• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    টফেলও বলছেন স্টোকসের ওই ছয় রানটা দিতে ভুল করেছেন আম্পায়ার

    টফেলও বলছেন স্টোকসের ওই ছয় রানটা দিতে ভুল করেছেন আম্পায়ার    

    তিন বলে ইংল্যান্ডের দরকার নয় রান। ট্রেন্ট বোল্টের বলটা ডিপ মিডউইকেটের দিকে মেরেই দুই রানের জন্য দৌড়ালেন বেন স্টোকস। নিজের প্রান্তে ফিরে আসার সময় দিলেন ডাইভ, ওই মুহূর্তে মার্টিন গাপটিলের থ্রো স্টোকসের ব্যাটে লেগে হলো চার! আম্পায়ার কুমার ধর্মসেনা দিলেন মোট ছয় রান। শেষ পর্যন্ত ম্যাচ হয় টাই, সুপার ওভারে স্কোর সমান হলেও চারের দিক দিয়ে এগিয়ে থেকে জেতে ইংল্যান্ড। ফাইনালের পর ওই থ্রোতে ছয় রান দেওয়া দিয়ে উঠেছে বেশ বিতর্ক। অনেকেই বলছেন, আইসিসির নিয়ম অনুযায়ী সেখানে দেওয়া উচিত ছিল পাঁচ রান। ফক্স স্পোর্টসকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে সাবেক আম্পায়ার ও এমসিসির আইন তৈরির উপ-কমিটির সদস্য সাইমন টফেলও বলছেন, ইংল্যান্ডকে ছয় রান দিয়ে ভুল করেছেন আম্পায়াররা। 

    মনে হতে পারে, স্টোকস-রাশিদ তো দুই রান পূর্ণ করেছিলেন, এরপর ওভার থ্রোতে হয়েছে চার; মোট তাই ছয় রানই দিয়েছেন ধর্মসেনা। কিন্তু এমসিসির নিয়ম বলছে ভিন্ন কথা। ওভার থ্রো থেকে চার হলে সেক্ষেত্রে বিবেচনা করা হবে থ্রোয়ের সময় ব্যাটসম্যান একে অন্যকে অতিক্রম করেছেন কি না। গাপটিল যখন থ্রো করেন, স্টোকস ও রাশিদ কেউ কাউকে অতিক্রম করেননি। সেই হিসেবে রানও দেওয়া উচিত ছিল পাঁচ। যদিও এমসিসির এই নিয়মে থ্রো ও ব্যাটসম্যানদের অবস্থান নিয়ে খানিকটা অস্পষ্টতা আছে। 

    পাঁচবারের বর্ষসেরা আম্পায়ার নির্বাচিত হওয়া টফেল অবশ্য সাফ জানিয়ে দিলেন, ধর্মসেনা ভুল করেছেন, ‘ইংল্যান্ডকে পাঁচ রান দেওয়া উচিত ছিল। এটা পরিষ্কার ভুল। তাদের সিদ্ধান্ত নিতে ভুল হয়েছে। সবকিছুর মাঝে হয়ত তারা মনে করেছিলেন থ্রোয়ের সময় ব্যাটসম্যান একে অন্যকে অতিক্রম করেছে। কিন্তু টিভির রিপ্লেতে উল্টোটাই দেখিয়েছে।’

    পাঁচ রান দিলে শেষ দুই বলে ইংল্যান্ডের দরকার হতো চার রান। পরের দুই বলে যা হয়েছে, সেটা ঠিক থাকলে নিউজিল্যান্ড জিততো এক রানে। টফেল আরো বলছেন, যেহেতু ওই ওভারথ্রোর সময় দুই ব্যাটসম্যান একে অন্যকে অতিক্রম করেননি, থ্রোয়ের পর স্টোকস ও রাশিদের প্রান্ত বদল করা উচিত ছিল। সেই হিসেবে স্টোকস নয়, শেষ দুই বলের মুখোমুখি হতে হতো রাশিদকেই। 

    এমন ভুল সিদ্ধান্তের পরেও ফাইনালের দুই আম্পায়ার ধর্মসেনা ও মারাইস এরাসমুসকে দোষ দিতে চান না টফেল, ‘আম্পায়ার হিসেবে কাজটা অনেক কঠিন, কারণ আপনাকে দুই ব্যাটসম্যানের রান পূর্ণ করা দেখতে হবে। এরপর ফিল্ডার বল ধরে থ্রো করছে কখন সেটাও দেখতে হবে, ওই মুহূর্তে দুই ব্যাটসম্যান কোথায় আছেন সেটাও। তাই এটা বলা উচিত না যে আম্পায়ারের এই সিদ্ধান্তই ম্যাচের ফলাফল বদলে দিয়েছে। এটা ইংল্যান্ড, নিউজিল্যান্ড ও আম্পায়ারদের সাথে অন্যায় হবে।’