আত্মঘাতী গোলে কপাল পুড়ল আবাহনীর
আহমেদাবাদ অ্যারেনাতে ভালো খেলছিল আবাহনী। জয় না হলে অন্তত ড্র নিয়ে ফেরার আশা দেখছিল তারা। প্রতিপক্ষ চেন্নাইন এফসি তেমন একটা সুবিধাও করতে পারছিল না। কিন্তু আবাহনীর কপালটা পুড়ল আত্মঘাতী গোলে। ম্যাচ শেষের ১১ মিনিট আগে অনিরুদ্ধ থাপার ক্রস ব্লক করতে গিয়ে ওয়েলিংটন প্রায়োরির ঢুকিয়ে দিয়েছেন নিজের জালেই। গোলরক্ষক শহিদুল আলম নেয়ার পোস্টে ছিলেন না সতর্ক। ওই গোলেই এএফসি কাপে গ্রুপ 'ই' এর তৃতীয় ম্যাচ থেকে তাই ভারত থেকে হার নিয়ে ফিরতে হচ্ছে আবাহনীকে।
ম্যাচের আগে অবশ্য বড় একটা সুসংবাদ পেয়েছিল আবাহনী। স্ট্রাইকার সানডে চিজোবা ভিসা জটিলতা কাটিয়ে শেষ মুহুর্তে দলের সঙ্গে যোগ দিয়েছিলেন। ছিলেন একাদশেও। প্রথমার্ধে তিনিই দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন। কিন্তু তার নেওয়া শট ব্লক করেন চেন্নাইনের ব্রাজিলিয়ান অধিনায়ক মেইলসন আলভেজ।
আবাহনী অবশ্য এরপর একটা গোলও করেছিল বিরতির কয়েক মিনিট আগে। রায়হানের লম্বা থ্রো ডিবক্সের ভেতর হেড করে ফারপোস্টে পাঠিয়েছিলেন মাসিহ সাইঘানি। সেখানে থাকা নাবিব নেওয়াজ জীবন টোকা দিয়ে গোল করেন। কিন্তু আবাহনীর উদযাপন স্থায়ী হয়নি বেশিক্ষণ। জীবনের বিরুদ্ধে অফইসাইডের ফ্ল্যাগ তোলেন সহকারি। পড়ে গোল বাতিল করেন রেফারি।
চেন্নাইন আবাহনীর বিপক্ষে তেমন একটা আক্রমণ করার সুযোগ পায়নি পুরো ম্যাচেই। সেরা সুযোগটা তারা পেয়েছিল ম্যাচের প্রথম দিকে। ১৩ মিনিটে ফ্রি কিক থেকে এলিয়া সাবিয়ার হেড গোলরক্ষক শহিদুল আলম দুর্দান্ত এক সেভে ফিরিয়ে দেন। এরপর পুরো ম্যাচে তাকে আর তেমন বিপদে ফেলতে পারেনি ভারতের দলটি।
৭৯ মিনিটে গোল হজমের পর অবশ্য চেন্নাইনের গোলরক্ষক একটা ভুল করেছিলেন। করনজিত সিং লাফিয়ে উঠে বল ধরতে গিয়ে মিস করেছিলেন। কিন্তু সেই সুবিধাটা আদায় করে নিতে পারেনি আবাহনী। পরে গোললাইন থেকে বল ক্লিয়ার করেন লালদিনথিয়ানা রেন্থেলি। দ্বিতীয়ার্ধে আর এর চেয়ে ভালো সুযোগ তৈরি করা হয়নি আবাহনীরও।
জুয়েল রানা, ফরহাদদের নামিয়েও চেন্নাইয়ের ৪৪-৪৫ ডিগ্রি সেলসিয়াস তাপমাত্রায় ভাগ্য বদলাতে পারেননি মারিও লেমোস। আত্মঘাতী গোলে ম্যাচ হারায় তাই নিজের ভাগ্যকেও দুষতে পারে আবাহনী।তবে হারের প্রভাবটা বেশ বড়ই হলো লেমোসের দলের জন্য। আগের দুই ম্যাচ থেকে ৪ পয়েন্ট পেয়েছিল আবাহনী। চেন্নাইনের সমান পয়েন্ট নিয়ে ছিল দুইয়ে। কিন্তু হারের পর চেন্নাইন এগিয়ে গেল অনেকটাই। গ্রুপের অবশ্য আরও ৩ ম্যাচ বাকি। এর মধ্যে দুটোই আবাহনীর হোম ম্যাচ। তাই পিছিয়ে গেলেও পরের রাউন্ডে যাওয়ার আশা শেষ হচ্ছে না তাদের।