• ক্রিকেট বিশ্বকাপ ২০১৯
  • " />

     

    সুপার ওভারে নিশমের ছয়ের মুহূর্তেই মারা গিয়েছিলেন তাঁর কোচ

    সুপার ওভারে নিশমের ছয়ের মুহূর্তেই মারা গিয়েছিলেন তাঁর কোচ    

    বিশ্বকাপের ফাইনাল তখন সুপার ওভারে। ইংল্যান্ডের দেওয়া ১৬ রানের লক্ষ্যে ব্যাটিংয়ে নেমে জফরা আর্চারের দ্বিতীয় বলেই জিমি নিশম মারলেন দারুণ এক ছয়। নিউজিল্যান্ড সমর্থকরা তখন বিশ্বকাপ জয়ের স্বপ্ন দেখা শুরু করে দিয়েছিলেন। ঠিক ওই মুহূর্তে নিউজিল্যান্ডে অসুস্থ অবস্থায় খেলা দেখছিলেন নিশমের শিক্ষক ডেভিড গর্ডন। নিশম ছয় মারার সাথে সাথেই শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। শৈশবের শিক্ষক ও ক্রিকেট কোচকে স্মরণ করে টুঁইটারে একটি বিশেষ বার্তাও দিয়েছেন নিশম। 

    গর্ডন প্রায় ২৫ বছর ধরে শিক্ষকতা করেছেন অকল্যান্ড গ্রামার স্কুলে। সেখানে শিক্ষকতার পাশাপাশি ক্রিকেট দলের কোচও ছিলেন তিনি। সেই স্কুলের ছাত্র ছিলেন নিশম ও লকি ফার্গুসনসহ বেশ কয়েকজন ক্রিকেটার। পাঁচ সপ্তাহ আগে হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন গর্ডন। বিশ্বকাপ দেখেছেন অসুস্থ অবস্থাতেই। লর্ডসের ফাইনালের দিন একটু বেশি অসুস্থ হয়ে পড়েছিলেন তিনি। সুপার ওভারের আগে নার্স এসে গর্ডনের মেয়েকে জানান, তার অবস্থা ভালো নয়। ফাইনালের শেষটা দেখে যেতে পারেননি তিনি, নিশম ছয় মারার সাথে সাথেই মারা যান গর্ডন। 

    প্রিয় শিক্ষক ও কোচের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়েছেন নিশম, ‘আমার হাই স্কুলের শিক্ষক, কোচ ও বন্ধু  গর্ডন। ক্রিকেটের জন্য আপনার ভালোবাসা ছিল অফুরন্ত। আমরা যারা আপনার অধীনে খেলেছি তারা খুবই সৌভাগ্যবান। ম্যাচ শেষ হওয়ার আগ মুহূর্ত পর্যন্ত আপনি শ্বাস ধরে রেখেছিলেন। আমরা আপনাকে নিয়ে গর্বিত। সবকিছুর জন্য ধন্যবাদ।’ 

    গর্ডনের মেয়ে লিওনি জানিয়েছেন, নিশমকে নিয়ে খুব গর্বিত ছিলেন তিনি, ‘নিশম ছয়টা মারার সাথে সাথেই বাবা শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করে। তিনি মজা করতে ভালবাসতেন, নিশমের ওই ছয়টাতেও খুব মজা পেতেন। নিশম ও তার বাবার সাথে সবসময়ই তার যোগাযোগ ছিল। নিশমকে খুব ভালবাসতেন তিনি, তাকে নিয়ে গর্বিতও ছিলেন। বেঁচে থাকলে সবসময়ই নিশমের খেলা দেখতেন।’