যে কারণে ইমরুলকে টপকে এনামুল এলেন, বাদ পড়লেন রাহী
মাত্র তিন ওয়ানডের সফর, সব মিলে ১১ দিনের। এর মধ্যে একটা প্রস্তুতি ম্যাচও আছে। শ্রীলংকা সফরে ১৪ জনের দল নিয়েই যাচ্ছে বাংলাদেশ। তবে বিশ্বকাপের দল থেকে বাদ পড়েছেন আবু জায়েদ রাহী, আর দলে আবার ডাক পেয়েছেন এনামুল হক বিজয় ও তাইজুল ইসলামকে। কেন রাহি বাদ পড়লেন, আর বিজয়-তাইজুলদের নেওয়া হলো সেটি আজ মিরপুরে সংবাদমাধ্যমকে ব্যাখ্যা করেছেন প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু।
সাকিব আল হাসান না থাকায় তাঁর বদলে একজন বাঁহাতি স্পিনারকে চেয়েছিল দল। তাইজুল ইসলাম ছিলেন প্রথম পছন্দ। আর কর্ণাটকে ইনিংসে ৮ উইকেট নিয়ে তাইজুল কাজটা আরও সহজ করে দিয়েছেন নির্বাচকদের। তবে প্রশ্ন উঠেছে লিটন দাসের বিকল্প নিয়ে।
সাকিব না থাকায় তিন নম্বরে একজনকে লাগত। আর ওপেনার হিসেবে বিকল্প তো আছেই। ইমরুল কায়েস সেখানে বিবেচনাতে আসতেই পারতেন। দেশের মাটিতে গত অক্টোবরেই জিম্বাবুয়ে সিরিজে রেকর্ড রান করেছিলেন। ওয়েস্ট ইন্ডিজ সফরে বাদ পড়েছেন, এরপর আর সুযোগ পাননি। এরপর ঢাকা প্রিমিয়ার লিগে সময়টা খুব ভালো যায়নি। একটি সেঞ্চুরি করলেও বাকি ম্যাচে রান পাননি কোনো। সেদিক দিয়ে বিজয় এখানে এগিয়ে ছিলেন, তিনটি সেঞ্চুরিসহ ৩৬.৮ গড়ে করেছেন ৫৫২ রান।
তবে জাতীয় দলে ২০১৭ থেকে ওপেনিংয়ে সুযোগ পেয়েও তেমন কিছু করতে পারেননি বিজয়। সবকিছু মিলে তার দলে আসা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে আজ। মিনহাজুল বললেন, এইচপি কোচ সায়মন হেলমুটের কাছে বিজয়ের ব্যাপারে ইতিবাচক বার্তা পেয়েছেন তারা, ‘ঘরোয়াতে ধারাবাহিকভাবে ভালো খেলেছে বিজয়। বড় দৈর্ঘ্য বা ওয়ানডে সবকিছুতেই ভালো খেলেছে। সব কিছু ভেবেই ওকে নেওয়া হয়েছে। এখন এ দলেও ভালো খেলেছে। ইমরুলের পারফরম্যান্স খুব একটা ভালো ছিল না। এইচপির যে হেড কোচ, তার কাছ থেকে বিজয়ের ব্যাপারে ইতিবাচক কিছু জিনিস পেয়েছি। সেজন্য ওকে নেওয়া হয়েছে।’ আফগানিস্তান এ দলের বিপক্ষে কদিন আগেই সেঞ্চুরি পেয়েছেন বিজয়, যদিও অন্য দুই ইনিংসে ২৩ ও ১৬। তবে ইমরুলও ছিলেন ব্যর্থ, তিন ইনিংস মিলে করেছেন ৩৬ রান।
বিজয়ের ক্ষেত্রে আরেকটা ব্যাপারও বিবেচনায় এসেছে, নিশ্চিত করলেন মিনহাজুল, ‘আরেকটা ব্যাপার, আমাদের দুই ওপেনারই বাঁহাতি। সুতরাং সেখানে আমরা একজন ডানহাতিকে বিবেচনা করেছি।’
প্রশ্ন উঠেছে, বিশ্বকাপে কোনো ম্যাচ খেলার সু্যোগ না পেয়েও কেন রাহী বাদ পড়লেন। মিনহাজুল বললেন, এই সিরিজের জন্য বাড়তি পেসার না নিয়ে ১৪ জনের দলই নিতে চেয়েছেন। আর রাহীকে এ দল বা বিসিবি একাদশে খেলাতে চাইছেন আপাতত, ‘বিশ্বকাপের জন্য আমরা ১৫ জনের একাদশ নিয়েছিলাম, ম্যাচ অনেক বেশি ছিল। আফগানিস্তান এ দলের হয়ে খেলা আছে, সাথে বিসিবি একদশও খেলছে। আমাদের তিনটা দল এখন একসঙ্গে খেলছে, সেহেতু খেলার সুযোগ করে দেওয়ার জন্য ১৪ জনের দল যাচ্ছে। আর ম্যাচ তো তিনটি।’
তাহলে আয়ারল্যান্ড সিরিজে ফরহাদ রেজা, তাসকিন আহমেদ বা ইয়াসির আলীদের সুযোগ দেওয়া নিয়ে কী ভাবছেন্ম? মিনহাজুল বললেন, এই মুহূর্তে যেহেউ সবাই এ দল বা এইচপির হয়ে খেলায় ব্যস্ত আছেন, তাই সামনে সবারই সুযোগ আসবে, ‘বিশ্বকাপের আগে লম্বা সফরের জন্য কিছু খেলোয়াড়কে বিবেচনা করা হয়। সেখান থেকে কিছু খেলোয়াড়কে নেওয়া যায় না। আর এখন জাতীয় দলের পাশাপাশি এ দল আর এইচপিও খেলছে। সুতরাং এটা বলতে পারবেন না যে কাউকে সুযোগ দেওয়া হচ্ছে না।’