শেষ ২ বলের আগে বাংলাদেশের কথা ভাবছিলেন স্টোকস
শেষ বল, প্রয়োজন ২ রান। একটা বাউন্ডারি হলেই বিশ্বকাপ ইংল্যান্ডের। ১ রানের আগে একটা উইকেট, বিশ্বকাপ নিউজিল্যান্ডের। ট্রেন্ট বোল্টের লেগসাইডের লো ফুলটসটা বড় শট খেলতে পারতেন স্টোকস? চেষ্টা করতে পারতেন নিশ্চিতভাবেই। তবে সেটা করেননি, সে সময় তার মনে হচ্ছিল ২০১৬ ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে ভারতের বিপক্ষে বাংলাদেশের সেই ম্যাচটা। ৩ বলে ২ রান প্রয়োজন ছিল বাংলাদেশের, ৩ বলে আউট হয়েছিলেন তিনজন ব্যাটসম্যান! ম্যাচটা সুপার ওভারেও নিয়ে যেতে পারেনি সেবার বাংলাদেশ, হেরে গিয়েছিল ১ রানে। স্টোকস ঝুঁকি নিতে চাননি তাই, কমপক্ষে যাতে ম্যাচ সুপার ওভারে যায়, সে কারণে তিনি পুশ করেছিলেন ডাবলসের জন্য।
স্টোকস অবশ্য টাইমিং একটু করে ফেলেছিলেন ভালই। দুই নিতে পারেননি, নন-স্ট্রাইক প্রান্তে মার্ক উড রান-আউট হওয়ায়। স্টোকসের চোখেমুখে আফসোসের ছাপ ছিল স্পষ্ট, তবে ম্যাচ তো গিয়েছিল সুপার ওভারে। শেষ পর্যন্ত নাটকীয় সুপার ওভারও টাই হওয়ায় বাউন্ডারি সংখ্যায় ম্যাচ জিতে চ্যাম্পিয়ন হয়ে গেছে ইংল্যান্ড।
শেষ ২ বলে ইংল্যান্ডের প্রয়োজন ছিল ৩ রান, শেষ ২ বলে ২টি ডাবলস নিতে গিয়ে রান-আউট হয়েছিলেন দুজন। “আমি সত্যিকার অর্থে চিন্তা করেছি, ৫ম বলের আগে। আমি শুধু ভাবছিলাম বাংলাদেশের কথা। ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে তাদের এত রানই লাগতো, তবে তাড়া উড়ে মারতে গিয়ে আউট হয়েছিল। আমি শুধু ভাবছিলাম, ‘ক্যাচ আউট হওয়া যাবে না। কমপক্ষে সুপার ওভারে নিয়ে যাও ম্যাচটা’। এরপর যদি গ্যাপে খেলতে পারি, তাহলে দুইও হতে পারে”, ইএসপিএনক্রিকইনফোকে বলেছেন স্টোকস।
“আমি এ প্রক্রিয়াতেই চলছিলাম। শুধু আকাশে তুলে ক্যাচ তোলা যাবে না। ‘ছয় মেরে হিরো সাজার দরকার নেই’। যদি দুই হয়ে যেতো, এবং এসব (নাটক) না হতো! আমার আবেগ অনেক বেশি ছিল তখন। ওই দশ মিনিটের বিরতির জন্য ড্রেসিংরুমে ফেরার সময় আমি নিজেকে নিয়ে সন্তুষ্ট ছিলাম না খুব একটা।”
তবে ঝুঁকি নেননি বলে নিশ্চয়ই সন্তুষ্ট তিনি, শেষ পর্যন্ত ফল তো এসেছে তাদের পক্ষেই। ২০১৬ সালে বেঙ্গালুরুতে যেটা করতে পারেননি মুশফিকুর রহিম বা মাহমুদউল্লাহরা, দুজনই চেয়েছিলেন বড় শট খেলে ম্যাচ শেষ করতে।