জাতীয় দলের নতুন পেস বোলিং কোচ ল্যাঙ্গেভেল্ট, স্পিন কোচ ভেট্টরি
বাংলাদেশ জাতীয় ক্রিকেট দলের নতুন পেস বোলিং কোচ হচ্ছেন চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্ট, স্পিন বোলিং কোচ হিসেবে আসছেন ড্যানিয়েল ভেট্টরি। বিশ্বকাপের পর কোচিং প্যানেলের বড় রকমের পরিবর্তনে ফাঁকা ছিল এ দুটি পদও, যে পরিবর্তনে চলে গেছেন হেড কোচ স্টিভ রোডস, পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ, স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশি, ফিজিও তিহান চন্দ্রমোহন। যথাক্রমে ওয়ালশ ও যোশির জায়গা নিচ্ছেন ল্যাঙ্গেভেল্ট ও ভেট্টরি।
পূর্ণ মেয়াদে দায়িত্ব দেওয়া হচ্ছে ল্যাঙ্গেভেল্টকে, ২০২০ সালের অস্ট্রেলিয়ায় হতে যাওয়া ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি পর্যন্ত থাকবেন তিনি। ভেট্টরিকে পাওয়া যাবে দিন হিসেবে। ভারত সিরিজ থেকে বছরে ১০০ দিন হিসেবে কাজ করবেন তিনি। আপাতত যুক্তরাষ্ট্রে আছেন তিনি, চুক্তি সই করবেন সেখান থেকে ফিরলে।
এর আগে আইপিএলে রয়্যাল চ্যালেঞ্জার্স ব্যাঙ্গালোর, বিগ ব্যাশে ব্রিসবেন হিটের হেড কোচ ছিলেন ভেট্টরি। আয়ারল্যান্ড, নেদারল্যান্ডস ও স্কটল্যান্ডের নতুন টি-টোয়েন্টি লিগ ডাবলিন চিফের হেড কোচের দায়িত্ব নিয়েছেন তিনি। তার নিয়োগের ব্যাপারে বিসিবি প্রেসিডেন্ট নাজমুল হাসান বলেছেন, মূলত নতুন স্পিনার তৈরিতে বেশি কাজ করবেন তিনি, “ভেট্টরি আমাদের জানামতে প্রাণচঞ্চল মানুষ। ১০০ দিনের মধ্যে সে স্কিল ক্যাম্পে বেশি কাজ করবে, বিশেষ করে নতুন স্পিনার তৈরি করায়।”
ল্যাঙ্গেভেল্ট এর আগে তিনি দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং কোচ ছিলেন ২০১৫ বিশ্বকাপের পর থেকে ২০১৭ সালের অক্টোবর পর্যন্ত। অ্যালান ডোনাল্ডের জায়গা নিয়েছিলেন তিনি, পরে তাকে সরিয়ে এসেছিলেন প্রোটিয়াদের বর্তমান হেড কোচ ওটিস গিবসন। শেষ বিশ্বকাপে ল্যাঙ্গেভেল্ট ছিলেন আফগানিস্তানের বোলিং কোচ।
বিশ্বকাপের পর ওয়ালশের সঙ্গে চুক্তির মেয়াদ শেষ হয়ে যাওয়ার পর শ্রীলঙ্কায় বোলিং কোচ ছাড়াই গিয়েছে বাংলাদশ। ২০১৬ সালের আগস্টে বাংলাদেশে এসেছিলেন ওয়ালশ, বিশ্বকাপের পর তার সঙ্গে আর চুক্তি নবায়ন করেনি বিসিবি। একই অবস্থা ছিল স্পিন বোলিং কোচ সুনীল যোশিরও।
আর বাংলাদেশের হয়ে ব্যাটিং কোচের কাজ চালিয়ে যাবেন নিল ম্যাকেঞ্জি। তার মেয়াদও ২০২০ এর ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টি পর্যন্ত। বিসিবি চেষ্টা করছে তাকে শুধু ওয়ানডে বা টি-টোয়েন্টি নয়, টেস্টের জন্যও রাখার। আর শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে সিরিজের প্রথম ওয়ানডেতে বাংলাদেশের ফিল্ডিংয়ের বাজে অবস্থার পর ফিল্ডিং কোচ রায়ান কুককে জবাবদিহি করতে হবে বলেও জানিয়েছেন বিসিবি প্রেসিডেন্ট। নতুন হেড কোচ যিনি হবেন, তার সঙ্গে কথা বলেই ফিল্ডিং কোচের ব্যাপারে সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে বলেও জানিয়েছেন তিনি।