এএফসি কাপেও থাকছে ৫ বদলির নিয়ম
গত মে মাসে ইন্টারন্যাশনাল ফুটবল অ্যাসোসিয়েশেন বোর্ড ফুটবলে সীমিত সময়ের জন্য ৫ বদলির নিয়ম অনুমোদন দিয়েছিল। যদিও ৫ বদলির এই আইন নির্ভর করছে ও টুর্নামেন্টের আয়োজকদের ওপর। ইউরোপের শীর্ষলিগ সহ প্রায় বিশ্বের সবগুলো ম্যাচেই এখন ব্যবহার হচ্ছে ৫ বদলি। এএফসি কাপও সেই পথেই হাঁটছে।
এএফসির পক্ষ থেকে গতকাল মঙ্গলবার জানানো হয়েছে এবারের এএফসি কাপে থাকবে ৫ বদলির নিয়ম। বসুন্ধরা কিংস গ্রুপ 'ই' এর বাকি ৫ ম্যাচ খেলবে ১৭ দিনের ব্যবধানে। এ ফসি কাপের সাউথ জোনের খেলা ২৩ অক্টোবর থেকে ৫ নভেম্বর পর্যন্ত গ্রুপপর্বের খেলা অনুষ্ঠিত হবে মালদ্বীপে। পুরো টুর্নামেন্টেই থাকবে ৫ বদলির নিয়ম।
মাজিয়া-বসুন্ধরা কিংস
২৩ অক্টোবর
চেন্নাই সিটি-বসুন্ধরা কিংস
২৬ অক্টোবর
বসুন্ধরা কিংস-চেন্নাই সিটি
২৯ অক্টোবর
টিসি স্পোর্টস-বসুন্ধরা কিংস
১ নভেম্বর
মাজিয়া- বসুন্ধরা কিংস
৪ অক্টোবর
(*বাম পাশের দলের হোম ম্যাচ)
৫ বদলি নিয়মের বাকি আইনগুলোও থাকছে আগের মতো। অর্থাৎ মোটমাট ৩টি আলাদা সময়ে এই বদলিগুলো করাতে পারবে দলগুলো। এর সঙ্গে যোগ হবে হাফটাইম বিরতির সময়ও।
এএফসি কাপের জন্য নতুন দলবদলও অনুমোদন দিয়েছে এএফসি। দলবদলের সবশেষ তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে ৮ অক্টোবর।
আইএফএবির প্রথম সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ২০২০ সালে শেষ হবে এমন সব টুর্নামেন্টের জন্য প্রযোজ্য ছিল ৫ বদলির নিয়ম। মাঝে লম্বা সময় বিরতি গেলেও এএফসি কাপের এবারের আসরও ২০২০ সালের ভেতরই সম্পন্ন হবে। আইএএফবি অবশ্য পরে নতুন সিদ্ধান্ত জানিয়েছে, সে অনুযায়ী ২০২০ সালের মাঝামাঝি পর্যন্ত এই নিয়ম জারি করা যাবে ফুটবলে।
নতুন নিয়মে তাই সাইডবেঞ্চে খেলোয়াড়ের সংখ্যাও বাড়ছে। মাঠের এগারোজন ছাড়া আরও সর্বোচ্চ ১১ জন খেলোয়াড় বদলির জন্য বিবেচিত হবেন। আর নক আউট পর্বে অতিরিক্ত সময়ে খেলা গড়ালে সেক্ষেত্রে পুরোনো নিয়ম অনুযায়ী আরও একটি বদলির কোটা বাড়বে ক্লাবগুলোর। অর্থাৎ ওইসব ম্যাচে মোট ৬টি বদলি করানো যাবে।