরছে বলে জানিয়েছেন তিনি। 

    এরকম পরামর্শ জাতীয় ওয়ানডে দলের অধিনায়ক মাশরাফিরও, “আমার মনে হয় এ ট্রমা কাটিয়ে ওঠার সবচেয়ে ভাল উপায় হচ্ছে মাঠে ফেরা। বদ্ধ ঘরে থাকলে এ থেকে মুক্তি পাওয়া কঠিন। আমি সৌম্যকে তাই দ্রুত প্রিমিয়ার লিগে যোগ দিতে বলেছি। এখন চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত তারই।” 

    টেস্ট দলের ওপেনার সাদমান ইসলাম আবার বাড়িতে মুখোমুখি হচ্ছেন আরেক সমস্যার। তার বাবা বিসিবির ডেভলপমেন্ট কমিটির হয়ে কাজ করা শহিদুল ইসলাম ক্রিকবাজকে বলেছেন, “আমি দ্রুতই তাকে মাঠে ফিরতে বলেছি, কারণ সে ঘরে চাপের মধ্যে আছে। অনেক আত্মীয়-স্বজন আসছে, এ ঘটনায় নানা কিছু জিজ্ঞাসা করছে। সে ব্যাপারটা নিয়ে অস্বতিতে আছে।”

     

     

    পিঠের সমস্যায় অবশ্য ঠিক পরের ম্যাচেই নাও খেলা হতে পারে সাদমানের। তবে সৌম্যর মতো তিনিও মাঠের খেলায় ফিরতে চান যত দ্রুত সম্ভব।