ইন্টারকে অসম্মান করার শাস্তিতেই বাদ ইকার্দি!
অধিনায়কত্ব কেড়ে নেওয়ায় স্বেচ্ছায় স্কোয়াড থেকে সরে দাঁড়িয়েছিলেন তিনি। এরপর বহু বিতর্কিত এক ইনজুরির কারণে ইন্টার মিলানের হয়ে প্রায় দুই মাস মাঠে নামেননি মাউরো ইকার্দি। ইনজুরি কাটিয়ে অনুশীলনে ফিরলে লাতসিওর বিপক্ষে খেলা অনেকটাই নিশ্চিত ছিল তার। তবে সবাইকে অবাক করে গতকাল ইকার্দিকে বেঞ্চেই বসিয়ে রেখেছিলেন ইন্টার কোচ লুসিয়ানো স্পালেত্তি। স্পালেত্তি জানিয়েছেন, এতদিন ধরে ইন্টারকে অসম্মান করার 'শাস্তি' হিসেবেই ইকার্দির সাথে এমনটা করেছেন তিনি।
১৩ ফেব্রুয়ারি র্যাপিড ভিয়েনার বিপক্ষে ইউরোপা লিগের ম্যাচের আগে নেতৃত্ব থেকে সরিয়ে দেওয়া হয় ইকার্দিকে। ক্লাবের আকস্মিক এই সিদ্ধান্তে সেই ম্যাচে নিজের ইচ্ছাতেই খেলেননি তিনি। এর কয়েকদিন পর ইকার্দি জানান, হাঁটুর ইনজুরির কারণে মাঠে নামতে পারছেন না তিনি। মার্চের শুরুতে তাকে ফিট ঘোষণা করে ডাক্তাররা। তবে ফিট হলেও খেলতে অস্বীকৃতি জানিয়েছিলেন তিনি। এসব নিয়ে কোচ ও ক্লাব কর্তৃপক্ষের সাথে বেশ কয়েকবার কথা কাটাকাটিও হয়েছে তার। ইকার্দির ওপর স্পালেত্তির ক্ষোভটাও তাই দিনদিন বাড়ছিল।
শেষ পর্যন্ত লাতসিওর বিপক্ষে ম্যাচের কয়েকদিন আগে পুরোদমে অনুশীলনে ফেরেন ইকার্দি। এরপরই ‘বদলা’টা নিয়েছেন স্পালেত্তি। কাল তাকে একাদশে রাখেননি, বদলি হিসেবেও নামাননি। স্পালেত্তি সাফ জানিয়ে দিয়েছেন, ক্লাবকে অসম্মানের শাস্তি পেতে হবে ইকার্দিকে, ‘একজন ফুটবলারকে যদি এতোবার ক্লাবের হয়ে খেলার জন্য বলতে হয়, সেটা আসলে সমর্থক, ক্লাব, ফুটবলার সবার জন্যই লজ্জাজনক। দলে নেওয়ার আগে তার উকিলকে কি আমার মেইল পাঠাবে হবে? গত দুই মাসে তার ব্যবহারের কারণেই আজ তাকে বসিয়ে রাখা হয়েছে। সে এটারই যোগ্য।’
গত চার মৌসুমেই ইন্টারের হয়ে সর্বোচ্চ গোলদাতা ইকার্দিই। এই মৌসুমে এখন পর্যন্ত করেছেন এগারো গোল। কাল লাতসিওর কাছে হেরে আগামী মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগে সুযোগ পাওয়ার কাজটা কঠিন হয়ে গেছে ইন্টারের। এমন হারের পরেও স্পালেত্তি জানিয়েছেন, পারফরম্যান্সের চেয়ে শৃঙ্খলা ও ব্যবহারই বেশি গুরুত্বপূর্ণ, ‘ড্রেসিংরুমে আপানার ব্যবহারটা ভালো হওয়া দরকার। কোচ যে সঠিক সিদ্ধান্ত নিতে পারেন, এটা বিশ্বাস করতে হবে। ইকার্দি মাঠে থাকলেও তো আমরা অনেক বাজেভাবে ম্যাচ হেরেছি। পেশাদারিত্ব ও আত্মসম্মান খুব জরুরী, শৃঙ্খলাই সবকিছু।’
একটা সময় নিজেই খেলতে চাননি ইকার্দি, এবার তাকে দলে নেওয়া হয়নি। ইন্টারে ইকার্দির সময় কি তাহলে শেষই হয়ে এলো?