নেট সেশন : (মাইনাস মালিঙ্গা) প্লাস ওয়ান = শ্রীলঙ্কা, বাংলাদেশ = ?
২য় ওয়ানডে
শ্রীলঙ্কা-বাংলাদেশ
কবে, কখন
২৮ জুলাই, ২০১৯
বাংলাদেশ সময় ১৫০০ (বিকাল ৩.০০)
নতুন দিন, নতুন একটি ম্যাচ এক দিনের ব্যবধানে, সেই একই ভেন্যুতে। তবে এই একদিনেই গড়ে ওঠে কতো পার্থক্য। লাসিথ মালিঙ্গা টি-টোয়েন্টি খেলবেন এখনও, হয়তো ওয়ার্ল্ড টি-টোয়েন্টিতে অধিনায়কত্বের দায়িত্বও পেতে পারেন। তবে ওয়ানডেতে খেলবেন না আর, তার এই না খেলাটাই যেন আপাতত অস্বীকার করছে অন্য কোনও ফরম্যাটে খেলার অস্তিত্ব। তিন ম্যাচ সিরিজের দ্বিতীয় ওয়ানডেটা তাই শ্রীলঙ্কার জন্য ‘মাইনাস মালিঙ্গা’ অবস্থায় ‘প্লাস ওয়ান’-এর দিকে এগিয়ে যাওয়া।
আর বাংলাদেশের ক্ষেত্রে? সেটা একটা প্রশ্ন। আগের ম্যাচে মালিঙ্গার বিদায়ী আবহে যেন মিলিয়ে গেছে বাংলাদেশের পারফরম্যান্স। মোটা দাগে চিন্তা করলে বাংলাদেশের সমস্যা ছিল তিনটি : ব্যাটিং, বোলিং, ফিল্ডিং। বোলিংয়ে শুরুতে এক উইকেট নিলেও এরপর সে চাপ ধরে রাখতে ব্যর্থ হয়েছেন তারা, কুসাল পেরেরার ধ্বংসযজ্ঞ থেকে তাই বাঁচতে পারেনি বাংলাদেশ। তার ফেরার পর রানরেটে একটু লাগাম পড়িয়েছিল বাংলাদেশ, তবে তখন আরও প্রকট হয়ে উঠেছে ফিল্ডিংয়ের সমস্যা। ফিল্ডিংয়ে অবস্থা সব মিলিয়ে ছিল যাচ্ছেতাই, ক্যাচ মিসের সঙ্গে গ্রাউন্ড ফিল্ডিংয়ের মিস যেন মনে করিয়ে দিচ্ছে প্রবল এক ক্ষতের কথা, যেটি সারছে না কিছুতেই। আর ব্যাটিংয়ে মালিঙ্গার ইয়র্কার, নুয়ান প্রদিপের লাইন-লেংথে বাংলাদেশ যেন নতুন করে চমকে গেছে।
এমনিতে বিশ্বকাপের পরপরই এমন এক সিরিজে আত্মবিশ্বাস ফিরিয়ে আনাটা চ্যালেঞ্জ বড় রকমের। সে চ্যালেঞ্জের প্রথম পর্বে বাংলাদেশ নিশ্চিতভাবেই ফেইল করেছে। আর প্রেমাদাসার ব্যাটিং উইকেটে শ্রীলঙ্কানরা রান-উৎসবে না মাতলেও যে স্কোর গড়েছিলেন, বাংলাদেশের দ্রুত উইকেট সেটিকেই বানিয়ে ফেলেছে পাহাড়সমান। তিন ম্যাচের সিরিজ বলে এ ম্যাচটা মোটামুটি বাঁচা-মরার লড়াই, সিরিজে টিকে থাকতে জয়ের বিকল্প নেই তাই আপাতত।
ব্যাটিং-বোলিংয়ে সাকিব আল হাসানের অনুপস্থিতি ছিল স্পষ্ট, অন্তত বিশ্বকাপের ম্যাচগুলির প্রেক্ষিতে। তবে তাকে পাওয়া যাবে না এ সিরিজে, সেটি নির্ধারিত আগে থেকেই। দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাও যেমন পাবে না মালিঙ্গাকে। তাদের ইতিহাসের তৃতীয় সেরা বোলারকে ছাড়াই নামবে শ্রীলঙ্কা। নিজেদের ইতিহাসের সেরা অলরাউন্ডারকে ছাড়া আরেকটি ম্যাচ বাংলাদেশের।
সিরিজ বাঁচাতে পারবে তামিম ইকবালের দল?
