ছেলেকে গোল উৎসর্গ করলেন মামুনুল
চেন্নাইন এফসির বিপক্ষে ৮৮ মিনিটে মামুনুল ইসলামের করা গোলে আবাহনী ম্যাচ জিতেছে ৩-২ গোলে। ওই গোলে এএফসি কাপের দ্বিতীয় রাউন্ডে খেলার আশা ভালোভাবেই বাঁচিয়ে রেখেছে আবাহনী। ম্যাচশেষে সংবাদ সম্মেলনে গোলটি মামুনুল উতসর্গ করেছেন নিজের ছেলেকে।
একাদশে মামুনুলের সুযোগ পাওয়াটাই ছিল চমক। এই মৌসুমে দলে তেমন সুযোগ মিলছিল না। এএফসি কাপেও বদলি হয়ে নেমেছিলেন দুইবার। কিন্তু সেভাবে ম্যাচে প্রভাব রাখতে পারেননি। চেন্নাইনের বিপক্ষে ম্যাচ খেলেছেন পুরোটা সময়ই। আবাহনী কোচ মারিও লেমোসেরও দুই পরিবর্তনের একটি ছিলেন মামুনুল।
"আপনারা বোধ হয় জানেন চার মাস আগে আমার ছেলে হয়েছে। এতদিন আমার একটা ক্ষোভ ছিল। ভেবে রেখেছিলাম ছেলের জন্য কিছু একটা করব। ওকে একটা উপহার দিব। সেটা করতে পেরে আমি খুবই খুশি।"- ম্যাচশেষে জানিয়েছেন মামুনুল ইসলাম।
৩০ বছর বয়সী মিডফিল্ডার গোলের উদযাপন করেছেন জার্সির পেছনে আঙুল দিয়ে নিজের নাম দেখিয়ে। নিজেকে আলাদা করে প্রমাণ করারও কিছু নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। সঙ্গে মনে করিয়ে দিয়েছেন, এমন গোল তিনি আগেও করেছেন, "দেখুন, নতুন গোলটাই সবাই মনে রাখে। কিন্তু এভাবে ডান পায়ে আমি আগেও অনেক গোল করেছি। সেটা হয়ত ভুলে গেছে সবাই। আসলে খারাপ সময় যখন যায় তখন তো কেউ পাশে থাকে না। এই জয়টা আমাদের দরকার ছিল। তপু, ফাহাদরা সার্জারির জন্য আগামী দশ, বারো মাস খেলতে পারবে না। তাদের সমর্থন দেওয়ার জন্যও এই জয়টা আমাদের দরকার ছিল। আমি যতদিন দেশের হয়ে খেলেছি, যে ক্লাবের হয়েই খেলেছি- সেরাটা দেওয়ার চেষ্টা করেছি। এখানে প্রমাণের কিছু নেই।"
আবাহনী ম্যানেজার মারিও লেমোস ম্যাচশেষে উদযাপন করেছেন সমর্থকদের সঙ্গে। তার কাছে ম্যাচটা মনে হয়েছে চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো। ক্যারিয়ারের সেরা জয়ও বলছেন তিনি চেন্নাইনের বিপক্ষে ম্যাচটিকে, "ম্যাচটা চ্যাম্পিয়নস লিগের মতো হয়েছে অনেকটা। দুর্দান্ত সব গোল, ফিরে আসা। চ্যাম্পিয়নস লিগে যেমন হয়!"
"এটাই আমার ক্যারিয়ারের সেরা জয়। যেভাবে লড়াই করে ফিরে এসেছি আমরা সেটা প্রমাণ করেছে আমাদের সামর্থ্য আছে। দলের সবাইকে সবসময় সুযোগ দেওয়া যায় না। কিন্তু যখন কেউ সুযোগ পেয়ে ভালো খেলে, এর অর্থ হচ্ছে দল হিসেবে এখানে কোনো ইগো নেই। দলের জন্যই খেলছে সবাই।"