আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নেওয়াটা সহায়তাই করছে ডি ভিলিয়ার্সকে
২০১৮ সালের মে মাসে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটকে বিদায় বলার পর থেকে এবি ডি ভিলিয়ার্স খেলছেন শুধুই টি-টোয়েন্টি লিগে। আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে দূরে থেকে পাওয়া সময়টা তাকে আরও কর্মশক্তি জুগিয়েছে বলেই জানাচ্ছেন তিনি।
অবসরের ঘোষণার পর চারটি লিগে খেলেছেন ডি ভিলিয়ার্স। দক্ষিণ আফ্রিকার এমজানসি সুপার লিগ, বাংলাদেশ প্রিমিয়ার লিগ ও পাকিস্তান সুপার লিগের পর আইপিএলে। তবে ঠিক নিজেকে যেন মেলে ধরতে পারেননি সেভাবে, আইপিএলের আগে ছিল মাত্র চারটি ফিফটি। সব মিলিয়ে ২৮ ইনিংসে এক অঙ্কেই আউট হয়ে গেছেন আটবার।
অবশ্য আইপিএলে ১৩ এপ্রিলের আগে একটি ফিফটি পেলেও তার দল রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স বেঙ্গালুরু প্রথমবার জিতেছে এদিন, কিংস ইলেভেন পাঞ্জাবের বিপক্ষে। ডি ভিলিয়ার্সের ৩৮ বলে ৫৯ রানের ইনিংসে ভর করে পাঞ্জাবের ১৭৩ রান তাড়া করে মৌসুমে প্রথম জয় পেয়েছে বেঙ্গালুরু। ম্যাচসেরা ডি ভিলিয়ার্স বলেছেন, শীর্ষ পর্যায়ের ক্রিকেট না খেলাটা তাকে ভোগাচ্ছে না মোটেও, বরং হচ্ছে উল্টোটা, “আরও বেশি উদ্দিপ্ত থাকার জন্যই আমি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট না খেলার সিদ্ধান্ত নিয়েছিলাম। বিশ্বের নানা প্রান্তে যাতে অন্য ফরম্যাটের ক্রিকেটের জন্য আমি তীক্ষ্ণ থাকতে পারি।”
চোটের সঙ্গে বেশ দীর্ঘদিন লড়াইয়ের পর কিছুটা আকস্মিকভাবেই আন্তর্জাতিক ক্রিকেট থেকে অবসর নিয়েছিলেন ডি ভিলিয়ার্স, “১৫ বছর আন্তর্জাতিক ক্রিকেট খেলার পর আপনি আসলে বছরে ১০-১১ মাস নিজেকে প্রস্তুত রাখতে পারবেন না। তবে এমন টুর্নামেন্ট আমি ২-৩ মাস পরপর খেলি। এটা আমাকে কর্মক্ষম রাখে। আর দেশে আমি বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রদের সঙ্গে কাজ করি। সঙ্গে স্থানীয় কিছু তরুণদের সঙ্গেও কাজ করি। এসব আমাকে শক্তি জোগায়, তাদের জন্য উদাহরণ তৈরি করতে অনুপ্রেরণা জোগায়।”
তবে নিজের ‘খুব ভাল না যাওয়া সময়ে’ও হতাশ হননি ডি ভিলিয়ার্স, “এই খেলার প্রতি আসলে অনেক সম্মানের কারণেই আমি হতাশ হতে পারি না। অবশ্যই আমি প্রতি দলের হয়েই জিততে চাই। বল খেলছি ভাল, এমনও হয়ে শুরু করেও কিছু সময় খুব বেশি দূরে যেতে পারিনি। তবে যেমনটি বললাম, ক্রিকেটের প্রতি অনেক সম্মানের কারণেই আমি নিজেকে খুব ছাড়িয়ে যেতে পারি না। আত্মবিশ্বাসটা ফিরে পেতে আসলে একটা ভাল ইনিংস দরকার। আশা করি টুর্নামেন্টে এই ফর্মটা ধরে রাখতে পারব এখন।”