রঙ্গমঞ্চ
আর প্রেমাদাসা, কলম্বো
সিরিজের তিনটি ম্যাচই এই ভেন্যুতে। প্রথম ম্যাচের মতো এদিনও আবহাওয়ার পূর্বাভাসে আছে বৃষ্টির সম্ভাবনা, বাগড়া বাধাতে পারে সেটা। এখন পর্যন্ত ক্ষেত্তারমার এ মাঠে ৯টি ওয়ানডে খেলে জয়ের দেখা পায়নি বাংলাদেশ।
যাদের ওপর চোখ
সৌম্য সরকার
প্রথম ম্যাচে বাংলাদেশের ‘সেরা’ বোলার বলা যায় তাকে। তবে মূল যে কাজ, সেই ব্যাটিংয়ে মালিঙ্গার দুর্দান্ত ইয়র্কারের শিকার হয়েছিলেন তিনি। টপ অর্ডারে বাংলাদেশের ব্যর্থতা ভুগিয়েছে, সৌম্য বদলাতে পারবেন সেখানে কিছু?
আভিশকা ফার্নান্ডো
বিশ্বকাপে যেন নিজেকে নতুন করে আবিষ্কার করেছিলেন তিনি। প্রথম ওয়ানডেতে অবশ্য কিছু করার আগেই আউট হয়ে ফিরেছিলেন। এবার ঝলক দেখাতে পারবেন?
সম্ভাব্য একাদশ
মালিঙ্গা নেই, একটি পরিবর্তন তাই অবধারিত শ্রীলঙ্কার। তার জায়গায় আসতে পারেন অলরাউন্ডার দাশুন শনাকা।
শ্রীলঙ্কা- দিমুথ করুনারত্নে (অধিনায়ক), আভিশকা ফার্নান্ডো, কুসাল পেরেরা, কুসাল মেন্ডিস, অ্যাঞ্জেলো ম্যাথিউস, ধনঞ্জয়া ডি সিলভা, থিসারা পেরেরা, ইসুরু উদানা, নুয়ান প্রদিপ, আকিলা দনঞ্জয়া, দাশুন শনাকা
এনামুল হক, তাইজুল ইসলাম, তাসকিন আহমেদ, ফরহাদ রেজা- চারজনের মধ্যে শিঁকে ছিঁড়বে কারও?
বাংলাদেশ- তামিম ইকবাল (অধিনায়ক), সৌম্য সরকার, মোহাম্মদ মিঠুন, মুশফিকুর রহিম (উইকেটকিপার), মাহমুদউল্লাহ, সাব্বির রহমান, মোসাদ্দেক হোসেন, মেহেদি হাসান, তাসকিন আহমেদ, মোস্তাফিজুর রহমান, রুবেল হোসেন
সংখ্যার খেলা
- ২০১৫- শেষ দেশের মাটিতে দ্বিপক্ষীয় ওয়ানডে সিরিজ জিতেছিল শ্রীলঙ্কা
- ২০১৭- শেষ টানা চারটি ওয়ানডে হেরেছিল বাংলাদেশ
তারা বলেন
শুরুতে বাজে বোলিং করেছি আমরা, সহজেই কিছু বাউন্ডারি দিয়ে বসেছি। পুরো ব্যাটিং লাইন-আপই ছিল হতাশাজনক।
তামিম ইকবাল ফিল্ডিংয়ের কথাটা না বললেও সমান বাজে ছিল সেটাও