হতাশ হয়েও সামনের দিকে তাকাচ্ছেন সাকিব
গতবার সানরাইজার্স হায়দরাবাদকে ফাইনালে তোলার পেছনে তার অবদানটাও কম ছিল না। তবে এবারের আসরে বদলে গেছে পরিস্থিতি, সাকিব আল হাসান এখন পর্যন্ত খেলেছেন মাত্র একটি ম্যাচ! এই মৌসুমে আর কোন ম্যাচে মাঠে না নামার সম্ভাবনাই বেশি। এত কম ম্যাচ খেলায় স্বভাবতই হতাশ সাকিব। তবে হতাশ হলেও সামনের দিকেই তাকাচ্ছেন সাকিব, বলছেন, সুযোগ পেলেই সেটা কাজে লাগাতে চান।
গত মৌসুমে হায়দরাবাদের হয়ে সাকিব খেলেছিলেন ১৭টি ম্যাচ। এবারের আইপিএলের শুরু থেকেই হায়দরাবাদের সাথে আছেন সাকিব। ২৪ মার্চ কলকাতার বিপক্ষে মাঠে নেমেছিলেন, ৪২ রান দিয়ে নিয়েছিলেন এক উইকেট। এরপর আফগান অলরাউন্ডার মোহাম্মদ নবী ও রশিদ খানদের দুর্দান্ত পারফরম্যান্সের কারণেই দলে জায়গা হয়নি তার। বিশ্বকাপকে সামনে রেখে নির্ধারিত সময়ের আগেই দেশে ফিরতে পারেন সাকিব।
ইএসপিএনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাকিব নিজের হতাশার কথা লুকাননি, ‘এবার খুব বেশি ম্যাচ খেলিনি। এটা হতাশাজনক, কিন্তু আপনাকে দলের বড় স্বার্থটাও দেখতে হবে। দলের বিদেশি ক্রিকেটাররা দারুণ খেলছে, এই অবস্থায় আমার সুযোগ পাওয়া কঠিন। তবে আমি পরিশ্রম করে যাচ্ছি, যখনই সুযোগ পাবো, সেটাকে ভালোভাবে কাজে লাগাতে চাই। এই মুহূর্তে দল ভালো করছে। কিছু ক্লোজ ম্যাচে আমাদের জেতার সুযোগ ছিল, সেটা শেষ পর্যন্ত হয়নি। এটাই এই ফরম্যাটের সৌন্দর্য। আমাদের লক্ষ্য থাকা উচিত গুরুত্বপূর্ণ মুহূর্তে ভালো খেলে ম্যাচগুলো জিতে আসা।’
সিনিয়র ক্রিকেটার হিসেবে টানা বেঞ্চে বসে থাকলেও আশা হারাচ্ছেন না সাকিব, ‘ব্যাপারটা যে খুবই হতাশার ছিল সেটা তো আগেও বলেছি। দলের পরিস্থিতিটাও আমাকে বুঝতে হতো। আমি অনুশীলনে নিজের সেরাটা দিচ্ছি, ফিটনেসটা ঠিক রাখছি। এখন শুধু অপেক্ষা করছি সুযোগ আসার। সেটা আসলেই পারফর্ম করতে চাই।’
চেন্নাইয়ের বিপক্ষে আগের ম্যাচে ছয় উইকেটে জিতেছিল হায়দরাবাদ। তবে এর আগের তিন ম্যাচে টানা হারের স্বাদ পেতে হয়েছিল তাদের। সাকিব বলছেন, ওই সময়েও দল বিশ্বাস হারায়নি, ‘সবাই আসলে হতাশ ছিল। তবে আমরা জানতাম টি-টোয়েন্টি টুর্নামেন্টে এমনটা হয়। একটা জয়ই মোমেন্টাম আমাদের পক্ষে এনে দিতে পারে। চেন্নাইয়ের বিপক্ষে জয়ে সেই মোমেন্টাম ফিরে এসেছে। এটা ধরে রাখতে পারলে আমরা ভালো জায়গায় পৌছাতে পারব।’