• ইংলিশ প্রিমিয়ার লিগ
  • " />

     

    ঘাম ঝরিয়ে ভিলাকে হারাল টটেনহাম

    ঘাম ঝরিয়ে ভিলাকে হারাল টটেনহাম    

    তিন বছর পর প্রিমিয়ার লিগে ফেরত এসে ম্যাচের মাত্র ৯ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল অ্যাস্টন ভিলা। ম্যাচের বেশিরভাগ সময় সেই লিড ধরেই রেখেছিল তারা। কিন্তু টটেনহাম হটস্পার দ্বিতীয়ার্ধের শেষ  বিশ মিনিটে ফিরল দারুণভাবে। ঘরের মাঠে তাই মৌসুম শুরুর ম্যাচে আর হতাশা সঙ্গী হয়নি টটেনহামের। ঘাম ঝরিয়ে ৩-১ গোলে জিতে লিভারপুল, ম্যানচেস্টার সিটির মতো তারাও প্রিমিয়ার লিগ শুরু করেছে জয় দিয়ে। পরের ম্যাচেই টটেনহামের প্রতিপক্ষ ম্যান সিটি।

    এবারের দলবদলের মৌসুমে ইংলিশ দলগুলোর ভেতর সবচেয়ে খরুচে ছিল অ্যাস্টন ভিলা। টটেনহাম হটস্পার স্টেডিয়ামে ম্যাচের ৯ মিনিটেই এগিয়ে গিয়েছিল তারা। টাইরন মিংসের লং বল থেকে জন ম্যাকগিন দারুণ এক গোল করে এগিয়ে নেন ভিলাকে। এমন শুরু অপ্রত্যাশিতই ছিল টটেনহামের জন্য। তবে প্রথমার্ধে ভিলার খেলা দেখে মনে হলো লিগে নিজেদের পুরনো জায়গাটা পাকাপোক্ত করেই এসেছে তারা। হারের পরও তাই অনুপ্রেরণাই সঙ্গী হওয়ার কথা তাদের।


     

    এরিক লামেলা, লুকাস মউরা, হ্যারি কেইনদের নিয়ে নতুন এক ফ্রন্ট থ্রি সাজিয়েছিলেন মাউরিসিও পচেত্তিনো। নতুন দের ভেতর শুরু করেছিলেন টাঙ্গুয়ে এনদম্বেলে। টটেনামকে ম্যাচেও ফিরিয়ে এনেছেন টটেনহামের রেকর্ড সাইনিং।    এর আগে সাদামাটা এক প্রথমার্ধ শেষে টটেনহাম অবশ্য জ্বলে উঠেছিল দ্বিতীয়ার্ধে। তবে গোল আর পাচ্ছিল না তারা। 
    এনদম্বেলের গোলটিই সুর তুলে দিয়েছিল টটেনহামের খেলায়। ৭৩ মিনিটে মউরার কাছ থেকে পাস পেয়েছিলেন ডিবক্সের বাইরে। শরীর বাকিয়ে এরপর বাঁকানো এক শটে বটম কর্নারে বল জড়ান ফ্রেঞ্চ মিডফিল্ডার। 

    সমতায় ফেরার দশ মিনিট আগে মাঠে নেমেছিলেন ক্রিশ্চিয়ান এরিকসেন। খেলা বদলে দেওয়ায় তার ভূমিকাও কম ছিল না। নিজে অবশ্য ফ্রি কিক থেকে অল্পের জন্য গোল পাননি। টম হিটন নিজের ডানদিকে ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দিয়েছিলেন সেই শট। তবে অ্যাস্টন ভিলা আর টটেনহামকে দ্বিতীয় গোল পাওয়া থেকে বঞ্চিত করতে পারেনি। অবশ্য তাদের কপালও খুব একটা ভালো গেল না ৮৬ মিনিটে। জ্যাক গার্লিশ ডিবক্সের সামনে গুরুত্বপূর্ণ জায়গায় বল হারালেন লামেলার কাছে। সেখান থেকে লামেলার নেওয়া শট যেত বাইরে দিয়েই, কিন্তু ভিলার দুই সেন্টারব্যাকের গায়ে লেগে সে শট পৌঁছে গেল কেইনের কাছে। ইংলিশ স্ট্রাইকার ছিলেন গোলের সামনে। বাকি কাজ সারতে সেখান থেকে সমস্যা হয়নি তার। চার মিনিট পর কেইনও ডিবক্সের বাইরে থেকে নিচু শটে গোল করে দলের জয় নিশ্চিত করে ফেলেন।