নো-বল বিতর্কের পর আইপিএলে আম্পায়ারিং নিয়ে ফুঁসছেন কোহলি
‘মানকাড’ বিতর্কের পর এবার আইপিএলের এ মৌসুমকে আঘাত করলো গুরুত্বপূর্ণ সময়ে বাজে আম্পায়ারিং। রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু ও মুম্বাই ইন্ডিয়ানসের ম্যাচের শেষ বলে বেশ স্পষ্ট ওভারস্টেপিংয়ের নো বল মিস করে গেছেন আম্পায়ার এস রভি, যিনি আইসিসির এলিট প্যানেলের আম্পায়ার। এ নিয়ে রীতিমতো ফুঁসছিলেন ৬ রানে ম্যাচ হারা বেঙ্গালুরু অধিনায়ক বিরাট কোহলি, হতাশা জানিয়েছেন জয়ী মুম্বাইয়ের অধিনায়কের রোহিত শর্মাও।
শেষ বলে বেঙ্গালুরুর প্রয়োজন ছিল ৭ রান। লাসিথ মালিঙ্গা ব্লকহোলে করেছিলেন, সেটা লং-অনে ঠেলেও রান নেননি শিভাম দুবে ও ডি ভিলিয়ার্স। তবে ম্যাচশেষে ক্রিকেটাররা যখন করমর্দনে ব্যস্ত, তখনোই বিগস্ক্রিনে দেখানো হয়েছে, মালিঙ্গার পা ছিল পপিং ক্রিজের বাইরে। সেটি নো-বল হলে বাড়তি একটি বল পেতো বেঙ্গালুরু, সেক্ষেত্রে সিঙ্গেলটা নিলে স্ট্রাইকে থাকতে পারতেন ৪১ বলে ৭০ রান করে বেঙ্গালুরুকে প্রায় জয় এনে দেওয়া এবি ডি ভিলিয়ার্স। ১৮৮ রানতাড়ায় ডি ভিলিয়ার্সের আগে বেঙ্গালুরুকে ঠিক পথে রাখতে সহায়তা করেছিল কোহলির ৩২ বলে ৪৬ রানের ইনিংসও।
চতুর্থ আম্পায়ারের সঙ্গে বেশ উত্তপ্ত বাক্যবিনিময় হয়েছে এরপর বেঙ্গালুরুর কোচিং স্টাফ আশিষ নেহরার। আর পুরস্কার বিতরণীতে রীতিমতো আম্পায়ারিংকে ধুয়ে দিয়েছেন কোহলি। তিনি বলেছেন, “আমরা আইপিএল পর্যায়ে খেলছি, কোনও ক্লাব ক্রিকেট না। শেষ বলের এই সিদ্ধান্তটা স্রেফ হাস্যকর একটা ব্যাপার। আম্পায়ারদের চোখ খোলা রাখা উচিৎ। এটা প্রায় এক ইঞ্চির ব্যবধানে নো-বল হয়। তাহলে ম্যাচের চিত্রটাই বদলে যায়। আমি জানি না, আরও সূক্ষ্ণ ব্যবধানের ম্যাচ হলে এটি (এর প্রভাব) কেমন হতো। তাদের (আম্পায়ারদের) আরও সূক্ষ্ণ ও সাবধান থাকা উচিৎ।”
শেষ বলে এটি নো ডাকেননি আম্পায়ার/টুইটার
ডি ভিলিয়ার্সের অসাধারণ ইনিংসের পর ১৯তম ওভারে জাসপ্রিত বুমরাহর জাদুকরী ওভারে (৫ রান, ১ উইকেট) ম্যাচের নিয়ন্ত্রণ ফিরে পেয়েছিল মুম্বাই। তবে শেষ ওভারের প্রথম বলেই মালিঙ্গাকে ছয় মেরে আবারও বেঙ্গালুরুকে আশা জোগান দুবে। অবশ্য মালিঙ্গা এরপরই ফিরে আসেন, পরের চার বলে চারটি সিঙ্গেল নিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স- দুবে। আর শেষ বলে গিয়ে আশাই ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা, উল্লাসে মেতেছে মুম্বাই।
ম্যাচ জিতলেও বাজে আম্পায়ারিং নিয়ে পুরস্কার বিতরণীতে নিজের হতাশা জানিয়েছেন রোহিতও। ১৯তম ওভারের তৃতীয় বলে একটা ওয়াইড দিয়েছিলেন আরেক আম্পায়ার নন্দন, যেটি ছিল দাগের ভেতরেই। অবশ্য পরের বলেই কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম আউট হওয়ায় চাপা পড়েছিল সেই ভুল। রোহিত মনে করিয়ে দিয়েছেন সেটাও, “সত্যি বলতে কি, মাঠ ছাড়ার পর জানতে পেরেছি এটি নো-বল ছিল। এই ধরনের ভুল ক্রিকেটের জন্য ভাল না। তার আগের ওভারে বুমরাহ একটা বল করেছিল, যেটা ওয়াইড ছিল না, কিন্তু দেওয়া হয়েছে। আম্পায়ারদের তো এসব দেখা উচিৎ।”
আইপিএলের এ আসরে ডিসিশন রিভিউ সিস্টেম আছে, আর নো-বলের ক্ষেত্রে আম্পায়াররা নিতে পারেন প্রযুক্তির সহায়তাও। তবে সাধারণত ব্যাটসম্যান আউট না হলে সে সহায়তাটা নেন না আম্পায়াররা। ম্যাচশেষে স্টার স্পোর্টসের অনুষ্ঠানে এসব ক্ষেত্রেও প্রযুক্তির সহায়তা নেওয়ার ব্যাপারে বলেছেন কেভিন পিটারসেন ও ম্যাথু হেইডেন।