• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    প্যাভিলিয়নের চোখে বিশ্বকাপের সেরা একাদশ

    প্যাভিলিয়নের চোখে বিশ্বকাপের সেরা একাদশ    

    দেখতে দেখতে শেষ হয়ে এলো বিশ্বকাপ। সেটার অপরিহার্য অনুষঙ্গ হিসেবে টুর্নামেন্টের সেরা একাদশ তো একটা সাজাতেই হয়। প্যাভিলিয়নের পক্ষ থেকে সেই কাজটাই করতে হয়েছে।

     

     

    ওপেনার

    ওপেনিংয়ে পছন্দ ছিলেন আসলে অনেকজন। রোহিত শর্মা, অ্যারন ফিঞ্চ, ডেভিড ওয়ার্নার, জনি বেইরস্টো, জেসন রয়দের সবার জোরালো দাবি আছে। গ্রুপ পর্বে রোহিতের পাঁচটা সেঞ্চুরি ছিল, সেই হিসেবে তাকে বাইরে রাখা বেশ কঠিন। সমস্যা হচ্ছে, পরের জনকে নিয়ে। রোহিতের চেয়ে মাত্র এক রান কম ওয়ার্নারের, ইনিংস খেলেছেন একটি বেশি। ফিঞ্চের রানও ৫০০র বেশি, বেইরস্টোর প্রায় কাছাকাছি। তবে জেসন রয়ের প্রভাব এই ইংল্যান্ডে এতোটাই বেশি, তাকে বাইরে রাখা কঠিন। চোটের আগে ছিল একটু সেঞ্চুরি, এরপর ইংল্যান্ডের বাঁচা মরার তিন ম্যাচেই পেয়েছেন ফিফটি। প্রমাণ করেছেন, তাকে কতটা মিস করছিল দল। রোহিতের সঙ্গে তিনিই তাই সঙ্গী।

     

    টপ ও মিডল অর্ডার

    তিন থেকে পাঁচেও আছে বেশ কজন প্রতিদ্বন্দ্বী। সাকিব আল হাসান এখানে অটোমেটিক চয়েস, কেন উইলিয়ামসনও। আরেকজনের জায়গায় বাবর আজম, বিরাট কোহলির নাম আসতে পারত। তবে ধারাবাহিকতার জন্য জো রুটই জায়গা পেয়েছেন শেষ পর্যন্ত। তিন জনই ব্যাট করেছেন তিনে, ব্যাটিং অর্ডার সাজানোও সমস্যা। সাকিব ক্যারিয়ারে অনেকবার পাঁচে খেলেছেন বলে আপাতত সেখানে তাকে পাঠানো হলো আর রুট চারে। তিনে আসছেন এই একাদশের অধিনায়ক উইলিয়ামসনই।

     

    অলরাউন্ডার ও উইকেটকিপার

    সাকিব তো আছেনই, আরেকজন অলরাউন্ডার দরকার একাদশে। বেন স্টোকস বল হাতে খুব বেশি কিছু করতে না পারলেও পাঁচে খেলেছেন গুরুত্বপূর্ণ বেশ কিছু ইনিংস। এক ধাপ পিছিয়ে ছয়ে চলে যাচ্ছেন তিনি। উইকেটকিপার হিসেবে অ্যালেক্স ক্যারির প্রতিদ্বন্দ্বী হতে পারতেন মুশফিকুর রহিম। কিন্তু সাতে নেমেও ক্যারির রান তার চেয়ে বেশি, আর ‘ইমপ্যাক্টে’ ক্যারি এগিয়ে অনেকখানি। একাদশের গ্লাভস ক্যারির হাতেই তাই।

     

    চার বোলার

    এখানে সবচেয়ে বড় প্রশ্ন, চারজনই কি পেসার থাকবেন? একাদশে জায়গা পাওয়ার মতো বল করতে পেরেছেন কম স্পিনারই। স্পেশালিস্ট স্পিনার হিসেবে সবচেয়ে বেশি উইকেট চাহালের, দাবি আছে তাহির, রাশিদেরও। কিন্তু এরা কেউই ঠিক ধারাবাহিকভাবে ম্যাচ নির্ধারণী ছিলেন না। সাকিব থাকায় চার জন পেসারই আসবেন তাই।

    সেখানে মিচেল স্টার্ক অটোমেটিক চয়েস। বুমরার উইকেট একটু কম হলেও ডেথ ওভারের দুর্দান্ত বোলিং আর অবিশ্বাস্য ইকোনমিতে তিনিও অটোমেটিক। বাকি থাকে দুইজন। শাহীন শাহ আফ্রিদি, ট্রেন্ট বোল্ট, মোস্তাফিজুর রহমানরা আসতে পারতেন এখানে। তবে নিউজিল্যান্ডের লকি ফার্গুসনও এই বিশ্বকাপে দুর্দান্ত ধারাবাহিক, তাকেও বাদ দেওয়া কঠিন। আর জফরা আর্চারও সেমিতে দারুণ বল করে সবচেয়ে বেশি উইকেট পাওয়ার তালিকায় তিনে চলে এসেছেন। এই দুজনই তাই জায়গা পাচ্ছেন অন্য দুই পেসার হিসেবে