মার্সিয়াংদিকে হারিয়ে এএফসি কাপে আবাহনীর দারুণ সূচনা
এএফসি কাপে গ্রুপ 'ই' এর প্রথম ম্যাচে নেপালের মানাং মার্সিয়াংদিকে ১-০ গোলে হারিয়েছে ঢাকা আবাহনী লিমিটেড। কাঠমুন্ডু যাওয়ার আগে আবাহনী কোচ মারিও লেমস জয়ের ব্যাপারে আত্মবিশ্বাসী ছিলেন। আনাফা কমপ্লেক্সে তার দলের খেলাতেও সেটা ফুটে উঠল। অ্যাওয়ে ম্যাচে দুর্দান্ত এক জয় দিয়ে টুর্নামেন্টে দারুণ সূচনা করলো বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা।
নেপালের চ্যাম্পিয়নদের বিপক্ষে কাজটা সহজ ছিল না আবাহনীর। শুরুতেই দুর্দান্ত দুইটি সেভ করে আবাহনীকে ম্যাচে টিকিয়ে রেখেছিলেন অধিনায়ক শহীদুল আলম। এরপর অনেকটা ধারার বিপরীতেই এগিয়ে যায় আবাহনী। ২৮ মিনিটে মাসিহ সাইঘানির ওই গোল ব্যবধান গড়ে দিয়েছে দুইদলের। কর্নার পেয়েছিল বাংলাদেশ। শর্ট কর্নার থেকে পরে ডিবক্সের ভেতর সেন্টার করেন রুবেল মিয়া। সাইঘানি ফাঁকাতেই ছিলেন, হেডে গোল করে আবাহনীকে এগিয়ে দেন ৩২ বছর বয়সী আফগান।
অ্যাওয়ে ম্যাচ, তাই খুব বেশি আক্রমণাত্মক খেলার চেষ্টা করেনি আবাহনী। তবে গোল তারা পেতে পারত আরও। প্রথমার্ধের শেষদিকে সেই রুবেল মিয়ার একটি ক্রস ঠেকাতে গিয়ে আরেকটু হলে আত্মঘাতী গোল করে বসেছিলেন মার্সিয়াংদি ডিফেন্ডার। রুবেল মিয়া ছিলেন বাংলাদেশের আক্রমণের প্রাণ, তার ক্রস থেকেই প্রথমার্ধে সানডে চিজোবাও অল্পের জন্য পাননি গোল।
মানাং মার্সিয়াংদি - আবাহনী
১৬ শটস ৮
৩ শটস অন টার্গেট ২
৪৫৬ মোট পাস ২৬৭
৩৬৬ সফল পাস ১৬১
দ্বিতীয়ার্ধেও দারুণ এক সুযোগ কাজে লাগাতে পারেননি নাবিব নেওয়াজ জীবন। ক্রেভেনস বেলফোর্টের চমৎকার থ্রু বল ধরে এগিয়ে গিয়েছিলেন ডিবক্সের ভেতর গোলরক্ষকের সামনে। কিন্তু বলটা যেভাবে টাচ করার কথা ছিল, করলেন তার চেয়েও বেশি জোরে। দারুণ একটি আক্রমণ থেকে তাই খালি হাতে ফিরতে হয়েছিল জীবনকে।
আবাহনীর রক্ষণ অবশ্য পুরো ম্যাচেই ছিল মজবুত। তপু বর্মন ইনজুরির কারণে ছিলেন না। কিন্তু তার অভাব বুঝতে দেননি টুটুল হোসেন বাদশা। ৬৮ মিনিটে মার্সিয়াংদি স্ট্রাইকার ওলাদিপোর নিশ্চিত গোল দারুণ এক ব্লকে আটকে দিয়েছেন তিনি। এছাড়াও বেশ কয়েকবার বাদশাহী ডিফেন্ডিংয়ে আবাহনীকে রক্ষা করেছেন বাদশা। আর যে কয়বার রক্ষণ পেরিয়ে গেছে মার্সিয়াং, ততবার গোলরক্ষক শহীদুল আটকে দিয়েছেন তাদের। দ্বিতীয়ার্ধেও একবার ভালো সেভ করে দলের জয়ে বড় ভূমিকা রেখেছেন আবাহনী অধিনায়ক।
শেষ দশ মিনিটে আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ বদলি করিয়েছেন দুইবার। জুয়েল রানা অবশ্য রুবেলের জায়গায় নেমে খুব বেশি সুবিধা করতে পারেননি। পরে নামা মামুনুল ইসলাম শেষদিকে নেমেছিলেন মাঝমাঠ মজবুত করতে। তাকেও খুব বেশি কিছু করতে হয়নি ইনজুরি সময়ে।
গ্রুপের দ্বিতীয় ম্যাচে ১৭ তারিখ ঘরের মাঠে আবাহনী খেলবে ভারতের মিনার্ভার বিপক্ষে। এই গ্রুপে আবাহনীর সঙ্গী আরও এক ভারতীয় ক্লাব, চেন্নাইন এফসি। গ্রুপের ফেভারেটও তারাই। তবে প্রথম ম্যাচে দারুণ এক জয়ের পর প্রথমবারের মতো এএফসি কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে ওঠার স্বপ্ন এখন থেকেই দেখা শুরু করতে পারে আবাহনী।
আবাহনী একাদশ
শহীদুল আলম, রায়হান হাসান, মাসিহ সাইঘানি, টুটুল বাদশা, ওয়ালি ফয়সাল, ওয়েলিংটন, ফাহাদ, জীবন, বেলফোর্ট, রুবেল মিয়া, সানডে চিজোবা