• চ্যাম্পিয়নস লিগ
  • " />

     

    প্রিমিয়ার লিগ থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে কারা?

    প্রিমিয়ার লিগ থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগে কারা?    

    প্রিমিয়ার লিগ থেকে শীর্ষ চারটি দল সরাসরি জায়গা করে নেয় চ্যাম্পিয়নস লিগে। কিন্তু এবার ইউরোপা লিগের সেমিফাইনালে চেলসি ও আর্সেনাল থাকায় নতুন করে একটি ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে সমর্থকদের মধ্যে। এই দুইদলের কেউ যদি লিগের শীর্ষে না থাকে, কিন্তু ইউরোপা লিগ জিতে চ্যাম্পিয়নস লিগে বাছাই করে সেক্ষেত্রে ইংল্যান্ড থেকে কয়টি দল খেলবে ইউরোপের সবচেয়ে জমজমাট প্রতিযোগিতায়? 

    উত্তরটা হচ্ছে, ৫ দলই খেলবে। সবশেষ ২০১৭-১৮ মৌসুমেও পয়েন্ট তালিকার ছয়ে থেকে শেষে ইউরোপা লিগ জিতেছিল  ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। ইউয়েফার নিয়ম অনুযায়ী ইউরোপা লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জয়ী সরাসরি বাছাই করে চ্যাম্পিয়নস লিগে। যদিও এর আগে শীর্ষ চারের বাইরে থেকে কোনো দল চ্যাম্পয়িনস লিগ জিতলে লিগে চতুর্থ হওয়া দলটি বাদ পড়ত চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে, তাদের খেলতে হত ইউরোপা লিগে। সেই নিয়মটা বদলে গেছে ২০১৫ সাল থেকে। অর্থাৎ অন্য কোনো টুর্নামেন্টে যা হোক না কেন প্রিমিয়ার লিগে শীর্ষ চারে থাকলেই পরের মৌসুমে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা নিশ্চিত দলগুলোর। 

    ইংলিশ কোনো দল চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতলে কি হবে?

    টটেনহাম ও লিভারপুল দুইদলের পক্ষে এখনও চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতা সম্ভব। যদি দুই দলের কোনো একটি চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতে এবং শীর্ষ চারে থেকেই লিগ শেষ করে সেক্ষেত্রে ওই চার দলই পরের মৌসুমে খেলবে চ্যাম্পিয়নস লিগে। আলাদা করে ইংল্যান্ড থেকে নতুন কোনো ক্লাবের দুয়ার খুলে যাবে না এক্ষেত্রে। ইউয়েফার কোএফিশিয়েন্ট র‍্যাংকিং অনুযায়ী এগিয়ে থাকায় অস্ট্রিয়ার লিগ চ্যাম্পিয়ন তখন সরাসরি সুযোগ পাবে চ্যাম্পিয়নস লিগে। সাধারণ অবস্থায় তাদেরকে খেলতে হত চ্যাম্পিয়নস লিগের বাছাইপর্ব।

    আর যদি এই দুইদলের কোনো একটি শীর্ষ চারে না থেকে (টটেনহামের ক্ষেত্রে সম্ভব) চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতে- তাহলে ইংল্যান্ড থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগের গ্রুপপর্বের জন্য ৫ দলই বাছাই করবে। ২০০৫ সালের আগে অবশ্য চ্যাম্পিয়নস লিগ চ্যাম্পিয়নদের জন্যও সরাসরি পরেরবারের আসরে বাছাইয়ের সুযোগ ছিল না। লিভারপুলই সেবার চ্যাম্পিয়নস লিগ জিতে প্রথমবারের মতো সুযোগটা কাজে লাগিয়েছিল। 

    ইংলিশ দল ইউরোপা লিগ জিতলে সেক্ষেত্রে...

    চেলসি ও আর্সেনালের জন্য প্রযোজ্য এই নিয়ম। লিগে যে কোনো অবস্থানেই থাকুক না কেন তারা- ইউরোপা লিগ জিতলেই সরাসরি চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা পাবে জয়ী দলটি। কিন্তু জয়ী দল যদি লিগে চারের মধ্যে থাকে, সেক্ষেত্রেও নতুন করে ইংল্যান্ড থেকে কোনো দলের জায়গা হবে না চ্যাম্পিয়নস লিগে। শীর্ষ পাঁচ দেশের পাঁচ নম্বরে থাকা ফ্রান্সের লিগে তৃতীয় হওয়া দলটির কপাল খুলে যাবে এক্ষেত্রে। চ্যাম্পিয়নস লিগের বাছাইপর্ব খেলার বদলে তারা সরাসরি জায়গা করে নেবে এ টুর্নামেন্টে। 

    ফাইনালে হারা কোনো দলের জন্যই চ্যাম্পিয়নস লিগে বাছাইয়ের সুযোগ নেই। 

    চ্যাম্পিয়নস লিগ বা ইউরোপা লিগ দুটোই ইংলিশ দল জিতলে কী হবে?

    পাঁচ দলের বেশি কোনো দেশ থেকে চ্যাম্পিয়নস লিগ খেলা সম্ভব নয়। সুতরাং, শীর্ষ চারের বাইরে থাকা দুই দল যদি ইউরোপা লিগ ও চ্যাম্পিয়নস লিগ জেতে সেক্ষেত্রে এই দুই দলকে জায়গা করে দিতে লিগে চতুর্থ হওয়া দল বাদ পড়বে চ্যাম্পিয়নস লিগ থেকে। চতুর্থ দলটি খেলবে ইউরোপা লিগে। 

    লিগ কাপ ও এফএ কাপের মারপ্যাঁচ

    ইউরোপের শীর্ষ তিন লিগের পয়েন্ট টেবিলের পাঁচ নম্বর দল সরাসরি ইউরোপা লিগে জায়গা করে নেয়। সঙ্গে ঘরোয়া লিগ কাপ (এফএ কাপ, কোপা ডেল রে, কোপা  ইতালিয়া) জয়ী দলও যোগ দেয় ইউরোপা লিগে। ইংল্যান্ডের একটি প্রতিযোগিতা অবশ্য বেশি, কারাবাও কাপের জয়ীরা খেলে ইউরোপা লিগের বাছাইপর্বে। 

    কিন্তু ম্যানচেস্টার সিটি এবার কারাবাও কাপ জিতে যাওয়ায়, সেই স্থানটা চলে যাবে লিগের সপ্তম দলের কাছে।  এফএ কাপ জেতার সম্ভাবনাও রয়েছে সিটির। যেহেতু সিটি চ্যাম্পিয়নস লিগে জায়গা করে নিয়েছে, সেক্ষেত্রে লিগের ছয়ে থাকা দলটি সরাসরি জায়গা করে নেবে ইউরোপা লিগে। 

    লা লিগা, ইতালিয়ান লিগের ক্ষেত্রেও প্রযোজ্য এই নিয়মগুলো।