• আইপিএল ২০১৯
  • " />

     

    টি-টোয়েন্টির জন্য 'আদর্শ' নয় চিদাম্বরমের উইকেট?

    টি-টোয়েন্টির জন্য 'আদর্শ' নয় চিদাম্বরমের উইকেট?    

    ৭০ রানে অল-আউট এক দল, আরেক দল সেটা তাড়া করতে খেলেছে ১৭.৪ ওভার। আইপিএলের উদ্বোধনী ম্যাচে চেন্নাইয়ের এমএ চিদাম্বরম স্টেডিয়ামের উইকেট বেশ একটা পরীক্ষা নিয়েছে ব্যাটসম্যানদের। এ উইকেট টি-টোয়েন্টির জন্য ঠিক ‘আদর্শ’ কিনা, প্রশ্ন উঠেছে সেটা নিয়ে। ম্যাচ শেষে উইকেট নিয়ে ‘অসন্তোষ’ লুকাননি দুই অধিনায়ক- এমএস ধোনি ও বিরাট কোহলি। অবশ্য ভিন্নমত চেন্নাই স্পিনার হরভজন সিংয়ের, উইকেট বোলারদের পক্ষে গেলেই সবাই অভিযোগ করে বলে মত তার। 

    চিদাম্বরমের উইকেট চারদিন ছিল কাভারের নিচে, চেন্নাই-বেঙ্গালুরুর ম্যাচে শুরু থেকেই ছিল টার্ন, ছিল ধীরগতির। ম্যাচে যে ১৩ উইকেট পড়েছে, তার ১০টিই নিয়েছেন স্পিনাররা। ম্যাচের পরের অংশে শিশির থাকলেও টার্ন কমেনি উইকেটে। ম্যাচ হেরে হতাশ বেঙ্গালুরু অধিনায়ক কোহলি বলেছেন, এ উইকেটের ম্যাচ দিয়ে আইপিএলের শুরুটা ঠিক যুতসই হয়নি। আর চেন্নাই অধিনায়ক ধোনির মতে, এ উইকেটের উন্নতি দরকার অবশ্যই। 

    আইপিএল শুরুর আগে এ মাঠে একটা প্রস্তুতি ম্যাচ খেলেছিল চেন্নাই সুপার কিংস, তবে এরপরও এখানে যুতসই স্কোর খুঁজে পাননি বলে টসে জিতে ফিল্ডিং নিয়েছিলেন ধোনি। ম্যাচ জিতলেও এ উইকেটের রহস্য উদঘাটন করতে পারেননি তিনি, “আমি কখনই আশা করিনি উইকেট এমন হবে। এটা বেশ ধীরগতির ছিল। অবশ্যই এ উইকেটের উন্নতি প্রয়োজন।

     

    চিদাম্বরমের উইকেটে জ্বলে উঠেছিলেন হরভজন/ক্রিকইনফো

    “এমনকি শিশির পড়লেও উইকেট টার্ন করছিল। হাই স্কোরিং ম্যাচের (উপযোগী) হতে হবে এটিকে। আপনি ১৪০-১৫০ এর আশা করবেন, ৮০, ৯০, ১০০ বা ১২০ বেশ লো স্কোর। উইকেটের আচরণ যেমন ছিল, জেনুইন স্পিন আক্রমণ থাকলেই রান করা বেশ মুশকিল হয়ে পড়বে।” 

    প্রায় একই রকম মত কোহলিরও, “কেউই ভাবেনি উইকেট এমন হবে। পরের দিকে শিশিরের কারণে আমরা ভেবেছিলাম ১৪০-১৫০ আদর্শ স্কোর হবে। তবে আমার মনে হয় না কোনো দলই এখানে খেলাটা উপভোগ করবে। বিশেষ করে টি-টোয়েন্টি ক্রিকেটে, যেখানে সবাই রান চায়, সেটা শুরুতে হোক বা তাড়া করার ক্ষেত্রে হোক।” 

    অবশ্য উইকেট নিয়ে ভিন্নমত ম্যাচসেরা হরভজনের। ২৩ রানে ৪ উইকেট নেওয়া অফস্পিনার বলছেন, উইকেট বোলারদের পক্ষে গেছেই বলেই এতো আলোচনা, “দেখুন, ব্যাটিংয়ের জন্য উইকেটটি কঠিন, তবে একদমই খেলা যাবে না এমন না। ১৭০-১৮০ রান করলে তো কেউ অভিযোগ করে না। একটু টার্ন বা সিম থাকলেই সবার সমস্যা হয়ে যায়, তখন সবার প্রশ্ন, “হচ্ছেটা কী!”। মানুষ আসলে ভুলেই গেছে, ক্রিকেটে বোলারদেরও একটা কাজ আছে। ব্যাটসম্যানদেরও মাঝে মাঝে ভোগা উচিৎ, তাহলে এটা বুঝা যাবে যে এটা আসলে ব্যাট আর বলের লড়াই। আর এটা ঠিক ৭০ রানেরও উইকেট না, তারা (বেঙ্গালুরু ব্যাটসম্যানরা) বেশ কিছু উলটাপালটা শট খেলেছে।” 

     

     

    এ উইকেটে ব্যাটসম্যানদের বেশ একটা পরীক্ষা হয়ে গেছে বলে মানছেন ম্যাচে ২৮ রান করে দ্বিতীয় সর্বোচ্চ স্কোরার আম্বাতি রাইডু। তার কাছে মনে হয়েছে, চিদাম্বরমের উইকেট যেন ‘প্রথম শ্রেণির’ উইকেটের মতোই কঠিন।