• এএফসি কাপ
  • " />

     

    কিক অফের আগে : পাঞ্জাবে আবাহনীর অগ্নিপরীক্ষা

    কিক অফের আগে : পাঞ্জাবে আবাহনীর অগ্নিপরীক্ষা    

    কবে, কখন 
    মিনার্ভা পাঞ্জাব-আবাহনী লিমিটেড
    ২৬ জুন
    বিকাল, ৪.৩০ মিনিট, গুয়াহাটি   

    মিনার্ভা পাঞ্জাবের বিপক্ষে সাম্প্রতিক সময়ে নিজেদের সবচেয়ে বড় ম্যাচ খেলতে নামছে আবাহনী। ভারতের গুয়াহাটিতে পাঞ্জাবের দলটিকে হারাতে পারলেই প্রথমবারের মতো এএফসি কাপের পরের রাউন্ডে চলে যাবে আবাহনী। এক ম্যাচ বাকি থাকতে ই গ্রুপে ১০ পয়েন্ট নিয়ে শীর্ষেই আছে বাংলাদেশের চ্যাম্পিয়নরা। দুইয়ে থাকা চেন্নাইন এফসির পয়েন্ট ৮। আবাহনী নিজেদের ম্যাচে অবশ্য ড্র করলেও পরের রাউন্ড নিশ্চিত হয়ে যায়, কিন্তু সেক্ষেত্রে তাদের নির্ভর করতে হবে মানাং মার্সিয়াংদি ও চেন্নাইনের ম্যাচের ফলের ওপর। 

    এই মানাংকেই দুই লেগ মিলিয়ে আবাহনী দিয়েছে ৬ গোল। চেন্নাইনের অ্যাওয়ে ম্যাচ, তবুও সেখানে মানাংয়ের জয় পাওয়াটা হবে চমকই। তাই আপাতত ভাগ্য নিজেদের হাতেই আবাহনীর। জয়টাই চাই তাদের। সপ্তাহখানেক আগে মানাংকে ৫-০ গোলে হারানোর পর আবাহনী কোচ থমাস মারিয়া লেমোস জোর দিয়ে এই কথাটাই বলে গেছেন, "ভাগ্য এখন আমাদের হাতে। সবকিছু ঠিকঠাক করে শেষ ম্যাচে নিজেদের কাজটা করতে না পারলে সেটা হবে খুবই হতাশার।" 

    মিনার্ভার সঙ্গে প্রথম লেগে ঘরের মাঠে আবাহনী ড্র করেছিল ২-২ গোলে। সে ম্যাচে মিনার্ভার আক্রমণ সামলাতে শুরুতে ঝামেলা হলেও, পরে প্রত্যাশামতোই খেলেছে আবাহনী। তবে পাঞ্জাবের লালমুনাপুইয়া ভালোই ভুগিয়েছিল আবাহনীর রক্ষণকে। এবারও পাঞ্জাবের দলটির বিপক্ষে রক্ষণে একইরকম পরীক্ষার আশা করতে পারে আবাহনী। 

    এই টুর্নামেন্টে ৫ ম্যাচ খেলে এখনও জয় না পেলেও, হারেওনি তারা। ৫ ম্যাচের ৫টিই ড্র। মিনার্ভা পাঞ্জাবকে হারাতে হলে তাই নিজেদের সেরাটাই খেলতে হবে আবাহনীর। অথচ এমন ম্যাচেই আবাহনী পাচ্ছে না স্ট্রাইকার সানডে চিজোবাকে। ভিসা জটিলতায় ভারতে দলের সঙ্গে যাওয়া হয়নি তার। এর আগে চেন্নাইনের বিপক্ষে ভারতের ম্যাচেও দলের সঙ্গী হতে পারেননি সানডে। পরে অবশ্য ম্যাচের ঠিক আগের দিন ভারতে গিয়েছিলে, খেলেছিলেন ম্যাচও। এবার  সেই সম্ভাবনা নেই বলেই শোনা যাচ্ছে। মানাংয়ের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে সেরা খেলোয়াড়ও নির্বাচিত হয়েছিলেন সানডে।  টুর্নামেন্টে দুই গোল করেছেন ২৯ বছর বয়সী নাইজেরিয়ান। তাকে ছাড়া মিনার্ভার বিপক্ষে ম্যাচটা তাই আরও কঠিন হয়ে গেছে লেমোসের দলের জন্য।



    পরের রাউন্ডে যেতে কি করতে হবে আবাহনীকে?

    • মিনার্ভাকে হারিয়ে দিলে আর কারও ওপর নির্ভর করতে হচ্ছে না আবাহনীকে। গ্রুপ থেকে ইন্টার জোনাল সেমিফাইনাল প্লে পফে যাবে একটি দল। তাতে শীর্ষস্থান নিশ্চিত হয়ে যাবে আবাহনীর। আর প্রথমবারের মতো এএফসি কাপে গ্রুপ পর্ব পেরুবে তারা।
       
    • ড্র হলে আবাহনীর পয়েন্ট দাঁড়াবে ১১। ​ সেক্ষেত্রে চেন্নাইন নিজেদের ম্যাচে ড্র করলে বা হেরে গেলেই কেবল পরের রাউন্ডে উঠবে আবাহনী। আর চেন্নাইন মানাংকে হারিয়ে দিলে তাদের পয়েন্ট হবে ১১। এক্ষেত্রে গোলব্যবধান দেখা হবে না। সমান পয়েন্ট নিয়েও অ্যাওয়ে গোলে পিছিয়ে থাকায় বাদ পড়বে আবাহনী। চেন্নাইনের বিপক্ষে ভারতে কোনো গোল করতে পারেননি জীবন-সানডেরা। বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে ৩-২ গোলে ফিরতি লেগ জিতেছিল আবাহনী, কিন্তু চেন্নাইনের ওই দুই অ্যাওয়ে গোলই তাদের নিয়ে যাবে পরের রাউন্ডে। 
       
    • মিনার্ভার বিপক্ষে হেরে গেলে আবাহনীকে ভরসা রাখতে হবে মানাংয়ের ওপর। অন্য ম্যাচে ড্র বা বাঁ মানাংয়ের জয় আবাহনীকে নিয়ে যাবে পরের রাউন্ডে। 


    পরের রাউন্ডে কী?
    প্রথমবারের মতো ইন্টার জোন প্লে-অফে আবাহনী জায়গা করে নিতে পারলে নতুন ইতিহাসই গড়বে আবাহনী। এএফসি কাপের দক্ষিণ এশিয়া জোনের আরেক গ্রুপ থেকে শীর্ষ হওয়া দলের সঙ্গে তখন ইন্টার জোনাল সেমিফাইনালে প্লে অফে খেলবে তারা। সেই টাইও দুই লেগের। সেই টাই জিতে গেলে আবাহনীর প্রতিপক্ষ হবে আশিয়ান জোন থেকে প্লে অফ খেলে ওঠা দল। দুই লেগের টাইয়ে জয়ী দল খেলবে ফাইনালে।