• এএফসি কাপ
  • " />

     

    এএফসি এশিয়ান কাপ প্রিভিউ: টুর্নামেন্ট ফরম্যাট, গ্রুপ, শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে যারা

    এএফসি এশিয়ান কাপ প্রিভিউ: টুর্নামেন্ট ফরম্যাট, গ্রুপ, শিরোপার দৌড়ে এগিয়ে যারা    

    স্মরণকালের অন্যতম সেরা বিশ্বকাপ উপহার দিয়েছিল কাতার। এক বছরের মাথায় এশিয়ার শ্রেষ্ঠত্বের মুকুটের লড়াইটাও হতে যাচ্ছে কাতারে। আজ উদ্বোধনী ম্যাচে স্বাগতিক কাতার লুসাইল স্টেডিয়ামে মুখোমুখি হবে লেবাননের। ৫১ ম্যাচব্যাপী এই টুর্নামেন্টে স্বাগতিক কাতারের লক্ষ্য থাকবে তাদের শিরোপা ধরে রাখার। তবে গতবার এই কাতারে কাছে শিরোপা খুইয়ে বসা জাপান চাইবে তাদের এশিয়া কাপ জয়ের সংখ্যাটা চার থেকে বাড়িয়ে 'পেন্টা'-তে পরিণত করতে। সেই সাথে স্পার্স তারকা সন হিউং-মিন চাইবেন তার আন্তর্জাতিক শিরোপা ঝুলিতে এশিয়ার সেরাদের পদকটা যোগ করতে। সব মিলিয়ে জমজমাট এক টুর্নামেন্টই হতে যাচ্ছে কাতারে। তার আগেই এক নজরে টুর্নামেন্টটার বিভিন্ন বিষয়ে চোখ বুলিয়ে নেওয়া যাক।

     

    গ্রুপ রাউন্ড

    গ্রুপ এ: কাতার, চীন, তাজিকিস্তান, লেবানন

    গ্রুপ বি: অস্ট্রেলিয়া, উজবেকিস্তান, সিরিয়া, ভারত

    গ্রুপ সি: ইরান, আরব আমিরাত, ফিলিস্তিন, হংকং

    গ্রুপ ডি: জাপান, ইন্দোনেশিয়া, ইরাক, ভিয়েতনাম

    গ্রুপ ই: দক্ষিণ কোরিয়া, মালয়েশিয়া, জর্ডান, বাহরাইন

    গ্রুপ এফ: সৌদি আরব, থাইল্যান্ড, কিরগিজস্তান, ওমান

     

    টুর্নামেন্ট ফরম্যাট

    প্রতি গ্রুপের শীর্ষস্থানীয় দুই দল যাবে পরের রাউন্ডে। সেই সাথে ৪টি সেরা তৃতীয় স্থানীয় দলও সুযোগ পাচ্ছে পরের রাউন্ডে খেলার। এভাবেই শেষ ১৬ সাজানোর পর সেখান থেকে শুরু হওয়া নকআউট রাউন্ড দিয়ে কোয়ার্টার ফাইনাল, সেমি-ফাইনাল ও ফাইনাল দিয়ে ইতি টানা হবে এবারের আসরের। আজ কাতার ও লেবাননের ম্যাচ দিয়ে শুরু হচ্ছে আসর। ২৫ জানুয়ারি পর্যন্ত চলবে গ্রুপ রাউন্ডের খেলা। ২৮-৩১ জানুয়ারি পর্যন্ত হবে শেষ ১৬-এর খেলা। ১ ও ২ ফেব্রুয়ারিতে হবে কোয়ার্টার ফাইনালের ম্যাচগুলো। ৬ ও ৭ ফেব্রুয়ারি হবে সেমি-ফাইনালের ম্যাচ দুটো। লুসাইলে ১১ ফেব্রুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবে বহুল প্রতীক্ষিত ফাইনাল।

     

