বেইরস্টো-ওয়ার্নার-নবীর দিনের পর হায়দরাবাদের 'মধুর সমস্যা'
হায়দরাবাদ ২৩১/২, ২০ ওভার
বেঙ্গালুরু ১১৩, ১৯.৫ ওভার
হায়দরাবাদ ১১৮ রানে জয়ী
প্রথমে জনি বেইরস্টো ও ডেভিড ওয়ার্নারের ঝড়। এরপর মোহাম্মদ নবীর ঘূর্ণি। আর তাতেই উড়ে গেল বিরাট কোহলি, এবি ডি ভিলিয়ার্সদের রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু। আইপিএলের এ মৌসুমে সানরাইজার্স হায়দরাবাদ জিতল টানা দুই ম্যাচ, আর টানা তিন ম্যাচ হারলো বেঙ্গালুরু। হায়দরাবাদের হয়ে এ ম্যাচে খেলেননি সাকিব আল হাসান, টানা দ্বিতীয় ম্যাচ তিনি কাটালেন বাইরে বসেই। তবে উইলিয়ামসনের বদলে নেমে নবী যা করলেন, তাতে মধুর এক সমস্যাতেই পড়ে গেছে হায়দরবাদ।
বেইরস্টো-ওয়ার্নার ঝড় শুরু করেছিলেন প্রথম থেকেই। ১৭তম ওভারে বিচ্ছিন্ন হয়েছেন তারা, এর আগেই ওপেনিং জুটিতে উঠেছে ১৮৫ রান, আইপিএলে যা রেকর্ড। ২৮ বলে ফিফটি করেছিলেন বেইরস্টো, সেঞ্চুরি ছুঁয়েছেন ৫২ বলে। ওয়ার্নার ফিফটি করেছিলেন ৩২ বলে, সেঞ্চুরি করতে তার লেগেছিল ৫৪ বল। দুজন মিলে চার মেরেছেন ১৭টি, যার ১২টিই মেরেছেন বেইরস্টো। আর ছয় মেরেছেন দুজন মিলে ১২টি।
আইপিএলে হায়দরাবাদের এটি সর্বোচ্চ স্কোর। এ নিয়ে চতুর্থবারের মতো এক ইনিংসে দুই সেঞ্চুরি এলো টি-টোয়েন্টিতে, আর দ্বিতীয়বার দুই ওপেনারই করলেন সেঞ্চুরি। এর আগে মিডলসেক্সের বিপক্ষে এই কীর্তি ছিল গ্লস্টারশায়ারের কেভিন ও’ব্রায়েন ও হামিশ মার্শালের।
ওয়ার্নার-বেইরস্টো ঝড় পেরিয়ে বেঙ্গালুরু এরপর পড়েছে নবীর তোপে। ২য় ওভারের শেষ বলে পার্থিব প্যাটেলকে দিয়ে শুরু, পরের ওভারের প্রথম বলেই ফিরেছেন শিমরন হেটমায়ার। নবী জাদু শেষ হয়নি তখনও, দুই বল পর উড়ে গেছে এবি ডি ভিলিয়ার্সের স্টাম্প। পরের ওভারে নবী উইকেট পাননি, তবে শেষ ওভারে নিয়েছেন শিভাম দুবের উইকেট। ৪-০-১১-৪, মৌসুমে প্রথমবার নেমেই নবী দেখালেন চমক!
প্রথম ম্যাচে ওয়ার্নার-বেইরস্টো-রশিদের সঙ্গে আরেক বিদেশী হিসেবে খেলেছিলেন সাকিব, পরের ম্যাচে উইলিয়ামসন ফেরায় বাদ পড়েছিলেন সাকিব। আজ উইলিয়ামসনের জায়গায় এসেছিলেন নবী, তবে নিয়মিত অধিনায়ক ফিট হলে কাকে ছেড়ে হায়দরাবাদ কাকে খেলাবে, মধুর হলেও সে এক সমস্যাই বটে!
বেঙ্গালুরু রানতাড়ায় অবশ্য বড় ধরনের সমস্যায় পড়ে গেছে নবীর শেষ ওভারের আগেই। ৭ম ওভারের প্রথম বলেই সন্দীপ শর্মা ফিরিয়েছেন কোহলিকে, আর ‘ধস থাকলে রান-আউট থাকবে একটা’ এর রীতি মেনে ফিরেছেন মইন আলি। ৩৫ রানেই ৬ উইকেট হারিয়ে বেঙ্গালুরুকে চোখ রাঙাচ্ছিল অন্যরকমের সব রেকর্ড!
৭ম উইকেটে কলিন ডি গ্র্যান্ডহোম ও অভিষিক্ত প্রয়াস রায় বর্মন মিলে ৫১ রান যোগ করে অবশ্যম্ভাবী পরাজয়টাই যা একটু বিলম্বিত করেছেন বেঙ্গালুরুর। এর আগে সবচেয়ে কম বয়সী হিসেবে আইপিএল অভিষেকের রেকর্ড গড়া বর্মনের দিনটা গেছে তার অন্য সতীর্থ বোলারদের মতোই বিভৎস, ৪ ওভারে এই লেগস্পিনার দিয়েছিলেন ৫৬ রান।
গ্র্যান্ডহোম-বর্মনের জুটির সময় প্রশ্ন ছিল একটাই, বেঙ্গালুরু ২০ ওভার খেলতে পারবে কিনা। সেটার খুব কাছাকাছি গিয়েছিল তারা, হায়দরাবাদে অল-আউট হওয়ার সময় বেঙ্গালুরুর ইনিংসে বাকি ছিল একটি বল!