দুঃস্বপ্নের ৩৮ রানে শেষ আয়ারল্যান্ডের লর্ডস-অধ্যায়
ইংল্যান্ড ৮৫ ও ৩০৩
আয়ারল্যান্ড ২০৭ ও ৩৮
ফলঃ ইংল্যান্ড ১৪৩ রানে জয়ী
প্রথম দিনটা যদি মধুচন্দ্রিমা হয়, দ্বিতীয় দিন একটু বাস্তবে ফেরা। কিন্তু লর্ডসের তৃতীয় দিনেই এমন ঘোর দুঃস্বপ্ন দেখতে হবে, আয়ারল্যান্ড কি ভেবেছিল? ১৮২ রান তাড়া করে ৩৮ রানেই যে অলআউট হয়ে গেল আইরিশরা! প্রথম ইনিংসে অমন বিপর্যয়ের পরও তাই শেষ পর্যন্ত ম্যাচটা ইংলিশরা জিতে গেল ১৪৩ রানে।
অথচ দিনের শুরুটা কী দারুণই ছিল আয়ারল্যান্ডের। ইংল্যান্ডের শেষ দুই ব্যাটসম্যান স্টুয়ার্ট ব্রড আর অলি স্টোন নেমেছিলেন আজ সকালে। থমসনের প্রথম বলেই বোল্ড হয়ে গেছেন স্টোন, আগের দিনের সঙ্গে তাই কোনো রানই যোগ করতে পারেনি ইংল্যান্ড। অলআউট হয়ে গেছে ৩০৩ রানে। এরপর মাঠে নামল আয়ারল্যান্ড, ১ ওভার পরেই নামল বৃষ্টি। সেটাই বোধ হয় কাল হলো তাদের জন্য, বৃষ্টিভেজা মেঘলা লর্ডস এরপর তাদের জন্য হয়ে গেল বধ্যভূমি।
দ্বিতীয় ইনিংসে আসলে দুই ইংলিশ পেসার ব্রড আর ক্রিস ওকস মিলেই খেলা শেষ করে দিয়েছেন। প্রথম উইকেটের জন্য মাত্র চতুর্থ ওভার পর্যন্ত অপেক্ষা করতে হয়েছে। উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে ফিরে গেছেন অধিনায়ক পোর্টারফিল্ড, ২ রানেই হয়ে গেছেন আউট। দ্বিতীয় উইকেট পড়তে খুব বেশি সময় লাগেনি, ৫ রান করে বালবির্নি ব্রডের বলে ক্যাচ দিয়েছেন স্লিপে। জেমস ম্যাককুলামের সঙ্গে তার ১৭ রানের জুটিটাই হয়ে থেকেছে আয়ারল্যান্ডের ইতিহাসের সর্বোচ্চ। ১৮ রানেই দ্বিতীয় উইকেট হারাল আয়ারল্যান্ড।
ঘরের ছেলে পল স্টার্লিং টিকলেন মাত্র ২ বল, কোনো রান না করেই বোল্ড হয়ে গেলেন ওকসের বলে। ম্যাককুলামই একমাত্র দুই অংক ছুঁতে পেরেছিলেন, তিনিও ওকসের বলে ক্যাচ দিলেন স্লিপে। আয়ারল্যান্ডের সব ব্যাটসম্যান এরপর ছিলেন আসা যাওয়ার মিছিলে। ২৪ রানে ৪ উইকেট থেকে কিছুক্ষণের মধ্যেই ২৬ রানে ৬ উইকেট হয়ে গেছে আয়ারল্যান্ড, এর মধ্যে ফিরে গেছেন কেভিন ও ব্রায়েনও।
ব্রড ও ওকস তখন পালা করে দুই দিক থেকে উইকেট নিতে শুরু করেছেন। শেষ পর্যন্ত মাত্র ১৫.৪ ওভারেই অলআউট হয়ে গেছে ৩৮ রানে। টেস্ট ইতিহাসে সপ্তম সর্বনিম্ন রান, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর যা দ্বিতীয় সর্বনিম্ন। ৪ উইকেটে ১৯ রান নিয়ে শেষ করেছেন ব্রড, ওকস ১৯ রান দিয়ে নিয়েছেন ৬ উইকেট।