• আইপিএল ২০১৯
  • " />

     

    এবার এমসিসি বলল, অশ্বিন কাজটা ঠিক করেননি

    এবার এমসিসি বলল, অশ্বিন কাজটা ঠিক করেননি    

    রবিচন্দ্রন অশ্বিনের ওই ঘটনা নিয়ে বিতর্ক যেন থামছেই না। জস বাটলারকে ‘মানকাড’ করার দুই দিন পর ক্রিকেটের আইন নিয়ন্ত্রক সংস্থা মেরিলিবোন ক্রিকেট ক্লাব (এমসিসি) এক বিবৃতিতে বলেছিল, অশ্বিন ক্রিকেটের আইন মেনেই কাজটা করেছেন। কাল আবার এমসিসির ক্রিকেট অ্যাকাডেমি ম্যানেজার ফ্রেজার স্টুয়ার্ট এক বিবৃতিতে বলেছেন, অশ্বিনের কাজটা ক্রিকেটের চেতনাবিরোধী হয়েছে।

    বাটলারকে আউট করার ওই ঘটনার পর অশ্বিন দাবি করেছিলেন, কাজটা পরিকল্পনা করে নয়, আচমকাই করে ফেলেছেন। সেই ঘটনা এবার বার বার বিশ্লেষণ করে ফ্রেজার ইংরেজি দৈনিক দ্য টেলিগ্রাফকে বলেছেন, ‘ওই ঘটনা বার বার বিশ্লেষণ করার পর আমার মনে হয়েছে ওটা ক্রিকেটের চেতনার সঙ্গে যায় না। আমার মনে হয় অশ্বিন যে টাইমে ক্রিজে ও ছিল বল ছোঁড়ার প্রত্যাশিত যে সময় ছিল এই দুইটির মধ্যে বিরতিটা একটু বেশি বড় হয়ে গেছে। বাটলার যখন আশা করেছিল অশ্বিন বলটা ছাড়বে তখন ওর ব্যাট হয়তো ক্রিজের ভেতরেই ছিল।’

    তবে ফ্রেজার স্টুয়ার্ট এসব ঘটনায় ব্যাটসম্যানদের দায়ের কথাও বললেন আবার, ‘নন স্ট্রাইকারদের আগেভাগে ক্রিজ থেকে বেরিয়ে যাওয়াটাও ক্রিকেটের চেতনার সঙ্গে যায় না। আমি বলব, বোলার বল ছোঁড়ার আগে নন স্ট্রাইকার যদি ক্রিজে থাকে তাহলে এত কথাও হয় না।’

     

     

    কিন্তু প্রচলিত আইনে যে ফাঁক আছে, সেটার ব্যাপারে এমসিসি কি ভাবছে? ইএসপিএনক্রিকইনফোকে ফ্রেজার পরিষ্কার করলেন, ‘দেখুন ২০১০ সাল পর্যন্ত এমসিসির আইন ও আইসিসির প্লেয়িং কন্ডিশন এই ব্যাপারে এক ছিল। ২০০০ সালে এমসিসি আইন করেছিল যে বোলার বল করার জন্য ক্রিজে পেছনের পা নিলেই নন স্ট্রাইকার ক্রিজ ছাড়তে পারবে। তবে আইসিসির কাছে মনে হয়েছিল এই নিয়ম ব্যাটসম্যানদের বাড়তি সুবিধা দিচ্ছে। সেজন্য ওরা এই নিয়ম রাখেনি। ২০১১ থেকে ২০১৭ সাল পর্যন্ত এখানে এমসিসির আইন ও আইসিসির নিয়ম আলাদা ছিল। ২০১৭ সালে আইসিসির সাথে সমন্বয় করার জন্য এমসিসিও এই ব্যাপারে পরিবর্তন আনে। এখানে এখন কথা হচ্ছে, এখানে আইনের পরিবর্তন আনা যায় কি না। অনেকেই বলেছে, বল ছোঁড়ার ‘প্রত্যাশিত’ যে সময়ের কথা হচ্ছে সেটা আসলে ধরাবাঁধা কোনো নিয়ম নেই। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে, আমাদের যখন আইন করতে হবে, শুধু টিভি ক্যামেরায় না, এর বাইরেও যারা ক্লাব বা অন্যান্য ক্রিকেট খেলে তাদের কথাও মাথায় রাখতে হবে।’