    টুর্নামেন্ট ফেবারিট

    এবারের আসরে শিরোপার দৌড়ে সবচেয়ে এগিয়ে আছে জাপানই বলা চলে। গত বিশ্বকাপে স্পেন ও জার্মানির সাথে একই গ্রুপে পড়েও পরের রাউন্ডে গিয়েছিল তারা। জার্মানির বিদায়ঘণ্টা বাজিয়ে ব্লু সামুরাইরা সেবার হয়েছিল গ্রুপ চ্যাম্পিয়ন। শুধু তাই নয়, বিশ্বকাপের পরেও জার্মানির বিপক্ষে বড় জয় পেয়েছে তারা। এশিয়া কাপে আসার আগে তিন ম্যাচে পাঁচটার কম গোল দেয়নি দুর্দান্ত ফর্মে থাকা জাপান। কাউরো মিতোমা, ওয়াতারু এনদোদের মত প্রিমিয়ার লিগ মাতানো খেলোয়াড়দের সাথে তাকেফুসা কুবোর মত সৃষ্টিশীল খেলোয়াড় আছে; তবে জাপানের সবচেয়ে বড় শক্তি তাদের বোঝাপড়া ও ক্ষিপ্র গতির ফুটবল। অপ্টার সুপার কম্পিউটার প্রেডিকশনও তাই এবার জাপানের পক্ষেই রব তুলছে। ২৪.৬% সম্ভাবনা দিয়ে তাদেরকেই সবচেয়ে এগিয়ে রেখেছে এই বিশ্লেষণ সংস্থার সুপার কম্পিউটার।

    দৌড়ে অনুমিতভাবেই এরপর আছে সন হিউং মিনের দক্ষিণ কোরিয়া। শুধু সন নয়, বায়ার্ন মিউনিখের কিম মিন জায়, পিএসজির লি-কাং ইনদের নিয়ে শক্তিশালী রক্ষণভাগের পাশাপাশি সামনে আছেন উলভসের হয়ে দারুণ ফর্মে থাকা হুয়ান-হি চান। আর সন যেদিন জ্বলে ওঠেন সেদিন যে তিনি একাই ম্যাচের ভাগ্য লিখে ফেলার সামর্থ্য রাখেন সেটা তো আর বলার অপেক্ষা রাখে না, ৬৪ বছরের অপেক্ষার অবসানে দক্ষিণ কোরিয়া তাই চেয়ে থাকবে তাদের অধিনায়কের পানে।

    ফেবারিটদের তালিকা বানাতে বসলে এই টুর্নামেন্টে অনুমিতভাবেই থাকে ইরান ও অস্ট্রেলিয়ার নাম। দল দুটো আগের মত শক্তিশালী না হলেও শিরোপা দৌড়ে আছে ভালোভাবেই। অস্ট্রেলিয়ার কোচ হিসেবে এখন অ্যাঞ্জ পস্তেকগলু না থাকলেও রাদু, সুটারদের মত খেলোয়াড়দের নিয়ে যথেষ্ট শক্তিশালী এক স্কোয়াড নিয়েই টুর্নামেন্টে এসেছে সকারুস। ইরানের রক্ষণ অন্যদিকে আগের মত শক্তিশালী না হলেও বিশ্বকাপে আলো ছড়ানো তারেমি এবারও গোলমুখে একই সফলতার খোঁজে থাকবেন। তবে এবার সৌদি আরবও দেখাতে পারে চমক। সৌদি প্রো লিগে সব ইউরোপ মাতানো খেলোয়াড়দের সাথে খেলে নিজেদের শক্তিমত্তার জায়গাটা নিয়মিত বাজিয়ে দেখার সুযোগ পাচ্ছে তারা। সেই সাথে গত বিশ্বকাপে আর্জেন্টিনাকে হারিয়ে তো তারা দেখিয়েছে তাদের প্রতিভার প্রমাণ। আল-দাউসারি, আল-বুরাইকানরা তাদের এই মৌসুমের ফর্ম ধরে রাখলে চতুর্থ শিরোপার দেখা তারা পেতেই পারেন।