এক গোলেই খুশি সানডে
মানাং মার্সিয়াংদির বিপক্ষে আবাহনী জিতেছে ৫-০ গোলে। এক গোল করেছেন সানডে চিজোবা। তবে ২৯ বছর নাইজেরিয়ান স্ট্রাইকার পেতে পারতেন হ্যাটট্রিকও। নিশ্চিত গোলের সুযোগ নষ্ট করেছেন অন্তত তিনবার, আরেকবার বারপোস্টের কারণে গোল পাওয়া হয়নি তার। পরে ৭৬ মিনিটে অবশ্য ভাগ্য ফিরে তাকায় তার দিকে। ম্যাচের চতুর্থ গোলটি এসেছে সানডের কাছ থেকে।
ম্যাচের সেরা খেলোয়াড় নির্বাচিত হয়েছে সানডে। গোল মিস করলেও ম্যাচ শেষে তার হতাশা অবশ্য কম, ফুটবল এমনটা হওয়া অস্বাভাবিক কিছু নয় বলেই জানাচ্ছেন তিনি, "আমি তিন, চারটা গোল করতে পারতাম। কিন্তু তাও ভালো অন্তত একটি গোল পেয়েছি। সেটাও না পেলে খুবই হতাশার হত। তাই আমি ইশ্বরকে ধন্যবাদ দিতে চাই।"
গোল করতে না পারলেও পুরোটা সময় মাঠে ছিলেন সানডে। কোচের কাছ থেকে ভরসা পাওয়াটাও জরুরী ছিল তার। এএফসি কাপে এটি সানডের দ্বিতীয় গোল। কোচকে পাশে রেখেই তাই আলাদা করে থমাস লেমোসের কৃতিত্ব দিলেন সানডে, "কোচ আমার ওপর ভরসা রেখছে, তাই তাকে ধন্যবাদ। আমাকে বারবার বলেছে তুমি চেষ্টা করতে থাক। প্রতিপক্ষ ডিফেন্ডাররা ভুল করবেই। আমাকে অনুপ্রেরণা জুগিয়ে গেছে কোচ।"
আবাহনীর প্রথম গোলেও সানডের অবদান ছিল। স্ট্রাইকিং পার্টনার নাবিব নেওয়াজ জীবনের সঙ্গে মিলে দুইজনই পুরোটা সময় মানাংয়ের ডিফেন্ডারদের প্রেস করে গেছেন সানডে। সানডের প্রেসিংয়ের পরই জীবন বল পেয়ে গিয়েছিলেন মানাং ডিফেন্ডারের কাছ থেক, এরপর সেখান থেকেই এসেছে আবাহনীর প্রথম গোল। পুরোটাই দলগত সাফল্য হিসেবে দেখছেন সানডে, "আমি প্রেস করেছিলাম, যদি জীবনও একই কাজ না করত তাহলে কিন্তু আর কোনো লাভ হত না। পুরোটাই আসলে দলগত এক পারফরম্যান্সের সাফল্য।"- প্রথম গোলের ব্যাপারে বলেছেন আবাহনী স্ট্রাইকার।