• লা লিগা
  • " />

     

    ফুটবলকে বিদায় বললেন তোরেস

    ফুটবলকে বিদায় বললেন তোরেস    

     

    নিজের সেরা সময়ে তাঁর মতো ডি ভয়ংকর ডি বক্সে খুব কম স্ট্রাইকারই ছিলেন। দুর্দান্ত ফিনিশিং আর গোল করার সহজাত ক্ষমতা সোনালী চুলের ছেলেটাকে চিনিয়েছিল আলাদা করে। ‘ছিল’ বলতে হচ্ছে, কারণ আর মাঠে দেখা যাবে না ফার্নান্দো তোরেসকে। ফুটবলকে আনুষ্ঠানিকভাবে বিদায় জানিয়েছেন ৩৫ বছর বয়সী এই স্প্যানিশ স্ট্রাইকার।

    ইউরোপিয়ান ফুটবলের যারা নিয়মিত খবর রাখেন, তোরেস অনেক দিন আগে থেকেই তাদের চেনা। অ্যাটলেটিকো মাদ্রিদের ঘরের ছেলে তিনি, সেখানেই শুরু ক্যারিয়ারের। ভিসেন্তে ক্যালদেরনে চিনিয়েছেন নিজেকে প্রথম, চোখে পড়েছিলেন সবার। এরপর ২০০৭ সালে তাকে দলে নিয়ে আসে লিভারপুল, নিজেকে এরপর অন্য উচ্চতায় নিয়ে গেছেন তখন। দুর্দান্ত খেলেও অবশ্য লিভারপুলকে লিগ জেতাতে পারেননি, তবে ২০১১ সালে তাকে ঠিকই ব্রিটিশ রেকর্ড গড়ে নিয়ে আসে চেলসি। তোরেসের নেমে যাওয়ার শুরুও সেখান থেকেই। চেলসির হয়ে চ্যাম্পিয়নস লিগ, ইউরোপা লিগ, এফএ কাপ জিতলেও সেভাবে চেনাতে পারেননি নিজেকে, আগের সেই ধার হারিয়ে ফেলেছিলেন।

    হতাশ তোরেসে এরপর ফিরলেন নিজের ঘর অ্যাটলেটিকোতেই, সেখানে আরেকবার জ্বলে উঠলেন। কিন্তু সেটা নিভে যাওয়ার জন্যই, দ্রুতই আবার ফর্ম হারালেন। ২০১৫ থেকে তিন বছর খেলেছেন অ্যাটলেটিকোতে চ্যাম্পিয়নস লিগের ফাইনালে খেলেছেন, ইউরোপা লিগ জিতেছেন আরও একবার। এরপর গত বছর ঘোষণা দিয়েছেন জাপানের ক্লাব সাগান তোসুতে যাওয়ার। কিন্তু সেখানে নিজেকে হারিয়ে খুঁজছিলেন। আজ বিদায়ই বলে দিলেন। টুইটারে জানিয়েছেন, এটাই তার বুট তুলে রাখার সেরা সময়।

    ক্লাবের মতো জাতীয় দলের হয়েও ছিলেন সমান উজ্জ্বল। স্পেনের ইউরো, বিশ্বকাপ, ইউরো-ত্রয়ী জয়ী বিশ্বজয়ী দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন। ২০০৮ ইউরোতে ফাইনাল জেতানো গোল করেছিলেন, ২০১২ ইউরোতে ছিলেন সর্বোচ্চ গোলদাতা। দেশের হয়ে ৩৮ গোল করেছেন, তার চেয়ে বেশি গোল আছে শুধু রাউল আর ডেভিড ভিয়ার।