• বাংলাদেশের শ্রীলংকা সফর
  • " />

     

    নিরাপত্তার প্রশ্নের সঙ্গে তামিমদের চ্যালেঞ্জ গরমও

    নিরাপত্তার প্রশ্নের সঙ্গে তামিমদের চ্যালেঞ্জ গরমও    

    দুপুর থেকে বিকেল পর্যন্ত প্রেমাদাসা স্টেডিয়ামে হলো অনুশীলন। এরপর অধিনায়ক তামিম ইকবাল ও কোচ খালেদ মাহমুদ চলে গেলেন তাজ সমুদ্র হোটেলে সিরিজের আনুষ্ঠানিক সংবাদ সম্মেলনের জন্য। সেখানে নিজেদের প্রস্তুতির পাশাপাশি শ্রীলংকা সফরের নিরাপত্তা ইস্যুও উঠে এলো বার বার।

     

    তামিমের জন্য এই সফরটা অনেক দিক দিয়েই চ্যালেঞ্জিং। বিশ্বকাপে রান পাননি, তার চেয়েও বেশি চোখে পড়েছে খোলসের ভেতর ঢুকে থাকা। এবার প্রথমবারের মতো রঙিন পোশাকে বাংলাদেশকে নেতৃত্বও দিতে যাচ্ছেন। কাজটা তামিম চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছেন, ‘এই দায়িত্ব আমাকে ক্রিকেট বোর্ড থেকে দেওয়া হয়েছে। আমি এটা চ্যালেঞ্জ হিসেবেই দেখছি, আমি নিজের পারফরম্যান্স দিয়ে সামনে থেকে নেতৃত্ব দিতে চাই। আমি নিশ্চিত এটা আমি উপভোগ করতে চাই। দেখা যাক এটা সিরিজ শেষে কীরকম দাঁড়ায়।’

     

    তবে কলম্বোতে আসার পর থেকে কন্ডিশনের সঙ্গেও একটু মানিয়ে নিতে হচ্ছে বাংলাদেশকে। ঢাকার মতো এখানেও তীব্র গরম, সঙ্গে সমুদ্রপাড়ের আর্দ্রতা তো আছেই। কাল আবার সকালে শ্রীলংকা একাদশের বিপক্ষে প্রস্তুতি ম্যাচ খেলবে বাংলাদেশ দল। এর মধ্যে সবাই চলেও এসেছেন। তামিম বলছেন, সেরা একাদশের সবাই এই ম্যাচে অংশ নেবেন, ‘একটা জিনিস আমার কাছে মনে হয় দুই দিন আগে আসতে পেরেছি এটা ভালোই হয়েছে। এখানে অনেক বেশি গরম।  মানিয়ে নেওয়ার ব্যাপারও আছে। কালকে একটা অনুশীলন ম্যাচ আছে। আমরা চেষ্টা করছি, প্রথম ম্যাচে যে একাদশ খেলাতে চাই তাদের বেশির ভাগ যেন কাল সুযোগ পায়। বাকিটা কোচ ও ম্যানেজমেন্ট ঠিক করবে। তবে এখন পর্যন্ত আমাদের এরকমই পরিকল্পনা আছে।’

    শ্রীলংকান প্রচারমাধ্যম থেকে অবশ্য বার বার নিরাপত্তা নিয়ে কথা হলো। গত এপ্রিলে ইস্টার সানডেতে ভয়ংকর সন্ত্রাসী হামলার পর এখন পর্যন্ত কোনো দলকে আতিথ্য দেয়নি শ্রীলংকা। কিছুটা সংশয়ের পর বাংলাদেশ এসেছে সিরিজ খেলতে। তামিমকে সেটা নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি এ নিয়ে কোনো সংশয়ের কোনো জায়গা দেখেননি, ‘না, একদমই না। শ্রীলংকায় আসার ব্যাপারে সবাই ইতিবাচক ছিল। খুব বেশি দিন আগে আমরাও কাছাকাছি পরিস্থিতিতে ছিলাম। শ্রীলংকা তখন এখানে এসেছিল। এখানে আসবে না সেটা কেউ বলেনি, সবাই আসতেই চেয়েছে। শ্রীলংকা ক্রিকেট খেলার জন্য খুব ভালো জায়গা। আমাদের নিরাপত্তা বা অন্যদিকে আমাদের খুব ভালো যত্ন নেওয়া হচ্ছে। এই মুহূর্তে আমরা ক্রিকেট ছাড়া অন্য কিছু নিয়ে আর ভাবছি না।’

    প্রশ্ন উঠলো সাকিব আল হাসানকে নিয়েও। তার অভাব কতটা পূরণ করতে পারবে বাংলাদেশ, সেই প্রশ্নে তামিম মোটামুটি অনুমিত কথাই বললেন, ‘ দলে যে ১৫ জন আছে তারা সবাই সামর্থ্য আছেই বলেই সুযোগ পেয়েছে। সাকিব বিশ্বকাপে বাংলাদেশের হয়ে অসাধারণ খেলেছে। কিন্তু সে নেই, ওকে নিয়ে কথা না বলে আমি আমাদের ১৫ জন নিয়েই বলতে চাই। যেই সুযোগ পাক, সেটা কাজে লাগানোর চেষ্টা করবে বলেই আমি মনে করি।’

    আগামীকাল ২৩ জুলাই প্রস্তুতি ম্যাচের পর ২৬ জুলাই হবে প্রথম ওয়ানডে।