৮ রানে ৭ উইকেট হারিয়ে দিল্লীর অবিশ্বাস্য হার
স্কোর
পাঞ্জাব ২০ ওভারে ১৬৬/৯ ( মিলার ৪৩, সরফরাজ ৩৯; মরিস ৩/৩০)
দিল্লী ১৯.২ ওভারে ১৫২ ( পান্ট ৩৯, ইনগ্রাম ৩৮; কারান ৪/১১, শামি ২/২৭)
পাঞ্জাব ১৪ রানে জয়ী
এই ম্যাচটা হয়ত ডাগআউটে বসেই দেখতে হতো তাঁকে। ইনজুরির কারণে ক্রিস গেইল দলে না থাকাতেই দিল্লী ক্যাপিটালসের বিপক্ষে সুযোগ পেয়েছিলেন স্যাম কারান। সেই সুযোগটা দারুণভাবে কাজে লাগালেন ইংলিশ অলরাউন্ডার। তার দুর্দান্ত এক হ্যাটট্রিকেই অবিশ্বাস্যভাবে ১৪ রানে দিল্লীকে হারিয়েছে কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব।
চার ওভারে দিল্লীর দরকার ৩০ রান, হাতে আছে সাত উইকেট। ক্রিজে তখন দুই সেট ব্যাটসম্যান কলিন ইনগ্রাম ও রিশাভ পান্ট। দিল্লীর জয়টা তখন সময়ের ব্যাপারই মনে হচ্ছিল। ঠিক তখনই এলো মোহাম্মদ শামি ও কারানের অবিশ্বাস্য তিন ওভার। মাত্র ৮ রান ও ২০ বলের ব্যবধানে শেষ ৭ উইকেট হারাল দিল্লী।
১৬৭ রানের লক্ষ্যে ব্যাট করতে নেমে প্রথম বলেই পৃথ্বী শ’কে হারায় দিল্লী। এরপর শিখর ধাওয়ান, শ্রেয়াস আইয়ার দলকে সামলেছেন। তারা দুজন ফিরলে হাল ধরেন ইনগ্রাম ও পান্ট। ইনগ্রাম-পান্ট জুটি সহজ জয়ের দিকেই নিয়ে যাচ্ছিল দিল্লীকে। ১৭ তম ওভারের তৃতীয় বলে শামিকে বিশাল এক ছক্কা মেরে ম্যাচটা দিল্লীর জন্য আরও সহজ করে তুলেছিলেন পান্ট। এরপর টানা দুই বলে পান্ট ও ক্রিস মরিস আউট হলে ম্যাচে ফেরে পাঞ্জাব।
এর পরের গল্পটা শুধুই কারানের। ১৮ তম ওভারের চতুর্থ ও ষষ্ঠ বলে ফেরালেন ইনগ্রাম ও হারশাল প্যাটেলকে। ১৯ তম ওভারে শামি চার রান দিয়ে নিলেন হানুমা বিহারির উইকেট। শেষ ওভারে দিল্লীর দরকার ছিল ১৫ রান। তাদের আর কোন রানই করতে দিলেন না কারান। প্রথম দুই বলেই কাগিসো রাবাদা ও সন্দীপ লামিচানকে আউট করলে পেলেন হ্যাটট্রিক, পাঞ্জাব জিতল ১৪ রানে। পাঞ্জাবের হয়ে আইপিএলের ইতিহাসে চতুর্থ বোলার হিসেবে হ্যাটট্রিক পেলেন কারান। দ্বিতীয় কনিষ্ঠ বোলার হিসেবে আইপিএলে চার উইকেট নিয়েছেন তিনি।
দিল্লী তাদের শেষ সাত উইকেট হারিয়েছে আট রানের ব্যবধানে। আইপিএলের ইতিহাসে এটাই সবচেয়ে বড় ব্যাটিং বিপর্যয়।