• এএফসি কাপ
  • " />

     

    উড়িষ্যার ইতিহাস গড়ার রাতে কালিঙ্গায় কিংসদের কপাল পুড়ল বিতর্কিত লাল কার্ডে

    উড়িষ্যার ইতিহাস গড়ার রাতে কালিঙ্গায় কিংসদের কপাল পুড়ল বিতর্কিত লাল কার্ডে    

    উড়িষ্যা এফসি ১:০ বসুন্ধরা কিংস


    দুই দলের সামনেই ছিল ইতিহাস গড়ার হাতছানি। শেষ ম্যাচের আগে গ্রুপের শীর্ষে থাকা বসুন্ধরা কিংস যেমন নিজেদের এগিয়ে রেখেছিল তেমনি টানা ছয় ম্যাচ জিতে আসা উড়িষ্যা ফুটবল ক্লাবের আত্মবিশ্বাসের ছিল না কমতি। কালিঙ্গা স্টেডিয়াম থেকে বাংলাদেশের ক্লাবটিকে শেষমেশ এক রাশ হতাশা নিয়েই বিদায় নিতে হল। সেমি-ফাইনাল থেকে হাতছোঁয়া দূরত্ব থেকে তাদের বিদায় নিতে হল, যার জন্য প্রথমার্ধের এক বিতর্কিত লাল কার্ডকেই হয়ত তারা দুষবেন। তবে সেসবের তোয়াক্কা না করে মুরতাদা ফলের হেডারে প্রথমবার মহাদেশীয় পর্যায়ে খেলতে এসেই আন্ত-জোনের সেমি-ফাইনালে পৌঁছে যাওয়া উড়িষ্যা মাতবে ঐতিহাসিক এই অর্জনের আনন্দে।

    অথচ এই আনন্দটা হতে পারত কিংসদের। শেষ ম্যাচের আগে শীর্ষে থাকা কিংসদের তো উড়িষ্যাকে হারানোর সুখস্মৃতি ছিলই, সেই সাথে এই ম্যাচে ড্র হলেও চলত তাদের। তবে সেই সমীকরণটাই যেন ভার হয়ে চেপে বসে তাদের ওপর। শুরু থেকেই কিছুটা খাপছাড়া কিংসের এলোমেলো ফুটবলের সুযোগ নিয়ে মুহুর্মুহু আক্রমণে তাদের পর্যুদস্ত করে তোলে উড়িষ্যা। অবশ্য পরে নিজেদের গুছিয়ে নিয়ে বিপদ ঘটতে দেয়নি কিংস। বিপদটা ঘটে প্রথমার্ধের একদম শেষ দিকে এসে। উড়িষ্যার জাহুকে ফাউল করে বসেন আসরর গাফুরোভ। লাল কার্ডের কথা তখন ঘুণাক্ষরেও ভাবেননি তিনি। মজার ব্যাপার হল, রেফারি নিজেই প্রথমে হলুদ কার্ড বের করতে গিয়ে কি মনে করে হঠাৎ অন্য পকেটে হাত দিয়ে বের করে আনলেন লাল কার্ড। প্রথমার্ধের যোগ করা সময়ের সেই লাল কার্ডেই ঘুরে যায় খেলার মোড়।

    কিংসের গোল মুখে যেখানে প্রথমার্ধে একটা শটও রাখতে পারেনি উড়িষ্যা সেখানে কিংস গোলরক্ষক শ্রাবণের বারবার পরীক্ষা নিতে শুরু করে উড়িষ্যা। ৬১ মিনিটের মাথায় সেই জাহুর কর্নারেই কপাল পুড়ল কিংসের। জাহুর মাপা কর্নার থেকে দারুণ হেডারে ডান প্রান্তের জালে বল জড়ান ফল। দশ জন নিয়ে তবুও মুষড়ে না পড়ে বারবার ম্যাচে ফেরার চেষ্টা করেছিল কিংস। অন্যদিকে জাহুর দুটো দারুণ ক্রস কাজে লাগাতে পারেননি উড়িষ্যা খেলোয়াড়রা। গোলে দশ মিনিটের মাথায় আরও একবার একই জোড়া গোল বের করার চেষ্টা করলেও সেবার গোলমুখে শট রাখতে পারেননি ফল; পরের মিনিটেই মরিসিওর শট ঠেকিয়ে দেন শ্রাবণ। ৭৭ মিনিটে বদলি হয়ে নেমে ম্যাচের মোড় বদলানোর চেষ্টা করেছিলেন মোরসালিন। শেষদিকে পেয়েছিলেন সুযোগও; ৮৮ মিনিটে রবিনিও গোলমুখে বলটা রাখতে না পারার পর একদম শেষদিকে বক্সের বাইরে থেকে ডান প্রান্তে বল জালে জড়ানোর চেষ্টা করেছিলেন তরুণ এই উইঙ্গার। তবে দুর্ভাগা এক রাতে যেন কেন হিসেবই মেলার ছিল না। গোলমুখে সেই শটটা না থাকায় গ্রুপ পর্ব জুড়ে দারুণ খেলেও তাই সেমিতে আর যাওয়া হল না কিংসদের।