• বাংলাদেশের শ্রীলংকা সফর
  • " />

     

    নতুন বলে পেসারদের ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনতে চান ল্যাঙ্গেভেল্ট

    নতুন বলে পেসারদের ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনতে চান ল্যাঙ্গেভেল্ট    

    গত চার বছরে ওয়ানডেতে বাংলাদেশের সাফল্যের বড় কারণ নতুন বলে পেসারদের উইকেট তুলে নেওয়া। তবে এই বছরের শুরু থেকেই সেটায় ভাটা পড়েছে। বিশ্বকাপেও নতুন বলে হতাশ করেছেন মাশরাফি-মোস্তাফিজরা। দুইদিন আগে বাংলাদেশের নতুন পেস বোলিং কোচের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে সাবেক দক্ষিণ আফ্রিকা পেসার চার্ল ল্যাঙ্গেভেল্টকে। দায়িত্ব পাওয়ার পরপরই ইএসপিএনকে দেওয়া এক বিশেষ সাক্ষাৎকারে ল্যাঙ্গেভেল্ট বলছেন, নতুন বলে পেসারদের ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনাটাই  তাঁর কাছে সবচেয়ে বড় চ্যালেঞ্জ। 

    ২০১৯ সালের শুরু থেকে প্রথম দশ ওভারে বাংলাদেশের পেসাররা নিয়েছেন মাত্র সাত উইকেট, তাদের স্ট্রাইক রেট ১১৩.১৪, গড় ১০৩। বিশ্বকাপে বাংলাদেশের সবচেয়ে সফল বোলার মোস্তাফিজুর রহমানের ২০ উইকেটের বেশিরভাগই এসেছে ৩০ ওভারের পরে। 

    ল্যাঙ্গেভেল্ট বলছেন, নতুন বলে বাংলাদেশের পেসারদের ধারাবাহিকতা ফিরিয়ে আনতে চান তিনি, ‘সব ফরম্যাটেই আপনাকে নতুন বলে ধারাবাহিক হতে হবে। ধারাবাহিকভাবে ভালো লেন্থে বল করে যেতে হবে। কমপক্ষে চার-পাঁচটি বল এমন জায়গায় ফেলতে হবে যেন ব্যাটসম্যানের মনে প্রশ্ন জাগে। বেশিরভাগ সময় ঘরের মাঠে বাংলাদেশ দুইজন পেসার নিয়ে খেলে। কিন্তু দক্ষিণ আফ্রিকা, নিউজিল্যান্ড, অস্ট্রেলিয়া গেলে তিনজন পেসার নিতে হতে পারে। আমাকে এমন পেসার বাছাই করতে হবে যারা ফিট ও একই সাথে আক্রমণাত্মক ভঙ্গিতে ভালো লেন্থে বোলিং করে যেতে পারে।’ 

    সাফল্য পেতে হলে ধারাবাহিকতার বিকল্প নেই, মানছেন ল্যাঙ্গেভেল্ট, ‘যদি আপনি সেরাদের মাঝে থাকতে চান, তাহলে নতুন বলে ধারাবাহিক হতে হবে। মোস্তাফিজ দারুণভাবে বলের গতি কমাতে পারে, কিন্তু সেটা নতুন বলে করা কঠিন। পিচ আপনার পক্ষে নাও থাকতে পারে। সিম পজিশনটা ঠিক রাখতে হবে। সে অনেক কাটার দেয়। তবে আমার মতে ডানহাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে ইনসুইং ও বাহাতি ব্যাটসম্যানদের ক্ষেত্রে আউটসুইং করানোটাই বেশি গুরুত্বপূর্ণ।’

    ২০১৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকা সফরে গিয়েছিল বাংলাদেশ। সেই সময় প্রোটিয়াদের বোলিং কোচ ছিলেন ল্যাঙ্গেভেল্ট। ওই সিরিজে ২-০ ব্যবধানে হেরেছিল বাংলাদেশ। সিরিজে বাংলাদেশের পেসাররা সব মিলিয়ে নিয়েছিলেন মাত্র নয় উইকেট।

    বিদেশের মাটিতে বাংলাদেশের পেসারদের পারফরম্যান্সের উন্নতি করানোই ল্যাঙ্গেভেল্টের অন্যতম প্রধান লক্ষ্য, ‘এটা আমার জন্য ভালো একটা চ্যালেঞ্জ। কয়েক বছর আগে আমি দক্ষিণ আফ্রিকার বোলিং কোচ ছিলাম। ওই সময় বাংলাদেশের বিপক্ষে খেলেছিলাম আমরা। সেবার আমাদের পিচে বাংলাদেশের পেসারদের পারফরম্যান্স খুব ভালো দেখিনি, তাঁরা লাইন-লেন্থে ধারাবাহিকতা খুঁজে পায়নি। এই জায়গাটায় উন্নতি করতে হবে। যখন আপনি দেশের বাইরে খেলবেন, তখন আপনার ভালো পেসার থাকতে হবে দলে। ভারত এত ভালো করছে দেশের বাইরে, এটার বড় কারণ তাদের পেস বোলিং। তাদের দুর্দান্ত স্পিনার আছে, সাথে দারুণ পেসারও আছে। আমি চাই বাংলাদেশ থেকে বেশ কিছু ভালো পেস বোলার বের হয়ে আসুক ও আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে ভালো করুক।’ 

    বোলারদের সাথে আলোচনা করেই তাদের সমস্যার সমাধান করতে চান ল্যাঙ্গেভেল্ট, ‘আমি প্রথমে বোলারদের কাছে গিয়ে ব্যাপারটা নিয়ে আলোচনা করব। সে কী ভাবছে এটা জানার চেষ্টার করবো। এরপর আমি নিজের কোচিং পদ্ধতি অনুযায়ী তাঁকে সমাধান দেবো। তাঁকে বলবো, সে যদি বিশ্বের এক নম্বর বোলার হতে চায় তাহলে তাঁকে এটা করতে হবে। কীভাবে তাঁকে সাহায্য করতে পারি? এটা আসলে টেকনিকাল ব্যাপার। তবে যেকোনো কিছু করার আগে আমার সাথে তাঁর কথা হবে। এরপর বাকি কাজ হবে।’